প্রত্যাশাই জীবন, বিবেক বাধা, আর বিভ্রান্তিই গতি সঞ্ছারক। হোক সে গতি পশ্চাৎমুখী কিংবা অভিমুখী। এই গতিতেই রয়েছে প্রত্যাশা, হয়ত ঊর্ধ্বমুখী কিংবা নিম্নমুখী গণজাগরণ কখনই শেষ হয়ে যায়না। জাগরণ তৈরি হয় জনগনের মস্তিস্কে। টিকে থাকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।
গণজাগরণ কখনও পরাজিত হয় না, গণজাগরণের সৃষ্টিই একটি বিজয়, একটি মানসিক বিজয়। কেননা দেশের জনগণ তখন এই জাগরণের আদর্শকে মস্তিস্কে ধারণ করে।
আর বাস্তবিক বিজয়ের কথা মনে হলেই লজ্জা পাই।
১৯৭১ এর যুদ্ধ এবং আমাদের স্বাধীনতা গণজাগরণের ফসল।
১৯৭১ এর গণজাগরণের মূলকারণ ছিল অর্থনৈতিক বৈষম্য,
১৯৭১ এর গণজাগরণের মূললক্ষ ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি,
আর এই সকল কারনেই বাঙ্গালীর মস্তিস্কে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলার স্বপ্ন রচিত হয়।
অধিকার এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য না থাকলে হয়তোবা আজ আমরা পাকিস্তানের নাগরিক হিসেবে গর্ববোধ করতাম। পাকিস্তানি সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী হতাম।
একটি ব্যপার কি আমরা ভেবে দেখেছি???
৪২ বছর পরেও ১৯৭১ এর গণজাগরণের সফলতা আসেনাই!
আমারা কি ধরতে পেরেছি???
যে আশায় পাকি জানোয়ারগুলোর সাথে আমরা যুদ্ধ করেছি সেই আশা এখনও পূর্ণ হয়নাই!!
আমরা কি বুঝতে পারি যে, আজও আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি মেলেনি?
আমারা কি ধরতে পেরেছি যে আমারা জিম্মি হয়ে আছি গুটিকয়েক
রাজনৈতিক দলের কাছে?
যারা কিনা আমাদের অধিকার দখল করে আছে।
আমারা আমাদের অধিকার পাইনি,
আমি আমার অধিকার পাইনি,
অধিকার আদায়ের জন্য একটি মানসিক জাগরণ আমার মস্তিস্কে ঘুরছে, হয়তোবা একদিন সবাইকে ডেকে গণজাগরণ তৈরি করব, অথবা কারো ডাকে সারা দেব, যেইদিন অর্থনৈতিক মুক্তির গণজাগরণের একজন সৈনিক হতে পারব সেইদিন আমাদের পূর্বপুরুষের আত্মা শান্তি পাবে।
ক্ষমা করো আমায় ১৯৭১ এর ৩০ লক্ষ গণজাগরণের শহীদ।
৪২ বছর পেরিয়ে গেছে তবু আলোকবর্তিকা হাতে কোন কাণ্ডারি আজও আসেনি। আর একটু ধৈর্য ধরো। জাগরণ আমাদের মস্তিস্কে আজও আছে, হারিয়ে যায়নি! আমারা হারিয়ে যেতে দেব না!
শপথ নিলাম।
ধিক্কার জানাই তাদের, যারা বলে, স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠনই ১৯৭১ এর যুদ্ধের মূল লক্ষ্য ছিল।
আবার মনে করিয়ে দেই, মূল লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।