আজ তুমি অন্যের...........প্রীতি!
গণজাগরণ মঞ্চের আজকের কর্মসূচীঃ-
গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরসহ সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ।
আজ ২০ ডিসেম্বর/২০১৩ খ্রিঃ
রোজঃ শুক্রবার।
সময়ঃ- বিকাল ৩টা।
স্থানঃ- শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর গণজাগরণ মঞ্চ।
সাড়ে পাঁচটায় গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের নিচে গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক মারুফ রসুল সাংবাদিকদের জানান,
পাকিস্তান হাইকমিশন ঘেরাওয়ে পুলিশের বাধা, লাঠিপেটা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আজ শুক্রবার বেলা তিনটায় শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে।
একই কর্মসূচি দেশের অন্যান্য এলাকায়ও পালন করা হবে।
পুলিশের লাঠিপেটায় আহত মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারসহ ২০-২৫ জন। ১১ জনকে আটকের পর মুক্তি।
গণজাগরণ মঞ্চের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে পুলিশের ন্যাক্কারজনক হমলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
দ্বিতীয় দিনের মত শান্তিপূর্ণ ভাবে পাকিস্তানি দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচীতে পুলিশ বেধড়ক ভাবে লাঠিপেটা করে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের উপর।
পুলিশের লাঠিপেটা, কাল গণজাগরণ মঞ্চের প্রতিবাদ সমাবেশ
* দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে- ডাঃ ইমরান এইচ সরকার।
* ‘স্বাধীন দেশে পুলিশ কেন এমন উন্মত্ত আচরণ করছে, তা বুঝতে পারছি না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই অবস্থান করছিলাম। কিন্তু পুলিশ যেভাবে আমাদের ওপর চড়াও হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ’- ডাঃ ইমরান এইচ সরকার।
জামায়াতে ইসলামীর নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসি নিয়ে পাকিস্তান সরকারের শোক ও নিন্দা প্রস্তাবের ঘটনায় গত বুধবার কয়েক দফা পুলিশি বাধা পেরিয়ে ঢাকায় দেশটির হাইকমিশন ঘেরাও করেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। তাঁরা দেশটির সঙ্গে অস্থায়ীভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ২০ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন।
গতকাল বেলা তিনটায় বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হলে মঞ্চের কর্মীরা গুলশান ২ নম্বর চত্বরে পুলিশ বক্সের কাছে জড়ো হতে থাকেন। সোয়া তিনটার দিকে পুলিশ সেখানে গিয়ে লাঠিপেটা করে মঞ্চের কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে ঘণ্টা খানেক আগেই পুলিশ বক্সের কাছে ব্যারিকেড দেয় পুলিশ।
সাঁজোয়া যান, জলকামান ও প্রিজন ভ্যান নিয়ে প্রস্তুত ছিল পুলিশ।
সোয়া তিনটা থেকে সাড়ে তিনটা
পুলিশ দুই দফা ধাওয়া দিয়ে গুলশান-২ নম্বর চত্বর ফাঁকা করে ফেলে। এ সময় পুলিশ গণজাগরণ মঞ্চের নেতা-কর্মীদের ওপর লাঠিপেটার পাশাপাশি লাথি মারতে থাকে। তখন পুলিশের সাঁজোয়া যান মিছিলের দিকে দ্রুতগতিতে ছুটে যায়। কিন্তু কর্মীরা পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে পাকিস্তান হাইকমিশনের দিকে ফের যাওয়ার চেষ্টা করেন।
পুলিশ আবারও ধাওয়া দিয়ে তাঁদের কাকলীর দিকে সরিয়ে দেয়। এ সময় মঞ্চের কিছু কর্মী অলিগলিতে ঢুকে পড়লে পুলিশ সেখানেও ‘শাহবাগি দালাল...’ বলে ধরপাকড় চালায়। কয়েকজনের মুঠোফোনও ছিনিয়ে নেয় পুলিশ।
* গুলশান-২ নম্বর চত্বরে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের উপর হামলার সময় এক নারী কর্মীকে মালাউন এবং ডাঃ ইমরান এইচ সরকারকে আটকের সময় নাস্তিক বলে গালি দেয় পলিশ- নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সভাপতি সম্মিলিত বাংস্কৃতিক জোট।
গণজাগরণ মঞ্চের মিছিলে লাঠিপেটা
পাকিস্তান দূতাবাসমুখী মিছিলে চড়াও পুলিশ-বিডি নিউজ২৪
* ‘আমরা তো জামায়াত-শিবির নই! এ সমাবেশে কেউ কেউ মুক্তিযোদ্ধা ও বয়স্ক ব্যক্তি।
তাঁদের গায়ে পুলিশ কেন হাত তুলল? মুক্তিযোদ্ধাদের মারতে তাদের হাত কাঁপছে না? সবাই এখানে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে এসেছে। ’-গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক আক্কু চৌধুরী।
* ‘আমি গণজাগরণের কর্মী না। কখনো শাহবাগে যাইনি। কিন্তু কাদের মোল্লার ফাঁসি নিয়ে পাকিস্তানের আস্ফাালন ও শোক প্রস্তাব একজন বাঙালি হিসেবে মেনে নিতে পারছি না।
আজ গণজাগরণের কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলাম পাকিস্তান হাইকমিশনে জুতা মারব বলে, কিন্তু স্বাধীন দেশে পুলিশের উন্মত্ত আচরণ অবাক করে দিয়েছে। তিনি এই প্রতিবেদককে জিজ্ঞেস করেন, ‘এটা কি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের গণজাগরণ মঞ্চ, নাকি জামায়াতের কোনো মিছিলে যোগ দিয়েছি? পুলিশ কেন তাড়াইল?’-মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ শেখ।
* পাকিস্তানিরা বাংলাদেশের প্রতি একাত্তর সনে যে বিরূপ মনোভাব ছিল, যে হিংস্রভাব ছিল, সেই মনোভাব কোন রকমে পাল্টাইনি বলে মনেে হচ্ছে। তাদের এই রেজুলেশন এবং তাদের এই হিংস্রতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে আজ এই প্রস্তাবে এবং এই প্রস্তাব দিয়ে তারা প্রমাণ করেছে যে কাদের মোল্লা তাদের দোসর এবং তাদের এ প্রস্তাবে প্রমানীত হল যে কাদের মোল্লা আসলেই একজন যুদ্ধাপরাধী। - মাহবুবে আলম, অ্যাটর্নী জেনারেল।
* কাদের মোল্লার ফাঁসি নিয়ে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমনন্ত্রীর বক্তব্য কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত-মাহবুবে আলম, অ্যাটর্নী জেনারেল।
‘আইনি সব সুযোগই পেয়েছিলেন কাদের মোল্লা
* কাদের মোল্লার ফাঁসি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার-সারতাজ আজিজ,পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা।
কাদের মোল্লার ফাঁসি ঢাকার অভ্যন্তরীণ ব্যাপার: সারতাজ (প্রথম আলো)
কাদের মোল্লার ফাঁসির প্রতিবাদে পাকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলার হুমকি দিয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই- তালেবান (টিটিপি)- দি নেশন পাকিস্তান।
পাকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলার হুমকি-প্রথম আলো।
পাকিস্তানে বাংলাদেশ হাইকমিশনে তালেবানি হামলার শঙ্কা
পাকিস্তানের ধৃষ্টতার প্রতিবাদে গতকাল প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাতিকদের মানববন্দন।
কাদের মোল্লার ফাঁসির প্রতিবাদে পাকিস্তানের সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাশের প্রতিবাদে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন মানববন্দন কর্মসূচী পালন করে।
* পাকিস্তানের ধৃষ্টতার প্রতিবাদে সারাদেশে তিনদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচীর ঘোষণা ১৪ দলের।
পাকিস্তান পার্লামেন্টের নিন্দা প্রস্তাবের প্রতিবাদ অব্যাহত
মিনুর নেতৃত্বে মিছিলে কাদের মোল্লার পক্ষে শ্লোগান-বিডি নিউজ২৪
পুলিশি হামলার কিছু চিত্রঃ-
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।