নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়ার কুতুবপুর গ্রামে নানাবাড়িতে হুমায়ূনের জন্ম।
১৯৭১ সালে শহীদ বাবা ফয়জুর রহমানসহ সব শহীদের স্মরণে সেই গ্রামেই তিন একর জমিতে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিষ্ঠিত করেন হুমায়ূন তার স্বপ্নের এ বিদ্যাপীঠ।
২০০৬ সালে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে শুরু হয় স্কুলটির শিক্ষা কার্যক্রম। এরপরে স্কুলটি দশম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত হয়।
১৪ কক্ষের এই বিদ্যালয় ভবনে একটি লাইব্রেরি, একটি আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব এবং ফটোগ্যালারি রয়েছে।
বর্তমানে বিদ্যালয়ে ১৪ জন শিক্ষক ও ২৩৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, হুমায়ূন স্যার স্বপ্ন দেখতেন উপমহাদেশের মধ্যে স্কুলটি হবে মডেল। এট একদিন কলেজে উন্নীত হবে।
হুমায়ূন বেঁচে থাকতেই শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে স্কুল পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তিনি তখন সাড়াও দিয়েছিলেন।
কিন্তু হুমায়ূন বেঁচে থাকতে মন্ত্রীর আসা হয়নি আর।
নন্দিত এ কথাসাহিত্যিক মারা যাওয়ার পর পরই রাজধানীর পল্লবীর বাসায় গিয়ে হুমায়ূনের মা আয়েশা ফয়েজকে স্কুলটি এমপিওভূক্ত করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন শিক্ষামন্ত্রী।
এক বছরেও হুমায়ূন-প্রতিষ্ঠিত স্কুলটি এমপিওভূক্ত না হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী হতাশায় ভুগছেন বলে জানান বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান।
বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক শরিফ আনিস আহমেদ বলেন, প্রতি মাসে প্রায় ৭৫ হাজার টাকা খরচে কোনরকমে স্কুলটি চালিয়ে নেয়া হচ্ছে।
আর্থিক দৈন্যদশার কারণে স্কুলটির অনেক কাজই সঠিকভাবে চালানো যাচ্ছে না বলেও জানান শরিফ।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও হুমায়ুন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন বলেন, হুমায়ূন আহমেদ মারা যাওয়ার পর থেকে গত বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত স্কুলের ব্যয়ভার বহন করেছেন তার বাবা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী।
“এরপর একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে বিক্রি হওয়া ছবির ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ও শাহ সিমেন্টের দেয়া অনুদান ৫ লাখ টাকা থেকে স্কুলের ব্যয় মেটানো হচ্ছে। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।