জুলাইয়ে সিনেমা দেখেছি বেশ কম। ইচ্ছে করেই। এ মাসেও কম দেখছি - বিরতি নিচ্ছি।
JFK (1991)
ডিরেক্টর'স কাট ভার্সনে মোট ৩ ঘন্টা ২১ মিনিট। অথচ আমার সময় লেগেছে প্রায় ৭ ঘন্টা-কারণ ভালো করে সিনেমাটা বুঝতে চেয়েছি।
ইতিহাস স্বীকৃত, জন এফ কেনেডিকে হত্যা করেছে লি অসওয়াল্ড নামের এক লোক-তিনটে বুলেট খরচ করে। ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি জিম গ্যারিসন তার বাহিনী নিয়ে পেছনের সত্যিটা উদ্ধারে নামলেন। সত্যিটা কি? তিনটে নয়, সাতটি বুলেট, একজন নয়, অন্তত: তিনজন হিটম্যান, কোন মাফিয়া বা বিদেশী রাষ্ট্র নয়, খোদ আমেরিকাই হত্যা পরিকল্পনাকারী।
রেটিং: ৫/৫
The Untouchables (1987)
১৯৩০-এ আমেরিকায় যখন মদ নিষিদ্ধ, আল-কাপোন তখন গ্যাংস্টার লিডার। ফেডারেল এজেন্ট এলিয়ট নেস আরও তিনজনকে নিয়ে একটি দল বানালো প্রায় দুর্ভেদ্য কাপোনকে ধরতে।
তারা আনটাচেবলস।
ব্রায়ান ডি পালমা'র স্কারফেস আর মিশন ইম্পসিবল ভালো লেগেছিল -এই সিনেমাটা বাকী দুটোকে ছাড়িয়ে গেল। সত্যি কথা হলো আল কাপোন চরিত্রে শুধু নয়, যে কোন গ্যাংস্টার চরিত্রে রবার্ট ডি নিরো ইজ রিয়েলি আনটাচেবল।
রেটিং: ৫/৫
Kaalbela - Calcutta My Love (2009)
দুরুদুরু বুকে আমি 'কালবেলা' দেখতে বসেছি-জানি, সেই কৈশোর থেকে বুকে পুষে রাখা জীবনের একমাত্র আরাধ্য নারী 'মাধবীলতা' ভেঙ্গে যাবে আর একটু পরেই, তারপরও না দেখে পারি না।
কৈশোরের মাধবীলতার বয়স হয়েছে, যৌবনের মাধবীলতারূপী পাওলী দামের সামনে সেই ঔজ্জ্বল্য নিয়ে দাড়াতে তার কষ্ট হয়, তারপরও আমি কৈশোরের মাধবীলতাকেই আরাধ্য মানি - এখনো।
রেটিং: ৪.৫/৫
In Bruges (২০০৮)
দুজন হিটম্যানকে ব্রুজেস নামের এক শহরে আত্মগোপনে পাঠানো হয়, কারণ নতুন হিটম্যানটি একটি মিশনে একটি ছোট্ট ছেলেকে ভুলক্রমে হত্যা করে। তার সাথীটিই তাকে হত্যা করা দায়িত্ব পায়। ভুলের শাস্তি তাকে পেতেই হবে।
পুরা সিনেমাটা 'ফাক' শব্দে পরিপূর্ণ। মোট ১২৬ বার, গড়ে ১.৮ মিনিটে একবার করে।
ব্ল্যাক কমেডি। সিনেমার ডায়লগগুলো দারুন। ব্ল্যাক কমেডি যেমন হয়, একটু পাগলাটে, অভ্যাস না থাকলে এর মর্ম বোঝা কঠিন বৈকি।
রেটিঙ: ৪/৫
The Silence of the Lambs (১৯৯১)
বিখ্যাত উপন্যাসের বিখ্যাত চরিত্র ড: হ্যানিবল। একজন উচু মানের সাইক্রিয়াটিস্ট কিন্তু সিরিয়াল কিলার, তার সাথে কথা বলে আরেকজন সিরিয়াল কিলারকে খুজে বের করার দায়িত্ব পড়ে ক্ল্যারিস স্টার্লিঙ নামের শিক্ষানবীশি এফবিআই এজেন্টের উপর।
অসাধারন এক থ্রিলার, হ্যানিবল চরিত্রে অ্যান্থনি হপকিন্সের অভিনয় ভয় লাগিয়ে দেয়।
এই হ্যানিবল চরিত্রটিকে নিয়ে এ পর্যন্ত বেশ কটি সিনেমা হয়েছে - প্রথমে মাইকেল মান বানিয়েছেন 'ম্যানহান্টার' নামে - ১৯৮৬ সালে। ১৯৯১ সালে জোনাথন ড্যম অ্যান্থনি হপকিন্সকে নিয়ে বানান এই সিনেমাটি, ২০০১ সালে নির্মিত হয় 'হানিবল' নামের সিনেমা, ২০০৬ সালে ড: হ্যানিবল রাইজিঙ সিনেমাটি।
বাকীগুলোর কোনটাই দেখিনি, তবে এটা বেশ লেগেছে। জুডি ফস্টার অভিনয় করেছেন ক্ল্যারিস চরিত্রে।
রেটিঙ: ৫/৫
The Black Dahlia (২০০৬)
ব্রায়ান ডি পালমার সিনেমা দেখার একটু আগ্রহ হয়েছিল, তাই এই সিনেমাটা দেখা। খুব একটা শান্তি পাইনি দেখে। বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত এই সিনেমাটা। এলিজাবেথ শর্ট নামের এক মেয়ের বেশ কয়েক খন্ডের লাশ পা্ওয়া যায়, তদন্তে নামেন দুজন এলএপিডি অফিসার।
সিনেমাটোগ্রাফির জন্য সিনেমাটা ভালো, ফিল্ম নয়ার বলা হয় এই ধরনের সিনেমাকে।
রেটিঙ: ৪/৫
Children of Men (2006)
সাই-ফাই সিনেমা কম দেখা হয়। ২০২৭ সালের পটভূমির এই সিনেমায় পৃথিবীর শোচনীয় অবস্থা। মানুষের জন্ম দেয়ার ক্ষমতা নেই। সারা পৃথিবী জুড়ে দুরাবস্থা, নৈরাজ্য। কি নামের আফ্রিকান মেয়েটি প্রেগন্যান্ট, তাকে পৌছে দিতে হবে শেষ সভ্য রাষ্ট্র ব্রিটেনে, দায়িত্ব থিও ফারোনের উপর।
সুন্দর কনসেপ্ট। দু'টি বেশ লম্বা টেক আছে সিনেমাটিতে। আলফনসো কারন এর পরিচালনা, ক্লাইভ ওয়েন অভিনয় করেছে।
রেটিঙ: ৪/৫
Daisy (2006)
দক্ষিন কোরিয়ার রোমান্টিক-অ্যাকশন সিনেমা। একই মেয়ের প্রেমে পড়ে দুইজন ভিন্ন চরিত্রের মানুষ - একজন ছদ্মবেশী পুলিশ অফিসার অন্যজন পেশাদার খুনি।
ঘটনাচক্রে মেয়েটি বোবা হয়ে যায়, এগিয়ে আসে খুনি ব্যক্তিটি। এদিকে বেশ কিছুদিন পরে ফিরে আসে প্রেমিক পুলিশটি, তার দায়িত্ব খুনিকে ধরার। সুন্দর সিনেমা, রোমান্সটুকু হৃদয়ছোয়া।
রেটিঙ: ৪.৫/৫
==============================================
সহীহ ডাউনলোডনামা: জেনে নিন সিনেমা ডাউনলোডের কিছু সাইটের নাম।
সম্প্রতি কি সিনেমা দেখলাম: আমি শেয়ার করি এখানে, কিছু বন্ধুরাও করে, আপনারা্ও করতে পারেন।
সিনেমা বিষয়ক অপ্রকাশিত কিছু পোস্ট:
সিনেমায় গুপ্তহত্যা: সিনেমায় গুপ্তঘাতক এবং গুপ্তহত্যা বেশ পরিচিত বিষয়। এই ধরনের সিনেমাগুলো আমার বেশ লাগে। গুপ্তঘাতক এবং তাদের মিশন নিয়ে যে কটা সিনেমা ভালো লেগেছে, তার চারটি নিয়ে এই পোস্ট। সামুতে অপ্রকাশিত।
দ্য ডে অব দ্য জ্যাকল: প্রেসিডেন্ট চার্লস দ্য গলকে হত্যার উদ্দেশ্যে ভাড়া করা হয়েছে একজন গুপ্তঘাতককে।
তার নাম 'দ্য জ্যাকল'। উপন্যাসে তৈরী এই চরিত্রটি পরবর্তীতে বেশ বিখ্যাত হয়ে উঠে, সত্যিকারের একজন গুপ্তঘাতক এই নামে পরিচিত হয়ে উঠেন। এসব নিয়েই এই পোস্ট - সামুতে অপ্রকাশিত।
সিনেমায় ডিরেক্টরস কাট কি? : যারা সিনেমা ডাউনলোড করেন তারা হয়তো ডিরেক্টরস কাট শব্দটির সাথে পরিচিত। কি বোঝায় এই শব্দটি দ্বারা? সামুতে অপ্রকাশিত।
মহামন্দায় সিনেমা, মহামন্দার সিনেমা: ১৯৩০ এর মহামন্দায় বেশ কিছু ক্ল্যাসিক সিনেমা নির্মিত হয়েছে, পরবর্তীতে বিভিন্ন সিনেমায় উঠে এসেছে সেরকম কিছু সিনেমা নিয়েই এই পোস্ট - সামুতে অপ্রকাশিত।
ফেসবুকে দারাশিকোর ব্লগের সাথেই থাকুন ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।