আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকামুখী লংমার্চের হুমকি বিজেপির ও আমার কিছু কথা।

বিশেষ কিছু বলার নাই তবে এটুক বলার আছে খালি খিদা লাগে এমন কি খাইলেও খিদা লাগে :( ঢাকামুখী লংমার্চের হুমকি দিলো বিজেপি ------------------------------------------------ বিজেপি জার পূর্ণ অর্থ ভারতীয় জনতা পার্টি। ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই দলটি ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। এটি একটি হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল। ২০০২ সালে দেশটির গুজরাটে সংখ্যালঘু মুসলিম গণহত্যা ও ধর্ষণে অংশ নেয়া সংগঠন বজরং ও শিবসেনাকে মদদ দেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার। পরবর্তিতে তদন্তে দাঙ্গায় মদদ দেয়ার প্রমাণ পাওয়ায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ কয়েকজন মন্ত্রী-নেতাকে কারাদণ্ড দেয় আদালত।

১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় ষোড়শ শতকের ঐতিহাসিক বাবারী মসজিদ ধ্বংসের সঙ্গেও এ সংগঠনের জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। খুব শীঘ্রই বিজেপি ঢাকা অভিমুখে লংমার্চের হুমকি দিলো যার মুল কারন হচ্ছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের নির্যাতন। এমন কি লোকসভায় বাংলাদেশের হিন্দুদের রক্ষা করতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছে বিজেপি। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে বর্তমান এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী কারা?অবশ্যই আমাদের দেশের নোংরা রাজনীতি। রাজনীতি মানেই নোংরামি নয় তবে আমাদের দেশের রাজনীতিতে নোংরামি জিনিষটা এমন ভাবে জড়িয়ে পরিয়েছে তাতে ইহাকে রাজনীতি না বলে নংরানিতি বলাই শ্রেয়।

বর্তমান আমাদের দেশের হিন্দু উপাসনালয়ে যে ভাংচুর হচ্ছে তার জন্য মূলত এই নোংরা রাজনীতিই দায়ী। এর মধ্যে জামাত শিবিরের কথা না বললেই নয়। যাদের মূল কাজ হচ্ছে অন্য উপাসনালয়ে হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা। তবে এসব ভাংচুরের সাথে যে শুধু তারাই সংশ্লিষ্ট ব্যাপারটা কিন্তু এমনও নয়। এর সাথে জড়িত রয়েছে সরকার সমর্থিত বিভিন্ন দল সমূহও।

যারা বর্তমান এই পরিস্থিতে ভাংচুর চালিয়ে অন্য দল গুলোর উপর দোষ চাপিয়ে ফায়দা লোটায় বেস্ত। এর একটি অন্যতম উদাহারন হতে পারে বগুড়ায় একটি শহীদ মিনার ভাঙতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন তবিবুর রহমান টিপু নামের এক যুবক। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, টিপু শহর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। অথচ বিভিন্ন সময় শহীদ মিনার ভাংচুরের জন্য বিরোধীদলকেই সবসময় দায়ী করেছে সরকার। তাহলে এটাই বা আমরা কি ভাবে বিশ্বাস করি যে বিভিন্ন উপাসনালয়ে হামলার জন্য সরকার দায়ী নয়??? একটি দেশ কখনো নির্দিষ্ট কোন ধর্মের মানুষের জন্য গঠিত হয়না।

এই দেশে যখন স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল তখন শুধু মুসলিমরাই দেশ রক্ষায় অস্ত্র ধরেনি। সকল ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণেই এই দেশ স্বাধীন হয়েছিল। এই দেশে যখন আবারও নতুন করে যুদ্ধের প্রয়োজন হবে তখনও শুধু মুসলিমরাই অস্ত্র হাতে লড়বেনা। তখন সব ধর্মের মানুষ ই দেশের প্রয়োজনে অস্ত্র হাতে নিবে। আসুন আমরা জেনে নেই পৃথিবীর প্রথম সংবিধান মদিনার সনদে কি বলা আছেঃ আমি কিছু অংশ তুলে ধরছি ***সনদে স্বাক্ষরকারী মুসলমান, নাসারা এবং পৌত্তলিক সম্প্রদায় সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে ।

*** মুসলমান এবং অন্য সবাই স্বাধীন ভাবে যে যার ধর্ম পালন করতে পারবে। কেউ কারো ধর্মীয় ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না । ***ইহুদিদের মিত্ররাও স্বাধীনাতা ও নিরাপত্তা ভোগ করবে । ***মদিনার অভ্যন্তরে ও বাইরে অবস্হানকারী সব শ্রেনীর লোকের অধিকার সমান থাকবে । *** বহিঃশত্রু কতৃক মদিনা আক্রান্ত হলে সনদে স্বাক্ষরকারী সকল সম্প্রদায়ই বাধা প্রদান করবে ।

উপরের লেখা গুলো পড়লে স্পষ্টতই বুঝা যায় একটি দেশে সকল ধর্মের মানুষের বসবাসের অধিকার রয়েছে এবং কারো ধর্মে কোন প্রকার হস্তক্ষেপ সম্পূর্ণই নিষেধ। এবং প্রয়োজনে সকল সম্প্রদায় বহিঃশত্রু আক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। ইসলাম কখনোই অন্য সম্প্রাদায়ের উপাসনালয়ে হামলা করতে বলেনি,ইসলাম কখনো এটাও বলেনি দাঙ্গাহাঙ্গামা করে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে। কিন্তু কিছু অসাধু মানুষ যারা শুধু মাত্র পার্থিব ক্ষমতার লোভে এই ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে তারা দেশ ও জাতির শত্রু। আমাদের সমসসা গুলো আমাদের ই মেটাতে হবে।

যদি আমরা তা না করতে পারি তাহলে ভারতের মতো ক্ষমতাধর রাষ্ট্র গুলো এ দেশে তাদের প্রভাব আরও বিস্তার করে চলবে। যা একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে কিছুতেই কাম্য নয়। বরং তা আমাদের জন্যই ভবিষ্যতে ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়াবে। সব কথার শেষে শুধু এটুকই বলতে চাই এ দেশে হিন্দু মুস্লিম খ্রিস্টান বুদ্ধ সবার। আমরা চাই এমন এক বাংলা,যে ভূমিতে সকল ধর্মের মানুষ নিরাপদে বসবাস করবে।

এখনো সময় আছে যদি এই সময় কে কাজে না লাগাতে পারেন তাহলে মনে রাখবেন সময় গেলে সাধন হবেনা ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।