আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুস্থতায় দশটি অভ্যাস.......

এক. ধূমপানের বদ অভ্যাস থাকলে, তা পরিহার করুন। কেবল ধূমপান থেকে বিরত থাকার এই একটিমাত্র প্রচেষ্টাই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে বহুলাংশে রক্ষা করবে আপনাকে। দুই. একটি নির্দিষ্ট সময় পর-পর আপনার রক্তচাপ পরীক্ষা করান। তিন. কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় অভ্যাসগুলো রপ্ত করুন। চার. যদি আপনার ডায়াবেটিস থেকে থাকে, তবে চিকিৎসা করান প্রতিদিন ২ বেলা হাঁটুন, ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন এবং সবসময় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

কারণ, ডায়াবেটিস রোগীদের যে কয়েকটি ঘাতক-ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার সমূহ আশঙ্কা থাকে, তার মধ্যে হৃদরোগ অন্যতম। পাঁচ. স্বাস্থ্যসম্মত, স্বল্প, চর্বিযুক্ত খাদ্যগ্রহণের অভ্যাস করুন এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ছয়. আপনার শরীরের বিভিন্ন অংশের মাপ নিন। উচ্চতার সঙ্গে ওজনের অনুপাতের একটি আদর্শ-মাপ রয়েছে। ওজন-পর্যবেক্ষণের জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গায় (খাতা, প্যাড বা কম্পিউটার) নিয়মিত শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মাপ লিপিবদ্ধ করুন এবং তুলনামূলকভাবে পর্যবেক্ষণ করুন।

আপনার শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমলে সহজেই বুঝতে পারবেন আপনি। কোমরের মাপ নেয়াটাও জরুরি। সাত. অনেকেই ব্যায়াম করতে গিয়ে বুকে, হাতে, গলায়, কাঁধ ও ঘাড়ের সন্ধিস্থলে, এমনকি চোয়ালে পর্যন্ত ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভব করে থাকেন, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিশ্রাম নিলেই দূর হয়ে যায়। যদি আপনিও এমন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন, তবে অবহেলা না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করুন। আট. যদি আপনার বয়স ৪০, ৫০ অথবা ৬০-এর কোঠায় হয়ে থাকে এবং স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়, ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

নয়. আপনার নিকটাত্মীয়, তিনি হতে পারেন আপনার মা-বাবা অথবা মা-বাবার পরিবারের অন্যান্য নিকটাত্মীয় বা ভাই-বোন, তাদের কারো যদি হৃদরোগ অল্প-বয়স থেকেই দেখা যায়, তবে আপনার হার্টের অসুখ শারীরিক চর্চা বা কর্মব্যস্ততা আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে। দশ. ব্যায়াম করুন, হাসি-খুশী থাকুন, কর্মময় দিনযাপন করুন এবং দিনে অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করুন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।