ছোট্ট যে আমি,
আমার হাতের চকলেটটা দামি;
সেটা খাবার জন্য_
খোসাটা ছিঁড়তে যেয়ে ঘামি।
আমাকে দেখ্ছিলো আমার মামি,
দৌঁড়ে এসে_
আমার গালে দিলো একটা হামি।
ছিঁড়ে দিয়ে সেই চকলেটের খোসা,
আদর করে চিপে দিয়ে
আমার নাকটা করে দিলো বোঁচা।
আমি ভাবছিলাম তাকে, একটা সোঁচা;
যে ছেলেটা কিনা আমার দিকে_
মুখ হা করে;
দেখছিলো আমার চকলেটটা চোঁসা।
কালো চামড়া, ময়লা জামা
মাথায় খুস্কি, পিঠটা ঘামা।
দাঁতে ছাতা, নাকে পানি
অনেকটা যেন সিনেমার আসামি।
চোখে পিচুটি, হাতে ফোঁড়া
পা টা বাঁকা,
মনে হয় খোঁড়া।
দুষ্টুমি করে_
এখন সে ক্লান্ত।
সব মিলিয়ে ক্ষুধার্থ চোখে,
সে যেন এক_
বান্দরের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
এ কেমন মানুষ, ভাবছি আমি,
চোখে-চোখ তার রাখছি আমি।
গরমটা ভালোই পড়ছে_
আমার ভেতরে ঘাম ঝরছে;
চকলেটটা গলছে_
খোসাতে সেটা জড়াচ্ছে।
মৃদু-মন্দ বাতাস বইছে,
ছেলেটা হা করে দেখছে;
খাওয়াটা আমার শেষ হয়েছে,
খোসাটা বাতাসে উড়ছে।
এমন সময় সে ছেলে_
খোঁড়াতে খোঁড়াতে যেয়ে;
চকলেটের খোসাটা হাতে পেয়ে,
চলে গেলো হাসি দিয়ে।
দূর থেকে তাকে আমি_
সে খোসাটা চাটতে দেখি।
আমার দামি চকলেটের স্বাদপেতে_
ছিলোনা তার কাছে আর বাকি।
করেছি আমি যা নষ্ট,
ভোগ করছে সেটা তারাই_
যাদের আছে, অনেক কষ্ট।
-সমাপ্ত-
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।