উত্তর আধুনিকতা আধুনিকতাকে সমালোচনা করে। আধুনিকতা ছিল বিজ্ঞান কেন্দ্রিক এবং যুক্তি সর্বস্ব। এই যুক্তি সর্বস্বতাকে উত্তর আধুনিকতা গ্রহণ করেনা। কারণ এনলাইটেনমেন্টের হিসাবী যুক্তির বাইরে মানুষের মধ্যে বহুবিধ দিক রয়েছে। যেমনঃ আবেগ, মনঃস্তত্ব, যৌনতা, প্রবৃত্তি, বিশ্বাস, স্বপ্ন, অনুভূতি, সংস্কৃতি ইত্যাদি।
এনলাইটেনমেন্টের এই সকল গুণ কে ধারণ করতে সক্ষম হয়নি।
আধুনিকতা সার্বজনীন একক সত্যকে অনুসন্ধান করতে চায়। কিন্তু উত্তর আধুনিকতাবাদ বলে চরম বিশ্বজনীন ধ্রুব সত্য বলে কিছু নেই। যা আছে তা আপেক্ষিক বা ব্যক্তি নির্ভর, প্রেক্ষিত নির্ভর এবং অভিজ্ঞতা নির্ভর। বিজ্ঞানের সার্বসত্তা আবিষ্কার প্রচেষ্টা ভ্রান্ত।
এই লক্ষ্যে তারা তুলে ধরে পার্থক্য এবং বহুত্বকে।
আধুনিক বিজ্ঞানের যান্ত্রিকতা সভ্যতাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। এজন্য জার্মান দার্শনিক নিতসে আধুনিকতাকে দেখেছিলেন বিশৃঙ্খল, নৈরাজ্য ও হতাশার মধ্যে নিরন্তর ভাসমান একটি দুরন্ত উদ্দীপনা হিসাবে জীবন ও শক্তির প্রতি এক গভীর অভীপ্সা হিসাবে। এরই ফলাফল হল প্রথম এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
আধুনিকতা একদিকে দিল সৃষ্টিশীলতা অন্যদিকে ধ্বংসাত্নকতা।
একদিকে বিপ্লবাত্নক, অন্যদিকে রক্ষণশীল। একদিকে প্রকৃতিবাদী, অন্য দিকে প্রতীকীবাদী। আধুনিকতা একদিকে নতুনের আহবান করে, অন্য দিকে পুরানোর প্রতি আকর্ষণ তৈরি করে। আধুনিকতাকে বিশ্লেষণ করলে এমনই অনেক বৈপরীত্যে পরিপূর্ণ বলা যায়। এই সকল পরস্পর বিরোধী দ্বন্দ্ব থেকে আধুনিকতা কখনো মুক্তি লাভ করতে পারেনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।