সত্য একদিন প্রকাশ পাবেই, আমি না করলে আপনি করবেন, না হলে আরেকজন করবে। প্রকাশ হবেই বাংগালী হয়ে সিরাম এক অপরাধ কইরা ফালাইছি। যদি সুযোগ থাকত তয় আল্লাহরে কইতাম, আল্লাহ আমারে আর যে জাতি ই বানান আপত্তি নাই, মাগার বাংগালী বানাইয়েন না। যে জাতি মরা মাইনষের লাশ নিয়ে রাজনীতি করবার পারে, তাগো দলে আমি নাইক্কা। ।
জামাত না করিলে নাস্তিক আর করিলে রাজাকার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাইলে নাস্তিক আর না চাইলে রাজাকার। হিন্দুদের পক্ষে তাদের অধিকার চাইলে মালাউন, আর না চাইলে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনকারী—বলেনতো ভাই বাংগালীজাতি কি এক গ্যারাকলের মধ্যে পরে আছে।
মনে কিছু নিবেন না। বেশি রাগ উঠলে মানুষ নাকি তার আঞ্চলিক ভাষা বলে- কথাটি আমার নয়, গোপালভারের। ।
আমার মন আজ বেসম্ভব রকমের খারাপ। কেন খারাপ হবে না বলুনঃ-
১, আওয়ামী লীগ:-
আওয়ামী লীগের দুর্নীতি, শেয়ার কেলেংকারী, হলমার্ক কেলেংকারী, পরাগ অপহরন, বিশ্বজিত হত্যা, লিমনের পুংগুত্ব, পদ্মা সেতু মঞ্চ ইত্যাদি ইত্যাদি দেখার পর আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়া যায় না।
এই দলের আমলেই বাকশাল গঠন, জনগনের রাজনীতিতে অংশ গ্রহনে বাধা ইত্যাদি সংগঠিত হয়। ছাত্রলীগ নামের অংগসংগঠন যা করেছে, তাতে শিক্ষা ব্যবস্থা ১২টা না বাজলেও বাদ নেই।
এছাড়াও একসরকার বাংলার মাটিতে দু’বার খুব কম সময়ই এসেছে।
তাই এই দলে ভোট দিলেও জিতে কিনা সন্দেহ। ভোট দিয়ে লাভ কি??
২, বিএনপি
আওয়ামী লীগকে ভোট দিব না, তাই পরের কাতারে আসে বিএনপি। কিন্তু বিগত সরকারের আমলে তারা যে ঝিলিমিলি রঙ্গ-মঞ্চের জন্ম দিয়েছিল তা ভুলি নাই, দুর্নীতি, সংখ্যালঘুদের বাড়ীতে হামলা, বর্তমান সরকারের ভুলগুলোর বিপরীতে আন্দোলন করে জামাতের কয়েকজন অপরাধীদের বাচানোর চেষ্টা, সর্বোপরি ক্ষমতায় যেতে যেকোন কাজ করতে এদের জুরি মেলা ভার।
বিএনপি নেতা যেভাবে সবাইকে নাস্তিক বলে তাতে উনি নিজেই নাস্তিকের কাতারে পড়েন। আসুন এই সুযোগে একটি হাদিস জেনে নিইঃ অযথা কাউকে নাস্তিক বা কাফের বলা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ!
قال المستبان ماقالا فعلى البادى مالم يعتد المظلوم- رواه مسلم
:[হযরত আবু যার(রা) থেকে বর্নিত] রাসুল সা. বলেছেন, যে ব্যাক্তি কাউকে কাফের বলে ডাকে অথবা আল্লাহর শত্রু বলে, অথচ ( যাকে কাফের ও আল্লাহ তাআলার শত্রু বলা হচ্ছে) সে তা নয়, তখন তার কথা নিজের দিকে ফিরবে।
বুখারী ও মুসলিম , মিশকাতঃ৪৬০৬ অধ্যায়ঃজিহ্বার সংযম,গীবতগাল-মন্দ প্রসঙ্গে।
হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন-যে ব্যক্তি তার অপর কোন ভাইকে কাফের বলে, তাহলে তা উভয়ের যেকোন একজনের দিকে ফিরবে। যদি সে যেমন বলেছে বাস্তবে তা’ই হয়, তাহলেতো ঠিক আছে, নতুবা উক্ত বিষয়টি যে বলেছে তার দিকেই ফিরে আসবে।
{সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-২৫০, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৫০৩৫, মুসনাদে আবী আওয়ানা, হাদীস নং-৫৪, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৬২৩৭
এখন বলুন, জেনে শুনে নাস্তিকের দলে যাই কিভাবে??
তাই এরাও বাদ।
৩, জাতীয় পার্টি
জাতীয় পার্টি এর পরের অবস্থানেই থাকবে। এই দলটি ৮বছরের মত দেশ শাষন করেছে যদিও দলটির ক্ষমতা দখলই ছিল বে-আইনীভাবে। বয়স্কদের মুখে শুনেছি, এই দলের সময় গ্রামাঞ্চলের, কৃষি ও কৃষকের সবচেয়ে বেশি উন্নতি হয়।
কিন্তু এরশাদ চাচার এই দল সময় মত নির্বাচন দেয়নি, ৮৯তে নুর-হোসেন হত্যা, গনতান্ত্রীক অধিকারের উপর হামলা সর্বোপরি স্বেরশাষক কে ক্ষমতায় আনার কোন চিন্তা-ভাবনা আমার নেই।
বিদিশা আন্টির রে নিয়ে ক্যাচাল।
মাঝে মাঝে এ দলের চেয়্যারম্যানের কথা শুনে বুঝা যায় না কি তার উদ্দেশ্য, কি বা তার বিধেয়। তাই রকম দল ক্ষমতায় এলে কি হবে তা আল্লাহ ই ভাল জানেন।
তাই ইনিও বাদ।
৪,জামাতে-ইসলামী
এর পরের কাতারে আসে জামাতে-ইসলামী। দলের নামের সাথে ইসলাম থাকলেও এরা যে ইসলামপন্থি দল নয় তা অবিশ্বাস করার লোক খুব কম(কাঠালপাতা খাদক ব্যতিত)।
এরা যে পরিমান মিথ্যাচার করে যেমন সায়দীর চন্দ্রাভিজান, শাহবাগে যারা আছে তারা নাস্তিক যদিও ২/৪জন নাস্তিক আছে তবে সবাই নয় (উপরিউক্ত হাদিস প্রযোজ্য) আর মিথ্যাপ্রচারনার মাধ্যমে সাধারন মানুষকে বোকা বানানো ইত্যাদি ইত্যাদি।
এছাড়া, যে দল এদেশের স্বাধীনতা বিরোধী ছিল, সেই দলকে ভোট দিলে ৩০লক্ষ শহীদের কাছে জবাব দিতে পারব না। তাই এই ধর্ম ব্যবসায়ীর দল ও বাদ।
৫, বামদল
বামদলগুলোর উদ্দেশ্য ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ করা, বাম ঘড়ানার নেতারা সৃষ্টিকর্তার প্রতি খুব একটা বিশ্বাসী বলে মনে হয় না। কারন বাম রাষ্ট্রগুলোতে বেশিরভাগই ধর্মীয় রীতি-নীতির গুরুত্ব কম।
মুসলিম হিসেবে যা মেনে নিতে পারব না।
তাছাড়া সমাজতন্ত্রের যে বুলি তারা আওরান সেটা শুনতে ভাল লাগলেও বাস্তবে প্রয়োগের সম্ভবনা কম। সকলের সম অধিকার বলতে খুবই সহজ কিন্তু প্রতিষ্ঠা করা কঠিন। কাজেই এটা মিথ্যা আস্বাস ছাড়া কিছু নয়।
তাছাড়া, এই ঘড়ানার দলের নেতারা সারাজীবন মার্ক্স কিংবা লেনিনের কথা বলে, শেষকালে আওয়ামী কিংবা বিএনপিতে যোগ দেয় ক্ষমতা কিংবা মন্ত্রীত্বের লোভে।
কাজেই লোভীদের দলও বাদ।
৫,অন্যান্য দল
এছারা অন্যান্য যে সকল দল রয়ছে তাদের এককভাবে ক্ষমতায় আসা সম্ভব নয়। কোন কোন দল এক বা দুই আসনে প্রার্থী দেয়। কাজেই ক্ষমতায় তারা কোন কস্মিনকালে আসতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে।
পরিশেষ
এখন বুঝতে পারছেন বাংগালী জাতির জ্বালা।
এজালা ত্রিকুন প্রেমে ছ্যাকা খাওয়ার থেকেও কষ্টদায়ক। তারপরেও আশায় বুক বাধি যদি বাংগালী রাজনীতিবীদেরা একটু সততা আর নিষ্ঠার সাথে দেশ শাষন করেন তাহলেই আমাদের উন্নতি অবধারিত। কিন্তু কবে যে সেই সুদিন আসবে… আল্লাহ ই জানেন।
কারও দলীয় অনুভুতিতে আঘাত লাগলে নিজগুণে ক্ষমা করবেন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।