আমি নাই। প্রতিটি মুসলমানের উপর ঈমানের পর ইসলামের ৪টি স-ম্ভ আল্লাহর বিধান অনুসারে এগুলো পালন করা ফরজ। সাধারণ মুসলমানের জন্য ঈমানের পর নামাজ ও রোযা পালন করা ফরজ। আর বাকী ২টি হজ্ব ও যাকাত বিত্তশালী মুসলমানদের আদায় করা ফরজ। এই নিয়মানুসারে সমপ্রতি রামাযানের মাস চলছে ।
এই রামাযান মাসে রোযা আল্লাহ তা’য়ালার ঐশীবাণী কুতিবা আলাইকুমুছ ছিয়াম...... হিসেবে পালন করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর উপর ফরজ করে দেয়া হয়েছে। তাই আজকে আমরা বিশ্বের মুসলমান জাতি এই রোযা রেখে আল্লাহ তা’য়ালার বিধান পালন করার আপ্রাণ চেষ্টা করছি। প্রকৃত মুসলমান তারা আল্লাহতে ভয় করে। তারা ইসলামের স্বার্থে নিজেকে কুরবান করে দিতে পারে। ফলে রামাযান মাসে রোযা রাখতে যতই কষ্ট হোক না কেন তা আদায় করতে বা রামাযান মাসে রোযার কষ্ট-ক্লেশ সহ্য করতে তারা ভয় পায় না ।
কিন' একদল নামধারী মুসলমান ঈমান থাকলেও ঈমানের পরিচয় যা নামাজ, রোযা, হজ্ব ও যাকাত এগুলো আদায় করছে না। মনে করে তাদের কোনদিন মরন হবে না। এই পৃথিবীই তাদের আজীবন বসবাসের স'্ান মনে হচ্ছে। খাও দাও ফুর্তি কর হিসেবে এই রামাযানের রোযাও পর্যন- রাখতে চায় না। নবী করীম (সাঃ) এরশাদ ফরমান, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে শরীয়তসম্মত কোন কারণ ব্যতিত রামাযানের একটি রোযাও ভঙ্গ করবে, সে রামাযানের বাইরে সারাজীবন রোযা রাখলেও তার বদলা হবে না।
অন্য বর্ণনায় আছে, রোযা না রাখার কারণে ৯লাখ বছর জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হবে। যারা বেরোযদার তাদের সম্পর্কে বহু হাদিছে কঠোর শাসি-র কথা উল্লেখ রয়েছে। যাই হোক, এখানে আমার আলোচনা হল যারা আজ রোযা তো রাখছে না বরং রোযা নিয়ে বিদ্রূপ করছে তাদের সর্ম্পকে।
আজ যারা সরকারী কাগজ-পত্রে মুসলমান, মুসলমান দাবীদার এবং জন্ম সূত্রে যারা মুসলমান তারা মূলত মুসলমান রূপে গণ্য হতে পারে না। কারণ, তারা তাওহীদের প্রমাণ নামাজ, রোযা ইত্যাদি পালন করছে না।
আর যারা এগুলো পালন করবে না তাদের কে কি মুসলমান বলা যায়? আর যারা আল্লাহ তা’য়ালার ফরজ আদায় করতে অবহেলা ও ক্রটিকারীদের উচিৎ, তারা যেন মহান প্রভূর আযাব ও গযবকে খুব ভয় করে। কারণ, সবাইকে একদিন মরনের স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। এই দুনিয়ার সুখ-শানি- ভোগ-বিলাস তো শ্রীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে। যারা রোযা রাখে না তো রাখেই না ভাল কথা, তারা আযাবের সম্মুখীন হবে। তাদেরকে আল্লাহর আযাবে গ্রেফতার হতে হবে।
উপরোক্ত দলটা তো রোযা না রাখার উপরই ক্ষান-। কিন' গন্ডমুর্খ বদদ্বীন একটা বিত্তশালী দল যারা রোযা না রাখার উপরই ক্ষান- থাকে না বরং মুখে এমন কথা বলে থাকে যা তাকে কুফর পর্যন- পৌছে দেয়। যেমন বলে থাকে, রোযা তো তারাই রাখবে যাদের ঘরে খাবার নেই কিংবা আমাদেরকে ক্ষুধার্ত রেখে আল্লাহর কী লাভ?।
রোযা তো রাখবে দুর্বল মানুষেরা আর আমরা শক্তি এবং বিত্তশালী মানুষ, আমরা কেন রোযা রাখব ইত্যাদি ইত্যাদি কথা বলে থাকে। এই ধরনরে কুফুরী কথা বলে মিয়া সাহেব কোথায় চলে যাচ্ছেন তার কী খবর আছে? এখানে একটি মাসআলা স্মৃতিপটে ধারণ করে রাখা প্রয়োজন যে, দ্বীনের ক্ষুদ্র হতে ক্ষুদ্রতম যে কোন বিষয় নিয়ে উপহাস করা বা ঠাট্রা করা কুফরের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
জীবনে যদি কেউ নামাজ না পড়ে, কখনও রোযা না রাখে, হজ্ব ও যাকাত আদায় না করে কিন' সে এগুলো অস্বিকার না করে, তাহলে সে কাফের হবে না। বরং ফরজ আদায় না করার কারণে তার গুনাহ হবে। পক্ষান-রে নামাজ, রোযা ইত্যাদি অর্থাৎ আল্লাহর বিধানের যে কোন বিধানকে নিয়ে ঠাট্রা-বিদ্রূপ করা কুফুর, যদিও বিধানটি অনেক ক্ষুদ্র হতে ক্ষুদ্রতম। কুফুরের কারণে তার সারা জীবনের আ’মাল বিনষ্ট হয়ে যাবে। তাই এর প্রতি অত্যন- চৌকান্ন হয়ে খেয়াল রাখা প্রয়োজন, যাতে জীবনে কোনদিন আল্লাহর বিধান চাই তা ক্ষুদ্র হতে ক্ষুদ্রতম হোক যেন এমন কথা না বলি যা কুফুর হয়ে যায়।
আসুন! আমরা রোযাসহ যাতে ইসলামের ব্যাপারে কোন কুফুরী শব্দ বের না হয় সে দিকে সতর্ক থাকি। আল্লাহ তা’য়ালা আমদেরকে এর উপর আমল করার তাওফীক দান করূন আমীন ॥ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।