ইতপউস .....
পিচ্চি বেলায় রোযা রাখতে দেয়া হত না পিচ্চিদের! তাও সবাই সেহরিতে জাগলে আমিও জেগে যেতাম। সবাই জানে আমি সারাদিন না খেয়ে থাকতে পারব না। তাও খুব আগ্রহ নিয়ে সেহেরি খেতাম। তারপর দুপুর বেলা কেমন খিদে লাগত! আম্মু বলত ঠিক আছে খাও। আমি বলতাম কেন রোযা ভেঙ্গে যাবে তো! আম্মু বলত কিছু হবে না তুমি এখন খেলে তোমার ২টা রোযা হবে! আমি তো খুশিতে লাফ! বাহ সবার একটা রোযা আর আমার ২ টা! মাস শেষে সবার ৩০ টা আর আমার ৬০টা! খিক খিক!
রোযা রেখে ভুলে কেউ খেয়ে ফেলেছে কিছু, সেটা মনে হয় সবারই একবার না একবার হয়েছে।
আমার এমন হয়েছিল অনেক বার। কোন একবার শবে বরাত বা শবে মেরাজের নফল রোযা ছিলাম। সে দিন একটা কাজে এক ফ্রেন্ড তার সাথে আমাকে নিয়ে আরেক ফ্রেন্ডের বাসায় গেল। মেয়েটার নাম ছিল লিমা। তার আগে লাইব্রেরিতে গিয়েছিলাম।
ওখান থেকে হেটে হেটে তাদের বাসায়। আর খুব রোদ ছিল। বাসায় যাবার পর লিমার সাথে অনেক গল্প টল্প করে বেমালুম ভুলে গিয়েছি রোজার কথা। লিমা আমাদের নাস্তা দিল, তার সাথে ঠান্ডা ট্যাং এর জুস। গরম থেকে এসে হাঁপিয়ে গিয়েছিলাম।
ভুলেই গেলাম রোজার কথা! খেয়ে দেয়ে সব শেষ!
বেশ কিছুক্ষণ পর লিমাকে বিদায় দিয়ে বের হলাম। বিল্ডিং এর গেট দিয়ে বের হয়ে রাস্তায় নেমেই আমার মনে পরল আমি না রোযা ছিলাম! এক বারও মনে পরল না! আর আমি কিনা খেয়ে ফেলেছি এত কিছু! এখন তো কিছু করাও যাবে না! আয় হায়! পারলে তখন ডাক ছেড়ে কান্না করি!
আমার ফ্রেন্ড টা হাসতে হাসতে শেষ! আর আমি দাঁত কিড়মিড় করতে করতে শেষ!
এরকম আরও অনেক বার হয়েছে! ভুলে খেয়ে ফেলেছি! তবে এমন করে হয়নি কখনও। হয়ত পানি খেয়ে ফেলছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।