আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংবিধানকে কেন্দ্র করে দেয়া বক্তব্যকে ঘিরে হাইকোর্টে গন্ডগোল(বিভিন্য পত্রিকার খবরের বিশ্লেষন)

এক অসাম্প্রদায়িক উজ্জল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি ঘটনা সারসংক্ষেপ:পঞ্চম সংশোধনিকে কেন্দ্র করে দেয়া বক্তব্যের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে তুমুল বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। উল্লেখ্য, "এ সংবিধান ছুড়ে ফেলে দেয়া হবে"-খালেদা জিয়া ( ১৩ই জুলাই,২০১১) এবং "সংবিধান শুধু ছুড়ে ফেলা নয়,ডাস্টবিনে ফেলতে হবে"-মুফতি ফজলুল হক আমিনী(১৪ই জুলাই,২০১১) এ বক্তব্যের বিপরীতে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের একটি রিট আবেদনে বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের হাইকোর্ট দ্বৈতবেঞ্চ আদেশ দেয়ার সময় বিরোধিদলিয় নেতা(খালেদাজিয়া)প্রসংগ আসতেই বিরোধী দল-সমর্থকরা হইচই শুরু করে এবং একপর্যায়ে সরকার দলীয় এবং বিরোধী দলীয় আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতি,ধস্তাধস্তি ও বিশৃংখল পরিস্থিতি তৈরি হয়। আদালতের আদেশ:"সার্বভৌমত্বের প্রতিক হচ্ছে সংবিধান। এ নিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা ও আমিনীর বক্তব্যে পার্থক্য খুব ই অল্প। আমিনীর বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহমূলক হলে বিরোধীদলীয় নেতার বক্তব্যও অনুরূপ।

সংবিধান ছুড়ে ফেলে দেয়া বা ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়ার মত ধৃস্টতাপূর্ন বক্তব্য আমরা কোন অবস্থায় সহ্য করবনা। " ঘটনার শুরু:তখন বেলা ১টা। সংবিধান ছুড়ে ফেলা প্রসংগে খালেদাজিয়ার বক্তব্য পর্যালোচনায় আদালত বলেন,"আমরা খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয়ে শুনানি করছি। যদি কোন লোক সংবিধানকে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দিতে চান,তাহলে এটা রাষ্ট্রদ্রোহিতা। তাহলে তার দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

কোন দেশপ্রেমিক এধরনের কোন কথা বলতে পারেন না। যারা বলেন,তারা দেশের স্বাধীনটায় বিশ্বাস করেননা। তারা বিশ্বাস করেন অন্য কিছুতে.....বিরোধীদলীয় নেতাও এধরনের একটি কথা বলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। " মূলত এই কথা বলার পরই হট্টগোল শুরু হয়। বিরোধীদলীয় আইনজীবীরা চিৎকার করে নো নো বলতে থাকেন সরকারদলীয় ও বিরোধীদলীয় আইনজীবীরা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে শুরু করেন।

তখন জ্যেস্ঠ আইনজীবীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেস্টা করেন। আ্যটর্নি জেনারেল আদালতকে দুপুরের বিরতির নির্দেশ দেন। আবার ৩টার দিকে এজলাস শুরু হলে আবার যখন খালেদাজিয়ার বক্তব্য পর্যালোচনা শুরু হয় তখন আবার শুরু হয় হইচই। একপর্যায়ে বিরোধীদলীয় আইনজীবীদের আওমীলীগ-সমর্থক আইনজীবীরা চুপ থাকতে বললে দুইপক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পত্রিকা বিশ্লেষন:বিভিন্ন পত্রিকা বিভিন্ন আঙ্গীকে এ খবরটি প্রকাশ করেছে।

বিভিন্ন দিক থেকেই আছে ইতিবাচক ও নেতিবাচক উপস্থাপন বিশ্লেষন। আমরা এখন সেগুলোই আলোচনা করব। ১। শিরোনাম বিশ্লেষন: ক:দৈনিক "প্রথম আলো"র প্রধাণ শিরোনাম ছিল না এটি তবে অন্যতম একটি প্রধাণ শিরোনাম ছিল যা প্রথম পাতায় উপরের দিকেই ছাপা হল। প্রথম আলো সাধারণ মানুষের বিদ্যুত ও পানি সংকটকে প্রাধান্য দিয়ে প্রধাণ শিরোনাম করেছে।

একে ইতিবাচক হিসেবেই ধরা যায়। আর শিরোনামটি ছিল,"আইনজীবীদের হাতাহাতি",ছোট অক্ষরে লেখা ছিল হাইকোর্টের আদেশে খালেদা প্রসংগ,উত্তেজনা। এরূপ শিরোনাম নিরপেক্ষ এবং পড়তে আগ্রহ জাগায়। খ:দৈনিক "আমার দেশ"র প্রধান শিরোনাম(লাল ও বড় হরফে) ছিল,"খালেদা জিয়ার দেশপ্রেম নিয়ে কটাক্ষে হাইকোর্টে তুলকালাম : বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর বেঞ্চে আইনজীবীদের প্রতিবাদ "এরূপ শিরোনাম মানে সবচেয়ে বেশি গুরূত্ব দিয়ে "আমার দেশ" খবরটি ছেপেছে। আর কিছুটা দলীয় দৃষ্টিভঙ্গী ও প্রকাশিত হয়েছে।

কারণ,আদালত কখনো কাউকে কটাক্ষ করতে পারে না। সরাসরি নিন্দা বা বিচার করে। শিরোনামের মূল বিষয় কিছুটা এড়িয়ে গিয়ে খালেদা জিয়ার সংশ্লিস্টতাকেই বড় করে দেখানো হয়েছে,যা অনুচিত। গ:দৈনিক "নয়া দিগন্ত"র প্রধান শিরোনাম(লাল ও বড় হরফে) ছিল,"হাইকোর্টে হট্টগোল"ছোট হরফে ছিল"আমিনীর মামলায় বিরোধীদলীয় নেতাকে নিয়ে বিচারপতি মানিক-গোবিন্দর মন্তব্য" এরূপ শিরোনামের প্রথম অংশ নিরপেক্ষ হলেও ভাষাগত মাধুর্য কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। কারণ,এক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা বোঝাতে "হট্টগোল'' শব্দটি শ্রুতিমধুর নয় এবং সম্পূর্ন সফল নয়।

গ্রামীন হাট বাজার বা মেলার ক্ষেত্রে যদিওবা এ শব্দটি দারুণভাবে মানিয়ে গেলেও হাইকোর্টের মত দেশের অন্যতম পবিত্র এবং সর্বোচ্চ স্থানের বিশৃঙ্খলা বোঝাতে এ শব্দটি ব্যাবহার করা অনুচিত। তবে ছোট হরফে লেখা শিরোনাম নিয়ে যথেস্ঠ প্রশ্ন ওঠে। বিচারপতি মানিক-গোবিন্দ লেখা ঠিক নয়,যেহেটু তারা সম্মানিত বিচারপতি এবং জনসাধারনের নিকট অতি পরিচিত নয়। তাছাড়া,এটি তাদের ব্যাক্তিগত অভিমত নয়,আদালতের পক্ষ থেকে এ অভিমত ব্যাক্ত করা হয়েছে। অতএব এক্ষেত্রে "আদালতের মন্তব্য"কথাটিই শ্রেয়তর এবং নিরপেক্ষ।

ঘ:দৈনিক "জনকন্ঠ"র প্রধাণ শিরোনাম ছিল(লাল ও বড় হরফে),বিচারপতি টার্গেট ॥ নজিরবিহীন হামলা ০ আদেশ দেয়ার সময় বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা প্রিন্টারের ভাঙ্গা অংশ ও বোতল ছুড়ে মারেন ০ বাদী শাহরিয়ার কবিরের ওপর হামলা চালানো হয় ০ আদালত বলেন, খালেদা জিয়া ও আমিনীর সংবিধান নিয়ে দেয়া বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল জনকন্ঠ ''নজিরবিহীন হামলা"শিরোনামটি সবচেয়ে বড় হরফে এবং লাল কালিতে দিয়েছে এবং সাথে ঘটনার কল্পিত একটি ছবিও দিয়েছে। এতে বলা যায় যে ,এ পত্রিকাটি ঘটনাটিকে সবচেয়ে বেশি গুরূত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে। তবে "নজিরবিহীন"শব্দটি আদতেই ঠিক নয়। কারণ এর আগে এই ঘটনার চেয়ে ও ভয়াভ ঘটনা আদালতে ঘটেছে। বিচারপতির দরজায় লাথি মারা,ভাঙচুড় থেকে কাউকে পিটিয়া মারার ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে যার নজির এখনো মেলেনি।

তাই এ শব্দটিকে পাঠক আকর্ষণ করার অনাবশ্যক চেস্টাই মনে হয়। তাছাড়া,পত্রিকাটির কিছুটা দলীয় দৃস্টিভঙ্গী ও এতে প্রকাশিট হয়। কেননা,হইচই বা হামলা বিরোধীদলীয় আইনজীবীরা শুরু করে। এটিকেই মাত্রাতিরিক্ত গুরূত্ব দিয়ে সরকারদলীয় আইনজীবীদের ভূমিকাকে কিছুটা এড়ানো হয়েছে। ২।

বিস্তারিত খবরের বিশ্লেষন: ক। নিরপেক্ষতা ও বস্তুনিস্ঠতা:"প্রথম আলো" সংবাদ উপস্থাপনাকে কিছুটা নিরপেক্ষ ও বস্তুনিস্ঠ মনে হয়েছে। তাদের খবরটি তুলনামূলকভাবে সংক্ষিপ্ত ও বটে। প্রথম লাইন থেকে শেষ লাইন পর্যন্ত এই সংবাদটি উপস্থাপনায় সাংবাদিক খুব সতর্ক থেকেছেন বলে মনে হয়। দলীয় বা রাজনৈতিক প্রভাব লেখায় যাতে না ফুটে ওঠে সে প্রয়াশ স্পস্ট যখন ১ম লাইন ই লেখা হয় এভাবে" সংবিধানকে নিয়ে বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতার কথা বললেন হাইকোর্ট।

তবে আদালতের অভিমতে বিরোধীদলীয় নেতার প্রসঙ্গ আসায় দুই পক্ষের আইনজীবীর মধ্যে আদালতকক্ষে হাতাহাতি ও বিশৃঙ্খলার সৃস্টি হয়। " যেখানে অন্য পত্রিকাগুলো লিখেছে," সংবিধান নিয়ে বিরোধী দলের নেত্রী খালেদা জিয়া ও ইসলামী ঐক্যজোটের ফজলুল হক আমিনীর বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। মঙ্গলবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। (দৈনিক জনকন্ঠ) "বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক ও গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চের রুলের বাইরে আদেশকে কেন্দ্র করে গতকাল এজলাসে আইনজীবীদের মধ্যে দুই দফায় প্রায় ৪০ মিনিট হট্গোল ও সংঘর্ষ হয়েছে। "(দৈনিক নয়া দিগন্ত) "বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার দেশপ্রেম নিয়ে কটাক্ষ করায় হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বেঞ্চের সামনে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন আইনজীবীরা"(দৈনিক আমার দেশ) খ।

রাজনৈতিক দৃস্টিভঙ্গীর প্রকাশ:রাজনোতিক বা দলীয় মনোভাবের প্রকাশ ঘটেছে পত্রিকাগুলোতে যথেচ্ছচারভাবে। দৈনিক নয়াদিগন্তে দেখা গেছে,আ্যটর্নি জেনারেলের মন্তব্যের আগে এবং অধিকতর বিস্তারিতরূপে প্রতিবাদকারী আইনজীবীর মন্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে। আমিনীকে কেন তলব করা হয়েছে সে কারণ ও সবকিছুর নিচে উপস্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া মূলট কার এবং কোন রিট আবেদনকারীর শুনানিতে এসব প্রসঙ্গ এসেছে তাও লেখা হয়েছে অগুরূত্বপূর্নভাবে এবং অনেক পরে। দৈনিক "আমার দেশ" এ সংবাদটি ছাপা হয়েছে অধিকতর দলীয় বিবেচনায়।

"মুফতি ফজলুল হক আমিনী জানান, তিনি তার বক্তব্যে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কিছু বলেননি। তার বক্তব্যটি ছিল সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। তিনি বলেছিলেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই রূপক অর্থেই তিনি এটি ডাস্টবিনে ফেলে দেয়ার কথা বলেছিলেন। " কৈফিয়তসূচক এ জবাবদিহি উল্লেখ করে তার অপরাধকে হালকা করার ক্ষীন প্রয়াস লক্ষ করা গেছে।

আবার লেখা হয়েছে,"সরকারদলীয় আইনজীবী ও অ্যাটর্নি জেনারেলের দফতরের আইন কর্মকর্তারা তখন বিরোধী দলের আইনজীবীদের প্রতি তেড়ে আসেন। "এই কথাটি শুধু আমার দেশ পত্রিকায় ই এসেছে যা ইঙ্গিতমূলক ও সন্দেহজনক। দৈনিক জনকন্ঠ আরেক কাঠি সরস। জনকন্ঠে কেন হাতাহাতি হল,এর কারণ টি এসেছে অনেক পরে। সরকারদলীয় আইনজীবীরা কারা কারা কী কী বক্তব্য রেখেছেন অনাবশ্যক বিস্তারিত উল্লেখপূর্বক তা আলোচনা করা হয়েছে মূল; ঘটনার কার্যকারণ বাদ দিয়ে।

আবার লেখা হয়েছে,"আদালতে বিএনপি জামায়াতের বিশৃঙ্খলা থামাতে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা আপ্রাণ চেস্টা করেণ। "যা স্পস্টই আওয়ামীপন্থী মনোভাবের ই পরিচায়ক। দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা আবার নিরপেক্ষতার প্রমাণ দেখাতে গিয়ে মূলত কারা হাতাহাতিতে প্রথম জড়িয়ে পরে বা ভাঙচুড় কারা করে তা এড়িয়ে গেছে। এমন সচেতনভাবে এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা দূর্বলতার পরিচয় বৈকি! গ। উল্লেখ্য ও অনুল্লেখ্য তথ্যাবলী:"দৈনিক আমারদেশ"পত্রিকায় অনেক অপ্রয়োজনীয় তথ্য প্রকাশ করেছে।

যেমন,"প্রথম রোজার দিন রোজা রেখেই তিনি সারাদিন কোর্টে ছিলেন। " আবার,এমন কিছু তথ্য দিয়েছে যা অন্যান্য পত্রিকায় আসেনি। এটি ইতিবাচক। এবং খবরে ভিন্যতা আনার জন্য সহায়ক। যেমন,"আইনজীবীরা তখন ‘কালা মানিকের চামড়া তুলে নেবো আমরা’, ‘ঘাদানি মানিকের আদেশ মানি না মানবো না’, ‘কালা মানিকের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’ স্লোগান দিতে থাকেন।

"তবে কোন আইজীবীরা তা উল্লেখ করা হয়নি। আবার ঘটনা বর্ননায় কিছুটা হাস্যরসাত্মক নাটকীয়তা সৃস্টির প্রয়াস ও লক্ষনীয়। যেমন:"বিকালে আদেশ দেয়ার পর হৈচৈ-হট্টগোল শুরু হলে আসন ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে বিচারপতির আসনের পেছনে দাঁড়াতে দেখে আইনজীবীরা শ্যাম শ্যাম ধ্বনি তোলেন। এতে বিচারপতি দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে চলে যাওয়ার জন্য ইশারা করলে তারা তত্ক্ষণাত্ দ্রুত পেছন থেকে কেটে পড়েন। " দৈনিক নয়া দিগন্তে লেখা হয়েছে কীভাবে হাতাহাতির সূত্রপাত হয় সেসম্পর্কে অধিকতর বিস্তারিতভাবে।

লেখা হয়,"তারা একে অপরের শার্টের কলার চেপে ধরেণ"এই লাইনটি অন্য পত্রিকাগুলোতে আসেনি। তবে আ্যটর্নি জেনারেলের বক্তব্য তুলনামূলকভাবে বেশি বিস্তারিত এসেছে। যেমন,লেখা হয়েছে,"এবিষয়টি যদি নরমভাবে দেখা হয় তবে সংবিধান ,বিচারব্যাবস্থা ও সভ্যতা ভেঙে পড়বে। পৃথিবীর ইতিহাসে কোন ব্যক্তি সংবিধানের বিরুদ্ধে এ ধরণের কথা বলেছে বলে আমার জানা নেই। " দৈনিক জনকন্ঠে লেখা হয়েছে বেশি বিস্তারিতভাবে এবং এমন অনেক তথ্য এসেছে যা অন্যান্য পত্রিকাগুলোতে আসেনি।

শাহরিয়ার কবির ও মুনতাসীর মামুনের বক্তব্য এতটা বিস্তারিত ও গুরূত্বের সাথে ছাপেনি কেউ। যেমন,"আদেশের পর একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবির ও সহসভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন জনকণ্ঠকে বলেন, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বিচারপতিসহ আদালতে তালেবানী স্টাইলে আক্রমণ করেছেন"একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, '৬৭ সালে পার্লামেন্টে যেভাবে শাহেদকে পিটিয়ে মারা হয়েছে একই কায়দায় বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা আমার ওপর হামলা করেছেন। হাইকোর্টের দুজন বিচারপতির উপস্থিতিতে বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা নজিরবিহীন সন্ত্রাসী কর্মকা- ঘটিয়েছেন। তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। তাঁরা বিচারপতিদের অশস্নীলভাবে গালাগালি করেছেন।

আমার ওপর হামলা করেছেন। তরম্নণ আইনজীবীরা ঢাল হয়ে আমাকে রৰা করেছেন। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে একজন বিচারপ্রার্থীর জীবন ও বিচারপতিদের জীবন বিপন্ন হলে যাব কোথায়। কেন আমি খালেদা জিয়ার কথা বললাম। প্রধানমন্ত্রীর কথায় অসনত্মোষ হলেও আদালতের দ্বারস্থ হব।

বিরোধীদলীয় নেত্রী কি সংবিধানের উর্ধে? বিরোধী দলের নেতা সংবিধান ছুড়ে ফেলার কথা না বললে আমিনী সাহস পেত না। উস্কানি দিয়েছে খালেদা জিয়া। আমার দাবি আদালতের এজলাসে সিসিটিভি বসানো হোক। " আবার,"ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহসভাপতি, গবেষক অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন জনকণ্ঠকে বলেছেন, আইনজীবীদের ব্যবহার যদি এমন হয় তা হলে তাদের ক্যাডারদের ব্যবহার কেমন হবে সেটা অনুমেয়। বোঝা যাচ্ছে জঙ্গীরা তথা বিএনপি-জামায়াত মরিয়া হয়ে উঠেছে।

আদালত থেকে শুরম্ন করে সব কিছু ভাংচুর করে একটা ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে চাচ্ছে। তাদের ধারণা এতে করে তাদের ৰমতা আসার পথ প্রশসত্ম হবে। যেমন হয়েছিল ১৯৭৫ সালে। তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি আইনজীবী যাঁরা হবেন যাঁরা সনদ পাবেন তাঁদের জন্য বেশ কিছু শর্ত থাকে। সেই শর্ত ভঙ্গ করার পর যদি কেউ আইনজীবী থাকেন তাতে আইন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়ে, যা বিচার বিভাগের ওপর বিশাল হুমকিস্বরূপ।

নিমর্ূল কমিটির পৰ থেকে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে এটাই প্রমাণ হয়েছে আদালতে জঙ্গীবাদের উত্থান হয়েছে। " ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।