আকাশ বলে তো কিছু নেই। গত ১৩ জুলাই বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে করা বিএনপির গণ অনশনকালে এক বক্তৃতায় বেগম জিয়া বলেছিলেন “ক্ষমতায় গেলে এ সংবিধানকে ছুঁড়ে ফেলে দিবেন”। বেগম জিয়ার বক্তব্য নিয়ে বিস্তারিত আলাপের জন্য দৈনিক মগবাজারের বিশেষ টিম ছুটে যায় দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাসায়। সে সময় নেয়া সাক্ষাতকারের উল্লেখযোগ্য অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
দৈ.ম : গতকাল অনশনের সময় কি কি খেলেন?
ফ.আ : আমি তেমন কিছু খাইনি, কয়েকটা আনারসের টুকরা খেলাম। কিছু একটা খাওয়া খুব জরুরী ছিলো।
না খেলে আমাদের প্রধান শরীক রাগ করতো।
দৈ.ম : বিষয়টা একটু বুঝিয়ে বলবেন?
ফ.আ : আসলে একমাত্র রমজান ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে উপোষ থাকা গুনাহে কবীরাহ। বিষয়টি আমরা জানতাম না। পরে জামায়াত নেতাদের পরামর্শে মারাত্মক এ গুনাহ থেকে নিস্তার পাই। তাই কিছুটা হালকা খাবার খেয়েছি।
দৈ.ম : আপনাদের নেত্রী বলেছেন ক্ষমতায় গেলে সংবিধান ছুঁড়ে ফেলে দিবেন। এটা কি তিনি নিজের হাতে ছুঁড়ে ফেলবেন? সংবিধানের মতো একটা বাজে জিনিস তিনি কোথায় ছুঁড়ে ফেলবেন?
ফ.আ : বাংলাদেশের সংবিধান আমাদের কাছে ইউজ করা কনডমের মতো। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই এর ব্যবহার শেষ করেছেন। ওই সময় অধিক ব্যবহারের ফলে বেশ কয়েকটি ফুটো সৃষ্টি হয়। এখন সময় এসেছে ছুঁড়ে ফেলে দেয়ার।
ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে আমার হাতে ফেলার ইচ্ছে আছে। তবে কোথায় ফেলবো, তা এখনো ঠিক করিনি।
দৈ.ম : আওয়ামীলীগ কেন এ ব্যবহৃত কনডম ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছে না?
ফ.আ : আওয়ামীলীগতো কনডমের ব্যবহারই জানে না। বিচারপতি লতিফুর রহমানের তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দেখেছেন জয়নাল হাজারীর বাসা থেকে প্রচুর অব্যবহৃত কনডম উদ্ধার করেছিলো পুলিশ। এবার আমাদের নেত্রীর বাসায় পর্নো ম্যাগাজিন পাওয়া গেলেও কোন কনডম পাওয়া যায়নি।
দেশের যেকোন সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার একমাত্র বিএনপিই করতে জানে। এ জন্যই জনগন আমাদেরকে বারবার নির্বাচিত করে।
দৈ.ম : বেশ ভালো একটি প্রসংগ এনেছেন। আপনার প্রিয় কনডমের নাম কি?
ফ.আ : পাকিস্তানের তৈরি সাথী কনডমই এখন পর্যন্ত আমার খুব ভালো লেগেছে।
বিএনপির অফিসিয়াল কনডম
দৈ.ম : ব্যবহারে বেশ আরাম পাওয়া যায়?
ফ.আ : সত্যি কথা বলতে কি, সাথী কনডম বেশ ওজন।
ব্যবহারের পর অনেক দূরে ছুঁড়ে ফেলে দেয়া যায়। তবে বাংলাদেশের কনডমের বিজ্ঞাপনগুলো বেশ আকর্ষনীয়। যদিও ওজনে হালকা বলে আমরা ব্যবহার করি না।
দৈ.ম : বিরোধী দলীয় চীপ হুইপ জয়নাল আবেদিন ফারুক এখন কেমন আছেন? উনিও কি সাথী কনডম ব্যবহার করেন?
ফ.আ : সাথী কনডম আমাদের অফিসিয়াল কনডম। আমরা সবাই এ কনডম ব্যবহার করি।
দৈ.ম : আবার ফিরে আসি রাজনীতিতে…
ফ.আ : দেখুন কনডম নিয়ে রাজনীতির কিছু নেই। কনডম হচ্ছে ব্যবহারের জিনিস। ব্যবহার করবেন, তারপর ছুঁড়ে ফেলে দিবেন। ব্যস!
দৈ.ম : না, আমরা আসলে জানতে চাচ্ছিলাম রাজনৈতিক জীবনের অনেকগুলো মূহুর্ত কাটিয়ে এলেন; অনেক সফলতা জীবনে। আপনার আর কোন ইচ্ছে পূরনের বাকি আছে?
ফ.আ : রাজনীতিতে আর শেখার কিছু নেই, করারও কিছু নেই।
রাজনীতি নিয়ে আমার আর কোন ইচ্ছে নেই। তবে এমনিতে একটি বিশেষ শখ আছে। যদি কখনো সুযোগ পাই, তাহলে বাংলাদেশে একটি কনডমের বিজ্ঞাপনের মডেল হওয়ার ইচ্ছে আছে।
দৈ.ম : আমাদেরকে সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ফ.আ : আপনাদেরকেও ধন্যবাদ।
তবে যাবার আগে আমার পক্ষ থেকে সামান্য উপহার…।
দৈ.ম : দু:খিত, আমরা বিদেশী কনডম ব্যবহার করি না। দেশী কনডমেই আমাদের আস্থা বেশি।
দৈনিক মগবাজার থেকে নেয়া ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।