সত্যি কথার ভাত নেই এই বচনটা মনে হয় আমাদের দৈনিক পত্রিকাগুলোর বর্তমান সম্পাদকরা সবচাইতে বেশি বিশ্বাস করে। জনগন সাদাচোখে যা দেখতে পায় তাই লিখলে যদি সংবাদ হতো তাহলেতো সবাই সাংবাদিক হয়ে যেতে পারত। কারণ, সেক্ষেত্রে উদ্ভাবনী ক্ষমতার কোনো প্রয়োজন পড়ত না । সম্প্রতি বিএনপির চীফ হুইপ ফারুক আর পুলিসের মধ্যকার ঘটনার কথা স্মরণ করুন । সবাই দেখেছি প্রথম আলো এবং আমার দেশ এই পত্রিকা দুটোতে এই সংক্রান্ত সংবাদ আর ছবি । কোন পত্রিকার সংবাদ আপনার কাছে সত্য বলে মনে হয়েছিল? ভরসার কথা হলো, আমরা এই সময়ের মানুষ হওয়ায় খবরের পেছনের খবরও আমাদের জানা থাকতে পারে, আমরা বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য নিতে পারছি। ফলে আমার আপনার পক্ষে হয়ত সত্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব। কিন্তু ধরুন, যেখানে হয় আমার দেশ নয় প্রথম আলো, দুটোর একটি পড়ার সুযোগ আছে,সেখানে কোন সত্যি প্রতিষ্ঠা হবে? এসব দেখা জানার পর কেউ কি সত্য ঘটনার বর্ণনা দেয়ার পর আমাদের এখনকার পত্রিকাগুলোর রেফারেন্স দিতে পারবেন? মানে, তার বক্তব্য কি পত্রিকার ভাষ্যের সাথে মিলবে? আরো বিপদজনক ব্যাপার হলো, দূর ভবিষ্যতে কোনো গবেষক বা ইতিহাসবিদ যদি এই দুটো পত্রিকার কোনো একটি নিয়ে কাজ করে কোনো সিদ্ধান্তে পৌছতে চায়, সে সত্য থেকে কত দুরে থাকবে? মিথ্যার বেসাতি করা এই পত্রিকাগুলো শুধু আমাদেরকেই নয়, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকেও কি ঠকাচ্ছে না?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।