ফ্যাশনেবল, কিন্তু আরামদায়ক পোশাক চাই। এমন ধরনের পোশাক, যা সব সময় পরা যাবে। হোক তা অফিস বা বিশ্ববিদ্যালয়। সঙ্গে যদি লেস বা পাইপিং যোগ করে দেওয়া হয়, তাহলে নিমন্ত্রণেও অনায়াসে পরা যাবে। শুনলে মনে হবে, এ আর নতুন কী! তবে নতুন মোটিফে নতুন করে বানিয়ে নিলে নতুনত্ব থাকবে বৈকি।
বলছিলাম ব্লক প্রিন্টের সালোয়ার-কামিজের কথা।
কয়েক বছর ধরেই কমবেশি চল রয়েছে ব্লক প্রিন্টের। গত বছর কিছুটা কমলেও এ বছর আবার এর চাহিদা বেড়েছে। গরম আবহাওয়াই এর অন্যতম কারণ। ব্লক প্রিন্ট সাধারণত সুতি কাপড়ের ওপরই করা হয়।
খুব বেশি জবরজং নকশা ও কাজ থাকে না। ফলে গরমে আরাম খুঁজতে মেয়েরা বেছে নিচ্ছে এই পোশাক।
চৈতির স্বত্বাধিকারী সাইদুর রহমান বলেন, ক্রেতারা সাদামাটা নকশার মধ্যে ব্লক প্রিন্টের পোশাক কিনছেন। গরমে কেউই জাঁকজমক পোশাক পরতে চান না। তবে লন কাপড়ের নকশার একটা প্রভাব থাকছে এ সময়ের ব্লক প্রিন্টের পোশাকে।
বাজার ঘুরে দেখা গেল, হালকা রং, যেমন লেবু রং, কচুপাতা সবুজ, হালকা ফিরোজা, হালকা গোলাপি ও সাদার মধ্যে বিভিন্ন রঙের মোটিফ ব্যবহার করা হচ্ছে। আবার উজ্জ্বল রঙের কামিজ হলে সালোয়ার-ওড়না হচ্ছে সাদা রঙের।
কোনোটাতে থাকছে ফুলেল মোটিফ, কোনোটাতে জ্যামিতিক নকশা ও ফুলেল মোটিফের মিশেল। ফ্যাশন হাউস দর্জির স্বত্বাধিকারী সাশা মানসুর চৌধুরী বলেন, ব্লক প্রিন্টের কামিজে হাতায় ও ওপরের অংশে জ্যামিতিক নকশা থাকলে নিচের দিকে ফুলেল নকশা ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া কলকা নকশা কামিজে ব্যবহার করা হলে সালোয়ার ও ওড়নায় জ্যামিতিক নকশার চল রয়েছে।
ব্লক প্রিন্টেও ফিউশন হচ্ছে। তবে কামিজের ঝুল বেশি এবং কাটিংয়ে এক ছাঁট চলছে; সঙ্গে থ্রি-কোয়ার্টার বা ফুলহাতা।
পোশাক না কিনে নিজের মনের মতো করে বানিয়ে নেওয়ারও সুযোগ থাকে ব্লক প্রিন্টের পোশাকে। ঢাকার গাউছিয়া, নিউমার্কেট, প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টারসহ ছোট-বড় অনেক দোকানে ব্লক প্রিন্টের কাজ করা হয়। এক হাজার টাকার মধ্যে ব্লক প্রিন্ট করাতে পারবেন।
এ ছাড়া বাড়িতে বসেও নকশা করা ব্লক ও রং কিনে ব্লক করা যেতে পারে। ঢাকার বনানী ১১ নম্বরেও নানা দোকানে পাবেন ব্লক প্রিন্টের পোশাক।
ব্লক প্রিন্টের পোশাকে নিতে হবে বাড়তি যত্ন। অন্তত দু-তিনবার পরে ধুয়ে ফেলবেন। ধোয়ার সময় উল্টো করে মৃদু ক্ষারের পরিষ্কারক দিয়ে ধুতে হবে।
আর সরাসরি বা কড়া রোদে কখনোই ব্লক প্রিন্টের পোশাক শুকাতে দেবেন না। এতে রং জ্বলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমনকি ইস্তিরি করার সময়ও উল্টো করে নেবেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।