রংপুরের বদরগঞ্জে নির্যাতনের শিকার দুই গৃহবধূকে আগামী ৭ আগস্ট হাজির করতে বদরগঞ্জর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নির্যাতনের ঘটনা সম্পর্কে তাঁদের বক্তব্য শোনার জন্য এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
একই সঙ্গে সালিসে অংশ নেওয়া আবদুর রউফ মণ্ডলসহ চার আসামিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অন্য আসামিরা হলেন—মোজাহেদ আলী, ইলিয়াস আলী ও সেকান্দার আলী।
বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ আদেশ দেন।
এদিকে আদালতের নির্দেশ অনুসারে আদালতে হাজিরা দিয়ে বের হওয়ার পর পরই এই চারজনকে আটক করে পুলিশ।
গত ৭ জুলাই ‘সালিসে প্রকাশ্যে দুই গৃহবধূকে লাঠিপেটা’ শিরোনামে প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আদালতের নজরে এলে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আলতাফ হোসেন বিষয়টি উপস্থাপন করেন। এরপর আদালত ২৪ জুলাই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে (স্যুয়োমটো) রুল জারি করেন এবং বদরগঞ্জর থানার ওসি এবং সালিসে অংশ নেওয়া সাতজনকে আজ হাজির হতে নির্দেশ দেন।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় গ্রাম্য সালিসে দুজন গৃহবধূর ওপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়।
মাতবরদের নির্দেশে উপস্থিত শত শত লোকের সামনে তাঁদের লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। উপজেলার রাজারামপুর কাশীগঞ্জ গ্রামে গত ২৬ জুন এ ঘটনা ঘটে।
আদালতের নির্দেশ অনুসারে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওসি তোবারক, গ্রেপ্তার হওয়া তিন আসামি এনামুল হক, এনামুল হোসেন, আয়নাল হক ও সালিসে অংশ নেওয়া অপর চারজন হাজির হন।
আদালত থেকে বেরিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আলতাফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার না হওয়া আসামিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনের ৭, ১০ ও দণ্ডবিধির ১২০, ১৪৭, ৩২৫, ২০৩ ধারায় অভিযোগগুলো তুলে ধরতে বলেছেন।
এসব ধারায় কী রয়েছে—এর জবাবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, অপহরণ, নির্যাতন, ষড়যন্ত্র ও অবৈধ সমাবেশ করার বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট ধারাগুলোতে রয়েছে।
সূত্রঃ প্রথম আলো ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।