আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এলিয়েনদের উপর পীথাগোরাসের প্রেমোপাদ্য রচনার প্রচেষ্টাঃ

বিজ্ঞানী শিমুল ৫০৬১ সাল। আমি আমার বাইন্দাবুলার ব্যাসাকু যান নিয়ে রাস্তায় ঘুরতেছি। আশেপাশের সব এলিয়েনগুলো আমার দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে। আমার হাতে ছিল স্যাম্বিয়ান ৫০০০ ভার্সনের একটি ঘড়ি। এলিয়েনগুলো এই ঘড়িটার দিকেই তাকিয়ে ছিল।

এই ঘড়ি দিয়ে প্রযুক্তি নির্ভর সকল কাজ করা যায়। লেখালেখি থেকে শুরু করে, ১০০০জি গতিতে নেট ব্রাউজ, গ্যামিং সব। ঘড়িটা প্রথম আবিষ্কার করেছে বিজ্ঞানী শিমুল। এই ব্যাপার নিয়ে সমগ্র এলিয়েন সমাজ পীথাগোরাস ও বিজ্ঞানী শিমুলকে হিংসা করে। তারা জানে বিজ্ঞানী শিমুল ও পীথাগোরাসের অসামান্য জ্যামিতি চর্চা বিজ্ঞান সাধনার জোরে এরা এখনও পৃথিবীর বুকে টিকে আছে।

পীথাগোরাসকে হিংসা করার মূল কারণ তারা আরও আড়াই হাজার বছর পূর্বে দুনিয়ার সকল মানুষকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দিয়েছে। বাকী শুধু পীথাগোরাস ও বিজ্ঞানী শিমুল। কোন ভাবেই এদের ঝাঁটানো যাচ্ছেনা। পীথাগোরাস ও বিজ্ঞানী শিমুল হচ্ছে একই দেহে দুইটি আত্মার সমাহার। এলিয়েন সমাজ যখন পৃথিবী থেকে অন্যান্য সকল মনুষ্য প্রজাতিকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করছিল তখন তাদের দুইটি আত্মা একিভুত হয়ে যায় একই দেহের ভেতর।

তারপর সেই দেহ নিয়ে দুইজন পালিয়ে যায় শীতল ঘরে। সেখানে তারা আড়াই হাজার বছর গবেষণা করে অনেক কিছুই আবিষ্কার করে। এদের মাঝে উল্লেখযোগ্য হল বাইন্দাবুলার যান, স্যাম্বিয়ান ৫০০০ ভার্সনের একটি ঘড়ি। এগুলো নিয়ে তারা আবার পৃথিবীতে ফিরে আসে। কিন্তু হায় ফিরে এসে দেখে পৃথিবীতে একটা মানুষকে থাকতে দেয়নি এলিয়েন সমাজ।

সবাইকে ঘাড় ধরে সোজা ইউরেনাস গ্রহে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এয়ার এতদিন শীতল ঘরে ছিল বলে তাদের শরীরে তিন কোটি প্রজাতির ভিটামিন যুক্ত হয়ে গেছে। তাই কোন এলিয়েন তাদের ক্ষতি করতে পারছেনা। কিন্তু কিছু গণ্ডমূর্খ এলিয়েন অবশ্য এখন পীথাগোরাসের পাচাটা গোলাম হয়ে গেছে। এদেরকে নিয়ে পীথা ও বিজ্ঞানী যা খুশি তাই করে বেড়াচ্ছে পৃথিবীতে।

তারা এখন প্ররথিবীতে আসা সকল নারী খুঁজে বেড়াচ্ছে প্রেমোপাদ্য রচনা করার জন্য। এদের উপর তত্ত্ব প্রয়োগ করার জন্য। কিন্তু তাদের হাতে থাকা এসব দামী যন্ত্রপাতিগুলো এখনও এলিয়েনদের লিঙ্গ সনাক্ত করতে পারেনি। শেষখবর পাওয়া পর্যন্ত টাইম মেশিনে চড়ে তারা সারা পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। আর এলিয়েনগুলো দুই মাথাওয়ালা একই দেহের পীথা ও বিজ্ঞানীকে দেখে সব সময় ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থাকে।

গবেষণা চলবে অনন্তকাল। এগুলো নিয়ে তারা এখন ফেসবুকে স্ট্যাটাস ও ব্লগিং করবে ১০০০ জি স্পীডে। টাইটেলঃ এলিয়েনদের উপর পীথাগোরাসের প্রেমোপাদ্য রচনার প্রচেষ্টাঃ- লেখকঃ পীথাগোরাস ও বিজ্ঞানী ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।