রাডার, স্যাটেলাইন- সব কিছুর চোখ ফাঁকি দিয়ে ২৩৯ আরোহী নিয়ে গায়েব হয়ে গেছে মালয়েশিয়ান বিমানটি। সপ্তাহব্যাপী স্থল, সাগর তন্ন তন্ন করে খুঁজেও মেলেনি বিমানের কোন নিশানা। অবশেষে বিমান হারানোর দায় উঠছে ভিনগ্রহের প্রাণী বা এলিয়েনদের ওপর! কিছু ইউএফও (অজানা উড়ন্ত চাকতি) অনুসন্ধানী প্রতিষ্ঠান এরইমধ্যে তদন্তকারী দলগুলোকে বিমান নিখোঁজের পেছনে ভিনগ্রহের অতি বুদ্ধিমান প্রাণীদের জড়িত থাকার সম্ভাবনার বিষয়টি খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছে।
এ বিষয়ে দ্য মিউচ্যুয়াল ইউএফও নেটওয়ার্ক (এমইউএফওএন) নামে একটি মার্কিন প্রতিষ্ঠানের প্রধান জেনারেল সি. হারজান বলেন, ‘আমরা এখনো বিমানটি নিখোঁজের সময়ে ওই অঞ্চলে কোনো ইউএফও দেখা গেছে বলে রিপোর্ট পাইনি। ঐতিহাসিকভাবেও যেখানে বিমানটি নিখোঁজ হয়েছে সেখানে ইউএফও খুব একটা দেখা যায়নি।
তবে কোনো সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। ’
এমইউএফওএন এর পেনসিলভেনিয়া রাজ্য প্রধান জন ভেঞ্চার বলেন, ‘বিমানটির ক্ষেত্রে বিস্ফোরণ, ছিনতাইসহ সব ধরনের সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই কিছু নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাই কিছু গবেষক এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে, বিমানটি এবং এর যাত্রীদের এলিয়েনরাই অপহরণ করেছে। ’
তিনি আরো বলেন, ‘মার্কিন সেনাবাহিনী রাডার, স্যাটেলাইটসহ সব কিছু দিয়ে বিমানটির খোঁজ বের করার চেষ্টা করেছে।
আমরাও বিষয়টির দিকে নজর রাখছি। কিন্তু সত্য এখনো উদঘাটন হয়নি। উচ্চ প্রযুক্তির এই যুগে এত বড় একটা বিমান 'হাওয়া' হয়ে গেল কীভাবে?’
উল্লেখ্য, গত ৭ মার্চ মধ্যরাতে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে রহস্যময়ভাবে নিখোঁজ হয় মালয়েশীয় এয়ারলাইন্সের বিমানটি।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।