আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশ এখন এক পুলিশি রাষ্ট

নিজেরে চিনি না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুল কাদের তার উপর পুলিশি নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে আদালতে বলেন, গ্রেপ্তারের পর দিন সকালে খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন থানায় এসে স্বীকারোক্তির জন্য তাকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে ওসি নিজ হাতে কাদেরের পায়ে চাপাতি দিয়ে কোপ দেন। কাদের জানান, ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় মা ও বোনকে নিয়ে ইন্ধিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে 'রবীন্দ্র সংগীত সন্ধ্যা' উপভোগ করে রাত ১০টার দিকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের কোয়ার্টারে খালার বাসায় যান তারা। সেখানে খাওয়া দাওয়া করে রাতে হলে ফেরার জন্য বাসা থেকে বের হন তিনি। "সেগুন বাগিচায় দুদক অফিসের সামনে আসার পর দেখি, সিভিল ড্রেসে পুলিশ কিছু লোকজনকে ধাওয়া করছে।

তখন আমি মনে করলাম, এলাকার দুই গ্র"পের মধ্যে হয়তো সংঘর্ষ লেগেছে। দৌঁড় দিলে যে কোনো পক্ষ আমাকে প্রতিপক্ষ মনে করতে পারে ভেবে আমি সেখানে দাঁড়িয়ে যাই। " এরপর সাদা পোশাকের একজন পুলিশ কাদেরকে ধরলে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর পরিচয় দেন। ওই পুলিশ সদস্য তখন বলেন, "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাই বেশি ডাকাতি করে। " "এরপর তারা আমাকে পিটাতে শুরু করে।

এক পর্যায়ে আমার সংজ্ঞা হারানোর দশা হয়। গ্রেপ্তারকৃত অন্য একজনকে দিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করানো হয়- যে আমি তাদেরই সঙ্গী। এরপর কাদেরকে খিলগাঁও থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। আদালতের এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, "পরদিন আমাকে আদালতে নেওয়া হয়েছে। তবে কোনো ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নেওয়া হয়নি।

" এ সময় বেঞ্চ কাদেরের শরীরে মারের দাগ দেখতে চাইলে তিনি টি শার্ট খুলে তা দেখান। এ জেন এক পুলিশি রাষ্ট। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.