emotional fool
জুয়াড়িরা নতুন ফাঁদ পেতেছে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের ধরতে। লোভনীয় সব অফার দিয়ে সর্বশান্ত করা হচ্ছে গ্রাহকদের। এতে থাকছে গ্যালাক্সি-৪, ল্যাপটপসহ নানা রকম আকর্ষণীয় অফার। আর এর শিকার হচ্ছেন উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা।
প্লে ২ উইন (খেলো এবং জিতো) গ্যালাক্সি ৪ ফোন সেট।
প্রতি সপ্তাহে ৫০টি সেট দেওয়া হচ্ছে। এ রকম এসএমএস হর- হামেশাই মিলছে সবার ফোনেই। একই দিনে একাধিক অফার পাচ্ছে কেউ কেউ। কেউ বিষয়টি উড়িয়ে দিলেও অনেকে লোভে পড়ে পকেটের টাকা উজাড় করে দিচ্ছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের ভাগ্যে জুটছে শূন্য।
যখন বুঝতে পারছেন তখন আর তার করার কিছুই থাকছে না।
একটি এসএমএস দেওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে নতুন প্রশ্ন দেওয়া হয়। তিনি উত্তর দিতেই অভিনন্দন জানিয়ে আবার এসএমএস করা হয়। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১০ নম্বর ও ভূল উত্তরের জন্য ৫ নম্বর তার একাউন্টে জমা হতে থাকে। এ ভাবে ৩০০ নম্বর হলে তাকে এসএমএস দেওয়া হয় ৪’শ নম্বর হলে আপনি লটারির জন্য তালিকাভুক্ত হবেন
খুবই সাধারণ মানের প্রশ্ন করা হয় তাকে।
বাংলাদেশের জাতীয় পাখির নাম, ফলের নাম, মাছের নাম, ফুলের নাম, রাজধানীর নাম এমন সব প্রশ্ন। এমসিকিউ(মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চন)পদ্ধতিতে প্রতি প্রশ্নের উত্তরের জন্য দু’টি করে অপশন। যার মধ্যে একটি বেছে নিতে হবে। শুধু উত্তরের নম্বর এসএমএস করতে হবে।
এ ভাবে প্রতিনিয়ত কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে জুয়াড়িরা।
ফোন কোম্পানিগুলো এর সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তারা এসএমএস চার্জ পাচ্ছেন। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে জুয়াড়িরা কিনছে কোড। আর কোড নম্বর দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্র
জুয়াড়িদের পাশাপাশি ফোন কোম্পানি গুলোও এ ধরনের অফার দিচ্ছে। তবে কোম্পানিগুলোর অফারে কিছুটা ভিন্নতা।
ফোন কোম্পানিগুলোর অফারে থাকছে ‘আপনি আগের মাসের চেযে বেশি ব্যবহার করলেই লটারির জন্য বিবেচিত হবেন। আবার অনেক সময় প্রশ্ন দেওয়াও হচ্ছে। ’
গ্রামীণ ফোনের কাস্টমার কেয়ার অফিসার সাইফ ‘ফোন কোম্পানি অফার দিলে তার নিচে ফোন কোম্পানির নাম থাকবে। অনেক সময় ইন্টারনেট অপশন থেকেও এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। ’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।