সব শেষ হয়ে যাবার পরও, কিছু স্বপ্ন বেঁচে থাকে- সব সময় আজ সকালে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিলাম । ঘড়ির কাঁটায় তখন ৮টা বেজে ৩০মিনিট । ৯টায় পরীক্ষা । মেস থেকে বেড়িয়ে কয়েকটা বাসা পেরেয়ি ছোট গলি থেকে বড় গলিতে গিয়ে দেখি রাস্তায় একটি খাঁটিয়া রাখা হয়েছে । খাঁটিয়ায় শুয়ে আছেন বাবলু ভাই ।
গতকাল বিকেলে এক সড়ক দূর্ঘটনায় তাঁর দেহ ক্ষত বিক্ষত হয়ে গেছে ।
ঢাকা সিলেট মহাসড়কে তাঁর মটর সাইকেলটিকে প্রথমে একটা বাস ধাক্কা দেয় তারপর অপর পাশ থেকে আসা একটি ট্রাক তাঁকে পিষ্ট করে চলে যায় ।
রক্ত জমে কালো হয়ে যাওয়া দুটো চোখ দেখে বোঝা যাচ্ছিলো স্পষ্ট- মৃত্যুর আগে সে তাঁর দুই অবুঝ সন্তানের চেহারা কল্পনা করেছিলো নিশ্চিত ।
তাঁর স্ত্রী এবং মাকে দেখতে পেলাম দু তলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে তাঁদের প্রাণের মানুষটিকে শেষ দেখা দেখছেন ।
অবুঝ দুটো ছেলে মেয়ে কিছুই বোঝে না তারপরও কাঁদছে ।
সবার কান্না দেখে কাঁদছে ।
এলাকার পরিবেশ থম থমে হয়ে আছে । আবার কাল থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে । আবার আরেকটি দূর্ঘটনা হবে । আবার থমথমে হবে এলাকা ।
তারপর আবার দূর্ঘটনা ।
এই দেশের মানুষ শোকে অভস্ত্য হয়ে গেছেন । এ দেশে জন্মালে কুকুরের মতো মরতে হবে । অব্যবস্থাপনায় ডুবে আছে সব কিছু । সড়ক নির্মান থেকে যান চলাচল, সব কিছুতেই আমাদের অনিয়ম ।
সবার মধ্যে এখন কোনো রকমে দিনাতিপাত করার ব্যাপক প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় । রুট পারমিট ছাড়াই এদেশে গাড়ি চলতে পারে । ঘুষ দিলে ফিটনেসবিহীন গাড়ি হয়ে যায় ফিট । টাকা ছাড়লে ড্রাইভিং লাইসেন্স দকরকার হয় না । অশিক্ষিত গোঁয়ার ট্রাফিক আইন না জেনে লুঙ্গি পরে একশো জীবিত মানুষকে পেছনে বসিয়ে স্টেয়ারিং ধরে বসে পরে ।
আর কতো ? এখন সহ্য হয় না আর । তোমরা কয়দিন সহ্য করবা ? 'নিরাপদ সড়ক চাই' কথাটা আর কয় দিন স্লোগানে বন্দী থাকবে ? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।