আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খালেদার বিরুদ্ধে দুদকের মামলার প্রস্তুতি : দুর্নীতি করলে শাস্তি হোক- না করলে নয়

জাতির মৃত বিবেক জাগ্রত করতে চাই খালেদার বিরুদ্ধে দুদকের মামলার প্রস্তুতি : দুর্নীতি করলে শাস্তি হোক- না করলে নয় ভৈরব সেতু নির্মাণ ও জিয়াউর রহমান চ্যারিটেবল ট্রাস্ট পরিচালনায় দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমান ও সাতজন সাবেক মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সাবেক বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ভৈরব সেতু নির্মাণে সরকারের কোষাগার থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও জিয়াউর রহমান চ্যারিটেবল ট্রাস্ট পরিচালনায় ৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। সূত্র জানায়, দুটি অভিযোগের আলাদা প্রতিবেদন এরই মধ্যে দুদক কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করা হয়েছে। জিয়াউর রহমান চ্যারিটেবল ট্রাস্টের হিসাব খোলা হয় সোনালী ব্যাংক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় শাখায়। অবৈধ উপায়ে অর্থ সংগ্রহ করে ব্যাংক হিসাবে জমা দিয়ে অস্বাভাবিক লেনদেন করে মানি লন্ডারিং আইন, ২০০২ ও ২০০৯ লঙ্ঘন করে অপরাধ সংঘটিত করা হয়েছে।

প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী চ্যারিটেবল ট্রাস্টের লক্ষ্য অনুযায়ী ওই টাকা খরচ করা হয়নি। ব্যক্তিস্বার্থে খরচ করা হয়েছে ওই টাকা। এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে তারেক রহমানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ট্রাস্টের টাকা সংগ্রহের কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, তার এপিএস জিয়াউল ইসলাম ও ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকার এপিএস মনির হোসেনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ভৈরব সেতু সাবেক চারদলীয় জোট সরকারের সময় ভৈরব সেতু নির্মাণে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ও জিয়াউর রহমান চ্যারিটেবল ট্রাস্ট পরিচালনায় ৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা আত্মসাতের তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে দুদক।

সাবেক চারদলীয় জোট সরকারের সময় রাজধানীতে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে ৬, মইনুল হোসেন সড়কে খালেদা জিয়ার আগের বাড়ির ঠিকানায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল জিয়াউর রহমান চ্যারিটেবল ট্রাস্ট। এ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার জন্য পল্টন এলাকায় ৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকায় ৪৫ শতাংশ জমি কেনা হয়। জমির দলিলে ক্রয় মূল্য উল্লেখ করা হয় ৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এ ট্রাস্টের ব্যাংক হিসাবে মোট জমা হয়েছিল ৮ কোটি টাকারও বোশি। এ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার ক্ষেত্রে ওই টাকা কোন উৎস থেকে আনা হয়েছে, কে বা কারা দান করেছে অথবা অনুদান দিয়েছে, এ সংক্রান্ত উৎসের হদিস পাওয়া যায়নি।

ট্রাস্টের ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। বিষয়টি আপনী কোন দৃষ্টিতে দেখবেন, রাজনৈতিক মামলা নাকি দুর্নীতির বিরুদ্ধে মামলা। আপনী যাই ভাবুন না কেন, সত্য ঘটনা যাই হোক না কেন বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিকমহলে উত্তাপ ছড়াবে। এক পক্ষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে আর এক পক্ষ দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্তের পক্ষে অবস্থান করে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। তবে সত্য হলো বর্তমানে পৃথিবীর অপরাপর দেশের সাথে প্রতিযোগীতায় পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশে দুর্নীতি, অনিয়ম, দু:শাসন, মানবতাবিরোধী নষ্ট সমাজ, প্রতিহিংসা, দলীয় করণ অল্যাণকর সবকিছুই প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে এ রাজনীতিকদের নগ্ন হস্তপেক্ষে।

বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মান ক্ষুন্ন হয়েছে। দুর্নীতি অনিয়মে বাংলাদেশ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। আমরা কারো পক্ষ নেব না দুর্নীতি পরায়ণকে দুর্নীতিবাজ, সেচ্চাচারিকে সেচ্চাচার, অপরাধীকে অপরাধী, অন্যায়কে অন্যায় বলবো। আমরা ত্রিশ লাখ প্রাণ আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এসব দুর্নীতিবাজ, রাষ্ট্রদ্রোহীদের হাতে শোষিত হতে নয়, কারো চাটুকারিতা করতে নয়।

আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম জননীর মুখে হাসি ফোটাবার জন্য। জোট সরকার দুর্নীতি চ্যাম্পিয়ান সরকার হলে কোনভাবেই তার নেতৃত্বে থাকা খালেদা জিয়া, তাকের রহমানকে আমরা দুর্নীতিমুক্ত বলতে পারিনা। অপরদিকে আমাদের দেশে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হয়রানি করার সংস্কৃতিকেও অস্বীকার করতে পারি না। ঘটনা যাই হোক আমরা চাইবো অপরাধী তার শাস্তি পাক, আমাদের রক্ত ঝরা ঘামে অর্জিত অর্থ আর কেউ আত্মসাত না করুক, দুর্নীতি অনিয়ম হাহাকার থেকে মুক্তি পাক দেশের খেটে খাওয়া মানুষ। আপরাধী কার স্ত্রী-পুত্র বা কন্যা, কোন দলীয় নেতা তা বিবেচ্য নয়।

আমরা অপরাধীকে কেবল অপরাধের মানদণ্ডেই বিবেচনা করব। অপরাধী যেই হোক তাকে শাস্তি পেতে হবে। আমরা আমাদের রক্ত ঝরা ঘাম আর কাউকে বেচতে দেব না। কারো কথায় স্বার্থান্ধের মতো রাজপথে ভাংচুর অগ্নিসংযোগ চালাবো না। নিজের মাথায় নিজেরাই কুড়াল মারবো না।

সান্ধার্থ রাজনীতিকদের ছলনায় জীবিত মায়ের মুখে অগ্নি সংযোগ করব না, জাতীর ভাগ্যকে ভাংচুরের কবলে ফেলবো না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।