রুচিশীল পাঠক দয়া করে ক্ষমা করবেন।
অনেক দিন আগের কথা। মানিক নামে এক কাঠমিস্ত্রি ছিলো। গ্রামের শেষ প্রান্তে এক বিশাল বট গাছ, তার নিচে ছিলো মানিকের কর্মক্ষেত্র। একা একা মনের আনন্দে এক মনে গাছের ছায়ায় কাজ করতো।
বিপত্তি ছিলো অন্য যায়গায়,ঐ গাছে ছিলো বানরের উৎপাত। মানিক যে কাজ করে ঠিক সে কাজ করার ভাণ করে মানিক কে বিরক্ত করতো,মানিক কাঠ চিঁড়ে,বানর গুলো ঐরকম করে,মানিক র্যঁদা চালায়,বানর গুলোও র্যাঁদা করার ভংগি করে।
ওটা নাহয় মানা যায়,প্রতিদিন টিফিন বাক্সো থেকে টিফিন চুরি,এটা মানা যায় কি প্রকারে!প্রতিদিন দুপুরে মানিক বাসা থেকে খাবার খেয়ে আসতে হয়-টিফিন আনা সত্বেও।
মানিক যার পর নাই বিরক্ত। কাঁহাতক আর সহ্য করা যায়!
স্বভাবতই মানিক সিদ্বান্ত নিলো শিক্ষা দেবার।
মানিক একটা যন্ত্র বানালো বানর সায়েস্তা করবার।
যন্ত্রটা এরকম- একটা ইংলিশ ভি এর মতো ঐখানে কিছু রাখলেই খপ করে আটকে যাবে।
মানিক ঐ যণ্ত্রের চিপার কাছে যেয়ে লুংগি তুলে ওর বংশ দন্ডটা রাখার ভান করে আবার উঠিয়ে নেয়,বানর গুলো দুর থেকে মানিক কি করে দেখ ছিলো,মানিক এটাই চাইছিলো। একাজ কয়েকবার করলো,যাতে করে বানর গুলো ভালো ভাবে দেখতে পারে।
এরপর বাড়ি যাবার ভান করে মানিক আড়ালে দাঁড়িয়ে দেখতে লাগলো কি করা বানরেরা।
যেইনা মানিক আড়ালে গেলো বানরের সরদার মানিক যা করলো তা করতে গেলো। যেই চিপায় রাখলো,ওমনি আর যায় কোথা!চিপায় আটকে গেলো বানরের বিচি যুগল। বানর নরাচরা করে আরো ভালো ভাবে চিপায় আটকে যায়। যতোই নরাচরা করা ততই ফাঁদে জড়ায়। চি চি চিৎকার চেচামেচি তে এলাকা বাসি জড়ো হলো আর দেখলো মানিকের চিপায় আটকা পড়ে বানর সরদারের আতন্কিত চেহারা।
গ্রামবাসি সপ্রশংস ভাবে বলতে লাগলো,
"মানিক একখান চিপাই বানাইছে!"
এরপর মানিক কে বানরেরা আর বিরক্ত করেনাই
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।