এই পৃথীবি আর ভাল লাগেনা চল আমরা চাঁদের দেশে চলে যাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে অভি নামে লম্পট যুবক। গোপনে ধর্ষণের দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করেছে যুবকটি। বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করায় বখাটে অভি স্কুল ছাত্রীর অশীল ছবি ইন্টারনেট ও বাজারে ছেড়ে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ধর্ষণের ভিডিও ফুটেজ বাজারজাত করার হুমকি দিয়েছে অভি। এলাকার বিভিন্ন যুবকদের মুঠোফোনের মেমরি কার্ডে স্কুল ছাত্রী ও অভির বিশেষ মুহুর্তের ছবি হাতে হাতে ফিরছে।
পুলিশ বিষয়টি জেনেও রহস্যজনক কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছেন।
সরাইল নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কুচনি গ্রামের আবদুল খালেকের বখাটে ছেলে অভি (২২)। বর্তমানে অভির পরিবার সদর ইউনিয়নের ছোট দেওয়ান পাড়ায় বসবাস করছেন। সরাইল থানা ভবন থেকে মাত্র পাঁচ গজ দূরত্ব অভিদের বাসা। সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী ওই মেয়েটি।
অভি স্কুল ছাত্রীটিকে প্রথমে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে কৌশলে তার বশে নিয়ে আসে। পরে অতিসমপ্রতি স্কুল ছাত্রীকে সুযোগ বুঝে অভি নিরাপদ একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সুচতুর লম্পট অভি নানা বাহানায় স্কুলছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। ওই সময় অশীল দৃশ্যগুলো গোপনে ক্যামেরা বন্দি করে অভি। এক সময় অভি স্কুলছাত্রীকে অশীল ছবিগুলো দেখিয়ে বেকায়দায় ফেলে ভোগ করতে থাকে।
অসৎ উদ্দেশ্যে অভি স্কুলছাত্রীর ধর্ষণের চিত্র ভিডিও করে ফেলে। ধর্ষণে স্কুলছাত্রী অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিয়ের জন্য অভিকে চাপ দেয়। বখাটে অভি স্কুলছাত্রীকে অশীল ছবি ও ধর্ষণের ভিডিও ফুটেজ বাজারে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। অসহায় হয়ে পড়ে স্কুলছাত্রীটি।
আত্মহত্যার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। তখনই টনক নড়ে স্কুলছাত্রীর পরিবারের। নিরুপায় হয়ে তারা অভির পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এতে ক্ষেপে যায় অভি। অশীল ছবিগুলো ইন্টারনেট ও বাজারে ছেড়ে দেয়।
অভি স্কুল ছাত্রীর পরিবারকে হুমকি দেয় বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ধর্ষণের ভিডিও ফুটেজ সিডি ক্যাসেটের মাধ্যমে বাজারজাত করা হবে। লোক লজ্জার ভয়ে স্কুলছাত্রীর পরিবারের লোকজন নির্বাক হয়ে পড়েছেন।
ওদিকে গত ১৩ জুলাই বিষয়টি জেনে সরাইল থানার এ এস আই কবির অভিদের বাড়িতে যান। । এর পর থেকে গা-ঢাকা দেয় লম্পট অভি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভি’র প্রতিবেশী লোকজন জানান, পুলিশ মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে এখন নীরব ভূমিকায় রয়েছে। এ ব্যাপারে এএসআই কবির ঘটনাটি জেনে অভিদের বাসায় যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তথ্য অনুসন্ধান করতে গিয়েছিলাম।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, এই মাত্র বিষয়টি জানলাম। থানার কোন দারোগা অভিদের বাড়িতে গিয়েছিল বিষয়টি আমার জানা নেই। স্কুলছাত্রীর পক্ষে কেউ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নিব।
এম ডি ইয়াছিন মিয়া
. ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।