আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গণজাগরণ মঞ্চ ( আশুলিয়া)।

আজ তুমি অন্যের...........প্রীতি! * ১৬ মার্চ শনিবার আজকের কর্মসূচী সকাল ১১ টায় জামায়াত-শিবিরের সাম্প্রদায়িক নৃশংসতার প্রতিবাদে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সম্প্রীতি সমাবেশ। (আশুলিয়ার গণজাগরণ মঞ্চ) বিকাল ৪টায় যথারীতি পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এবং অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ পাঠের মধ্য দিয়ে আশুলিয়া গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশ শুরু হয়। এরপর সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। আশুলিয়ায় গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে অংশ গ্রহণ করে আশুলিয়ার হাজার হাজার গার্মেন্টস শ্রমিক ভাই-বোনেরা। যাদের কণ্ঠে ছিল যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে স্লোগান।

এদিন সব গার্মেন্টসে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এজন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি সকল গার্মেন্টস মালিকদেরকে। আশুলিয়ার তাজরীণ ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ড ও দেশের বিভিন্ন কারখানায় দূর্ঘটনায় নিহত শ্রমিক ও একাত্তরের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এবং গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিরাপত্তার জোর দাবি জানানো হয় সরকার ও মালিক পক্ষের কাছে। (আশুলিয়া গণজাগরণ মঞ্চে জনস্রোত এক অংশ) গণজাগরণ মঞ্চ আবারো পরিস্কার ভাবে বলেছে, ইসলাম ধর্ম কিংবা অন্য কোন ধর্মের বিরুদ্ধে তাদের কোন অবস্থান নেই।

গণজাগরণ মঞ্চের সবাই ধর্মের প্রতি অনুগত। যারা নবীজী, ইসলাম ধর্ম এবং অন্য কোন ধর্মের প্রতি কোন রকম কুটুক্তি করবে তাদের বিরুদ্ধে আজকে আমাদের আন্দোলন শুরু। আমাদের আন্দোলন একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশবিরোধী মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি জামায়াত ইসলাম এবং তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ইসলামী ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধকরণের দাবি। বক্তারা আরও বলেন, আমাদের আন্দোলনে ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা-বোনের আত্মত্যাগের মদদ আছে, সরকার বা কোন রাজনৈতিক দলের মদদ নেই। (শ্লোগানরত অগ্নিকন্যা লাকি।

) (বক্তব্যরত ডাঃ ইমরান এইচ সরকার। ) শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, “ছাত্র শ্রমিকসহ সকল পেশাজীবীর শপথ হবে জামায়াত-শিবিরমুক্ত দেশ গড়ার। যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াত নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না। ” “মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাত্রদের সঙ্গে শ্রমজীবী ও পেশাজীবীরা মিলে যেভাবে প্রতিরোধ করেছিলেন এই দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধেও কোটি মানুষ একসঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে”, যোগ করেন তিনি। সমাবেশে আগত নারী শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে ইমরান বলেন, নারীরা যখনই জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে রাজপথে নামতে শুরু করেছে তখনই ওই ধর্মান্ধ গোষ্ঠী প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেয়েছে।

নারী-পুরুষ ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে যুদ্ধাপরাধী এবং জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান ইমরান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা। বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু বলেন, শাহবাগের গণজারণ মঞ্চ থেকে কখনো ধর্মের বিরুদ্ধে কোনো বক্তব্য দেয়া হয় না। আমরা সবাই বাংলাদেশি, জন্মসূ্ত্রেই পাওয়া ধর্ম পালন করে থাকি। “ধর্মপ্রেম দিয়ে আমরা দেশপ্রেম শিখেছি।

যারা দেশপ্রেমী নয় তারা ধর্মপ্রেমী হতে পারে না। ” সমাবেশস্থলে উপস্থিত ছিলেন নাট্যব্যাক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সাভারের সংসদ সদস্য তৌহিদ জং মুরাদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা। এদিকে তো হেফাজতে ইসলাম ঘোষণা দিয়ে ভাল ভাবেই তার ইসলামকে রক্ষা করল। ঐসব ধর্মান্ধ, ধর্ম ব্যবসায়ীদের পরিষ্কার ভাবে বলতে চাই আমাদের ইসলাম ধর্ম মহান আল্লাহতায়ালা হেফাজত করবেন। কোন হেফাজত ইসলাম নামের ধর্মান্ধ, ধর্ম ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রয়োজন নেই।

ব্লগ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম এবং আমাদের প্রিয় মহানবী (সাঃ) কে অবমাননার বিষয় তদন্তে স্বরাষ্ট মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাইন উদ্দীন খন্দকারকে প্রধান করে নয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মাননীয় বিরোধীদলীয় নেতাকে বলতে চাই গণজাগরণ মঞ্চ বন্ধ হবেনা, জনগনের মঞ্চ আপনি তৈরি করতে তো পারবে না তার চেয়ে জামায়াত-শিবিরের মঞ্চ তৈরি করুন সেটাই আপনার জন্য ভাল হবে। মাননীয় বিরোধীদলীয় নেতা আপনার প্রতি ধিক্কার জানাই শাহবাগ প্রজন্ম চত্ত্বরকে “নাস্তিক চত্ত্বর” বলে অভিহিত করার জন্য। আপনি আরও বলেছেন শাহবাগে যারা যাচ্ছে, তারা দলনিরপেক্ষ নয় আওয়ামীলীগ ঘরানার নাস্তিক। সারাদেশ যেখানে নাস্তিক সেখানে কি আপনাদের মত আস্তিকদের থাকা উচিত, আমারতো মনে হয় আপনাদের মত আস্তিক দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত।

যেখানে যেখানে নিজের স্বামী হত্যার বিচার আজও করতে পারেননি, আর আপনি করবেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তাও আবার যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে নিয়ে হাস্যকর প্রলাপ। যা সার্কাসের ভাড়ের মুখে শোভা পায় আপনার মুখে নিশ্চয়ই নয়। “সংশয় কেটে গেল বন্ধু পরিচিয় পেয়েছি আজ তোমার” মানুষের মনে কিছুটা হলে দ্বিধা ছিল তা এখন পরিষ্কার যে, বিএনপি’র ভিতর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার লেশমাত্র নেই। তা মুন্সিগঞ্জে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যে সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.