অদ্ভুত উটের পিঠে বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল ও সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা বিশ্বাস বাদ দেয়ার প্রতিবাদে বিরোধীদলগুলোর হরতালের নানা চিত্র এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে আমরা কথা বলেছি বাংলাদেশের সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের সঙ্গে। পূর্ণাঙ্গ সাক্ষাৎকারটি উপস্থাপন করা হল :
রেডিও তেহরান : জনাব মাহমুদুর রহমান, চারদলের ডাকা হরতালের প্রথম দিন পার হলো আজ। আগামী কালও হরতাল চলবে। এছাড়া সামনে ইসলামী দলগুলোর হরতাল আছে । তো এ অবস্থায় দেশের পরিস্থিতিকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করছেন ?
মাহমুদুর রহমান : দেখুন আমি যেটা দেখতে পাচ্ছি তাতে বাংলাদেশ ক্রমেই একটা পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে এবং গণতন্ত্রের লেবাসে একটি ফ্যাসিবাদী শাসকগোষ্ঠী রাষ্ট্র চালাচ্ছে।
আজ বিরোধী দলীয় চিফ হুইপের ওপর পুলিশ যেভাবে অত্যাচার চালিয়েছে তা চোখে দেখা যায় না। তাকে যেভাবে মারা হয়েছে তা অবর্ণনীয়। আমি আমার পত্রিকার সাংবাদিকদের নিয়ে হাসপাতালে তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। তাকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। তার মাথায় ১১টা সেলাই দেয়া হয়েছে এবং স্কালের একটা অংশ ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
শুধু তাই নয় তার সমস্ত শরীরে জখমের কারণে ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। তো যে দেশে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপকে পুলিশ প্রকাশ্য দিবালোকে মিডিয়ার সামনে , টেলিভিশনের সামনে এভাবে আক্রমণ চালায় সেদেশে সাধারণ নাগরিকের আর কোন নিরাপত্তা থাকতে পারে না। আর সেজন্যে আমি মনে করছি যে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের কোন অস্তিত্ব নেই। এবং বর্তমান সরকার পরিস্কারভাবে ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারা গণতন্ত্র মানে না।
দেশের নাগরিকদের কোনো বাক স্বাধীনতা নেই, মানবাধিকার নেই। আর বর্তমান সরকার একটি আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদী এবং আধিপত্যবাদী চক্রের নির্দেশে পরিচালিত হচ্ছে এবং জনগণের ওপর জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে। আর এসব কারণে সামনে আরো ভয়াবহ দিন আসতে যাচ্ছে বলে আমি মনে করি।
রেডিও তেহরান : বিরোধী দলের চিফ হুইপকে পুলিশ লাঠি পেটা করেছে। এ দৃশ্য আজ সবাই দেখেছে।
সরকারী দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, চিফ হুইপ ফারুক অশালীন ভাষায় কথা বলেন, পুলিশের সাথে তিনিই তর্ক ও বিবাদে লিপ্ত হয়েছেন। এই অবস্থাটাকে আপনি কিভাবে দেখছেন ?
মাহমুদুর রহমান : আমি জানি না বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ তর্ক বিতর্কে লিপ্ত হয়েছেন কিনা। তবে তর্ক বিতর্কে লিপ্ত হতেও পারেন। তবে আমরা টেলিভিশনে যে ফুটেজ দেখলাম- বিরোধী দলীয় চিফ হুইপের মুখ থেকে সে ধরনের কোন কথা না শুনলেও পুলিশের মুখ থেকে অতিশয় অশ্লিল বাক্য শুনতে পেয়েছি। তাছাড়া উনি যদি পুলিশের সাথে তর্ক বিতর্ক করেও থাকেন-তাহলে তাকে এভাবে অমানবিকভাবে পেটানো কোনভাবেই গণতন্ত্রের ভাষা হতে পারে না।
কাজেই আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ যে কথা বলেছেন সেটা একটি ফ্যাসীবাদী সরকারের মুখপাত্র হিসেবে তিনি একথা বলেছেন। আর এ পরিস্থিতির মাধ্যমে তারা বাংলাদেশকে একটি অনিশ্চিত অবস্থা এবং সংঘাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয় আপনারা জানেন যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র আরো নানাভাবে ব্যহত হচ্ছে। ইতোমধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল হয়েছে। এ থেকে পুরোপুরি মনে হচ্ছে যে, যে কোন মূল্যে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।
আর এটা বাংলাদেশের জন্য সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। বাংলাদেশে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে , বাংলাদেশের মানুষ খুবই কর্মঠ তাছাড়া আল্লাহ আমাদেরকে অনেক সম্পদ দিয়েছেন এবং উন্নয়ন সম্ভব ছিল। কিন্তু এসব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে মনে হচ্ছে দেশের সেই উন্নয়নের গতিধারা ব্যহত হবে। আর গণতন্ত্রের অস্তিত্বতো এর আগেই চলে গেছে।
রেডিও তেহরান : আচ্ছা যেভাবে হরতাল দেয়া হচ্ছে; সরকার যদিও বলেছেন, জনগণ হরতাল পালন করছে না।
তারপরও তো এর ফলে সামান্য হলেও দেশের ক্ষতি হচ্ছে। তো বিরোধী দল এই ক্ষতিকর কর্মসূচী কেন বাদ দিচ্ছে না ?
মাহমুদুর রহমান : দেখুন বিরোধী দল কেন হরতালের মতো ক্ষতিকর কর্মসূচী বাদ দিচ্ছে না সেটা আমি বলতে পারবো না - এটা বিরোধী দলের বিষয়। তবে হরতালে আপনি যে সামান্য ক্ষতির কথা বললেন - আসলে সামান্য নয় হরতালে দেশের প্রচণ্ড ক্ষতি হচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হচ্ছে। আর দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশের রাজনীতি এই হরতালের কালচার থেকে বের হতে পারছে না।
বর্তমানের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এক সময় দিনের পর দিন হরতাল দিয়েছেন। শুধু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতেই তারা ১০০ দিনের ওপর হরতাল দিয়েছিলেন। আর আজকে সেই একই কাজ বিরোধী দল করছে। আরেকটা বিষয় আমি সবসময় বলে থাকি এবং আমার মনে হয় আমার একথার সাথে আপনারা অনেকেই একমত হবেন - যে বিষয়টি আমাদের মনে রাখা দরকার তা হচ্ছে সরকারে যারা থাকবেন তাদের দায়িত্ব অনেক বেশী। তাদেরকে অনেক বেশী সহনশীল হতে হবে।
কোন ইস্যুতে সরকারের সদিচ্ছার ওপরে যদি বিরোধী দলের সন্দেহ সৃষ্টি হয় তা নিরসনের দায়িত্ব কিন্তু সরকারের ওপরে বর্তায়। অন্যদিকে জনগণের কথা ভেবে বিরোধী দলের লাগাতার হরতাল কর্মসূচীর বিষয়টি নিয়েও চিন্তাভাবনা করা উচিত। হরতাল কর্মসূচীর পরিবর্তে যদি বিরোধী দলের কর্মী সমর্থকরা মিছিল করে এবং তারা অন্যভাবে জনমত গঠন করে তবে তা দেশের জন্য ভালো হবে। তবে সেখানেও একটা কথা বলা প্রয়োজন বলে মনে করছি। আর তাহলো বর্তমানে কিন্তু মিছিলও করা যাচ্ছে না।
মিছিল করলেও কিন্তু পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে। কাজেই সত্যিকার অর্থে বিরোধী দল বা ভিন্নমতাবলম্বীদের এই দেশে কোন স্পেসই দেয়া হচ্ছে না। আর যদি বিরোধী দল বা ভিন্নমতাবলম্বীদের কোন স্পেস দেয়া না হয় তাহলে তখনই নৈরাজ্যের দিকে দেশ ধাবিত হয়, সেই পরিস্থিতির দিকেই এখন এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। তো সব মিলিয়ে আমরা যারা একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশে ভালোভাবে থাকতে চাই , মুক্ত রাষ্ট্রে থাকতে চাই তাদের জন্য বর্তমানে বাংলাদেশে খুবই হতাশা জনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
রেডিও তেহরান : আচ্ছা সরকারের মন্ত্রীরা কিন্তু বলছেন, জনগণ হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে।
ভয় ও আতঙ্কের কারণে অনেকে প্রাইভেট গাড়ী রাস্তায় বের করত ভয় পায়। তো আপনার কি মনে হয় হরতালের প্রতি আসলে জনগণের সমর্থন নেই ?
মাহমুদুর রহমান : দেখুন দেশের জনগণ হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে একথা বলা মুশকিল। কারণ দেশে বিশেষ করে ঢাকা শহরে হরতালে তেমন কোন পিকেটিং আমরা দেখিনি। তো পিকেটিং না দেখা সত্ত্বেও রাজধানীতে দেখলাম ব্যবসায়ীরা দোকান পাট বন্ধ রেখেছেন। অফিস আদালত বন্ধ রাখতে দেখছি।
রাস্তাঘাটে বাস চলছে। আজ আমি অফিসে যাওয়ার পথে ৫/৬ টা বাস দেখলাম। তবে সেসব বাস যাত্রীহীন। অর্থাৎ বাস চললেও জনগণ বাসে উঠছেন না। ফলে এরকম একটা পরিস্থিতিতে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছেন একথা বলা যায় কিনা সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই।
তবে এদেশের সরকারপন্থী পত্রপত্রিকা বা মিডিয়া হিসেবে যাদেরকে জানি সম্প্রতি তারা বেশ কিছু জরীপ ছাপিয়েছে বা প্রকাশ করেছে। আর সেসব জরীপে দেখা যাচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বেশীর ভাগ মানুষ হরতালকে সমর্থন করছে। তো মাহবুবুল আলম হানিফ কিম্বা সরকারের অন্য নীতিনির্ধারক যারা আছেন - জনগণ যে হরতাল চাচ্ছে না এ বিষয়টি তারা কিভাবে জানলেন বা বলছেন তা জানি না। তবে আমি আবারও সামগ্রিকভাবে একথা বলবো যে - হরতালের দ্বারা দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তো সেই ক্ষতিও কিন্তু জনগণ বিবেচনায় নিচ্ছে। তবে এর দায় দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।
রেডিও তেহরান : জনাব মাহমুদুর রহমান , আজ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বিএনপি এর আগে আওয়ামী লীগের শাসনামলে অর্থাৎ ৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ৩০০ দিন হরতাল ডেকেছে। এটা তো অনেক বড় ব্যাপার। তো প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে আপনি কিভাবে দেখছেন?
মাহমুদুর রহমান : প্রধানমন্ত্রী বিএনপির ৩০০ দিনের যে হিসাব দিয়েছেন - সেটা আমার জানা নেই। আমার মনে হয় না যে বিএনপি ৩০০ দিন হরতাল দিয়েছিল। কারণ হরতালের ব্যাপারে সব সময় দেখেছি যে আওয়ামী লীগের পারদর্শিতা অনেক বেশী।
আর বিরোধী দল হিসেবে যে সহিংস আন্দোলন তা কিন্তু বিএনপির তুলনায় আওয়ামী লীগ অনেক ভালোভাবে করতে পারে যেমনটি আমরা অতীতে দেখেছি। আর এ হরতালেও আমরা দেখেছি বিএনপি কিন্তু তেমন কোন সহিংস ঘটনা ঘটাতে পারছে না। তো আমি বলতে চাই - কোন দল বেশী হরতাল করল সেটা বড় কথা নয় - আর সে প্রতিযোগীতা করলে তো দেশ ক্রমেই পিছিয়ে যাবে। বাংলাদেশে যাতে হরতালের পরিস্থিতি না হয় রাজনীতিবিদদের সেদিকেই তাকানো উচিত। ১৯৯১ সাল থেকে প্রত্যেক সরকারের আমলে হরতাল করার যে প্রবণতা চলছে সেই প্রবণতা থেকে কোন রাজনৈতিক দল কিন্তু মুক্ত নয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তিনশ দিনের কথা বলেছেন। তো একইসঙ্গে তিনি যদি একথাও বলতেন যে ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ এর মধ্যে তিনি কতদিন হরতাল করেছিলেন। একই সাথে আমি আরো একটি কথা বলতে চাই তা হচ্ছে - আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এর আগেও যখন সরকারে ছিলেন তখন তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন যে তিনি আর হরতাল করবেন না। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে কিন্তু বাংলাদেশে রেকর্ড পরিমাণ হরতাল হয়েছে। এমনকি তৎকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার দেড় মাসের মধ্যে হরতাল হয়েছে।
আর সে তুলনায় বর্তমান শাসনামলে কিন্তু অনেক দেরীতে হরতাল হলো। কাজেই প্রধানমন্ত্রী যদি হরতাল না চান সেক্ষেত্রে ওনার উচিত বিরোধী দলের সঙ্গে কথা বলার একটা পরিবেশ তৈরী করা।
রেডিও তেহরান : আমি সবশেষে যে বিষয়টি জানতে চাইবো সেটি হচ্ছে- হরতালের মধ্যেই আজ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা এসেছেন। তো ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ সফরে দু'দেশের দ্বিপক্ষীয় সমস্যাগুলো কি সমাধানের কোন সম্ভাবনা দেখছেন ?
মাহমুদুর রহমান : দেখুন , দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধান মানে বাংলাদেশের যে চাওয়াগুলো-ভারত কোনদিনই আমাদের সে চাওয়াকে মর্যাদা দেয়নি। বরং আপনি জানেন যে কিছু দিন আগে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন।
তখন একটা দাবী উঠেছিল বাংলাদেশের জনগণকে যে সীমান্তে ভারতীয় বাহিনী গুলি করে বা বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করছে তা বন্ধ করুক। আর ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধানের বাংলাদেশ সফরের পর আমাদের প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে বলেছিলেন যে - যে ভারত কথা দিয়েছে তারা সীমান্তে আর কাউকে হত্যা করবে না। কিন্তু তিনি যাওয়ার পর গত ক'দিনে তিনজন বাংলাদেশীকে হত্যা করা হয়েছে। এবং একমাত্র ফিলিস্তিনী সীমান্ত ছাড়া পৃথিবীর কোন এভাবে গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয় না। তো এটুকু মর্যাদাও কিন্তু ভারত আমাদেরকে দেয় না।
তাছাড়া আমাদের দীর্ঘ দিনের যেসব দাবী- যেমন - পানি আগ্রাসন বন্ধ করা , তিনবিঘা করিডোর আমরা এখনও ভারতের কাছ থেকে পাইনি,আমাদের বিপরীতে বাণিজ্যক ঘাটতি বা বৈষম্য অনেক বেশি, আমাদের পণ্য ভারতের বাজারে প্রবেশ করতে পারছে না বিভিন্ন শুল্ক এবং অশুল্ক বাঁধার কারণে। এসবের কোন কিছুর সমাধান হয়নি। কিন্তু ভারতের সৌভাগ্য যে বর্তমানে বাংলাদেশের এমন একটি সরকার ক্ষমতায় রয়েছে যারা ভারতের চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে। আর এ বিষয়টি কিন্তু ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে বাংলাদেশ ভারতের সম্পর্কের সবচেয়ে ভালো সময় আমরা এখন পার করছি। আমার মনে হয় তিনি একথাগুলো বলেছেন ভারতের দৃষ্টিভঙ্গী থেকে ।
বর্তমান সরকার গত আড়াই বছরে ভারতকে যা দিয়েছে এর চেয়ে বেশী বোধহয় বাংলাদেশের কাছে ভারতের আর কোনো চাহিদা নেই। কিন্তু বিপরীতে বাংলাদেশের কোনো চাহিদাই পূরণ হয়নি। আর আমি ব্যক্তিগতভাবে এ ব্যাপারে খুব একটা আশাবাদি নই
রেডিও তেহরান, বৃহস্পতিবার, 07 জুলাই 2011 11:22 ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।