শরীরে শরীর নয়, ঠোঁটে ঠোঁট রাখাও নয়, মূহুর্তের ছোঁয়াও নয়, একটু দেখাতেই লিটার খানেক অগ্নিজলের ঘোর। ৪৮ ঘন্টা হরতালের দ্বিতীয় সন্ধ্যায় ভাবতে বসলাম।
হরতালটি কি জন্যে ছিল?
বাংলাদেশটি যে দু' পরিবারের উত্তরাধিকার, তার এক পরিবারের সদস্য আরেক পরিবারের সদস্যকে পৃথিবীর মাটি থেকে চিরতরে বিদায় করার ষড়যন্ত্র করার কারনে।
তো এ রকম তো হয়ারই কথা। ইতিহাসের পাতাতে তো কতই দেখেছি।
সিংহাসন বলে কথা।
কিন্তু আমি ভাবছি অন্য কথা। এই সেদিনই অর্ধ দিবস হরতাল হ'ল। দেশের খনিজ সম্পদ বাঁচাতে।
যারা ডাক দিয়েছিল তারা রাজনৈতিক দলের কেঊ নয়।
কোন রাজনোইতিক দলের সমর্থনও ছিল না তাতে।
কিন্তু সরকারী দল যখন কোন হটকারী সিদ্ধান্ত নেয়, তখন কার এগিয়ে আসা একান্ত কর্তব্য? বিরোধী দলের নয় কি?
সরকারী দল হয় এই চুক্তি থেকে নগদ কিছু কামাবে বা পরবর্তী নির্বাচনে আবার জয়ী হয়ে ক্ষমতাতেই থেকে যাবে। কিন্তু বিরোধী দল কেন এই ইস্যু থেকে নিজেদেরকে সরিয়ে রাখছে?
তারেক রহমান আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে পদচারনা করলে বা না করলে খুবই কি দেশের কোন ক্ষতি বৃদ্ধি হবে? আমার মনে হয়না।
কিন্তু নব্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর সাথে এই খনিজ সম্পদ চুক্তিটি বাস্তবায়ন হলে দেশের ও জনগনের কি ক্ষতি হয়ে যাবে তা আমজনতা না বুঝলেও বিরোধী দল ঠিকই বোঝে।
আমি যা বুঝি না তা হ'ল কেন তাদের এই সন্দেহজনক নীরবতা, এই ইস্যু থেকে নিজেদের একশ মাইল দূরে রাখা?
এদেশটাকে কি শুধু অসহায় অক্ষম কিছু লোকই ভালবেসে যাবে? আর এদেশ অপার সম্ভাবনার দেশ হয়েও কিছু অর্থলোভী আর ক্ষমতালোভীদের
খপ্পরে পড়ে অত্যন্ত গরীব দেশই থেকে যাবে?
এদেশের সিংহভাগ লোক কি কখনই ভরপেট ঘুমুতে যেতে পারবেনা??
হে সম্মানিত বিরোধী দল, যদি বিশ্বাস করেন যে জনগনই সকল ক্ষমতার উৎস, যদি মনে করেন যারা দল না দেখে দলের কার্যকলাপ দেখেই ভোট দিয়ে থাকে তাদের ভোটেই আপনাদের ক্ষমতায়ন হয়, তা'লে খনিজ সম্পদ লুটের প্রশ্নে জাতিকে একাট্টা করুন।
আপনাদের প্রতিপক্ষ কিন্তু ঘাতক দলাল বিচারের ইস্যুতেই জনগনকে একাট্টা করেছিল। সিনিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ইস্যু শুধু আপনাদের কট্টর সমর্থক ছাড়া আর কাঊকেই আপনাদের পতাকাতলে আনবে না।
আর যদি মনে করে থাকেন যে কোন পরা শক্তিই আপনাদেরকে গদীত বসাবে তা'লে অন্য কথা।
শুধু মনে রাখবেন যে আমরা যা অবলোকন করছি তা হ'ল আপনারা ক্ষমতাশীনদের হাতই শক্তিশালী করছেন। তারা দেশ বেচার প্রাক্কালে আপনাদের হাতে এমন কিছু ইস্যু দিয়ে দেয় যাকে কেন্দ্র করে মেতে উঠে দেশের স্বার্থকে ভুলিয়ে দেন দেশবাসীকে।
মুখে ভারত বিরোধীতার কথা বলে কাজে বার বার ক্ষমতাশীনদের হাত সুসংহত করার কাজটি এবার গেলবারের চেয়ে অনেক ভাল করেই করছেন।
_______________________________________
করিডোর ইস্যু চাপা পড়েছিল বিমান বন্দর নাম করন ইস্যুর তোড়ে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।