চলচ্চিত্র শিল্পের সবাই যখন বাজার মন্দা, শিল্পী সঙ্কট এবং ভিডিও পাইরেসির অপতৎপরতা রোধে ব্যস্ত, ঠিক তখনই চলচ্চিত্রে শুরু হয়ে গেছে অশ্লীলতার ভয়াবহ আগ্রাসন। ছবি সঙ্কটের দোহাই দিয়ে একশ্রেণীর অসাধু চলচ্চিত্র পরিবেশক ও প্রদর্শক আবারও ভয়াবহ অশ্লীল দৃশ্য সংযোজন করে ছবি প্রদর্শন করছেন।
রাজধানী ঢাকার বাইরের সিনেমা হলে তো আছেই, এখন খোদ রাজধানীর বিভিন্ন সিনেমা হলে প্রদর্শিত হচ্ছে সেন্সরবিহীন অশ্লীল দৃশ্য সংযোজিত ছবি। অবশ্য সেন্সর বোর্ডের সক্রিয়তার কারণে নিয়মিতভাবে অশ্লীল ছবিগুলো আটক হচ্ছে এবং যথারীতি সেন্সর সনদপত্র বাতিল হচ্ছে। তার পরও আটককৃত ছবির প্রযোজক, পরিচালক, পরিবেশক এবং প্রদর্শকদের জন্য কঠোর কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না থাকায় অশ্লীলতা পুরোদমে বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা ও ভিডিও পাইরেসি বন্ধে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার যে টাস্কফোর্স গঠন করেছিল এবং সেই টাস্কফোর্স ঝটিকা অভিযান চালিয়ে চলচ্চিত্রের অশ্লীলতা বন্ধই কেবল করেনি, অশ্লীল ছবির ধারক-বাহক পৃষ্ঠপোষক, প্রযোজক, পরিচালক এবং শিল্পীদেরও চলচ্চিত্র শিল্প থেকে বিতাড়িত করে দিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর দলীয় পরিচয় আর প্রভাবে একশ্রেণীর অসৎ, অসাধু চলচ্চিত্র ব্যবসায়ীরা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে অশ্লীল ছবি প্রদর্শন করে চলেছেন। সমপ্রতি ‘বাজার’, ‘সাগরের গর্জন’সহ বেশ কিছু ছবি সেন্সর বোর্ড অশ্লীলতার অভিযোগে নিষিদ্ধ করেছে এবং এই ছবিগুলো আটক করা হয়েছে ঢাকার সিনেমা হল থেকে। কিন্তু তারপরও এ অপকর্ম থেমে নেই কঠোর কোন আইন না থাকায়। চলচ্চিত্র টাস্কফোর্সের কার্যক্রম রীতিমতো বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে অশ্লীলতা আবারও মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে।
সেন্সর বোর্ড চেষ্টা করছে কিন্তু জনবল কম থাকার কারণে পুরোমাত্রায় সফল হচ্ছে না। ফলে চলচ্চিত্র শিল্প আবারও তাকিয়ে রয়েছে সরকারের দিকে।
তাদের আশা, বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার চলচ্চিত্রের অশ্লীলতা ও ভিডিও পাইরেসি বন্ধে টাস্কফোর্সের কার্যক্রম সচল করবে এবং অশ্লীলতার আগ্রাসন থেকে চলচ্চিত্র শিল্পকে রক্ষা করবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।