আমার এই ব্লগের কোনো লেখা বা লেখার কোনো অংশ আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া যে কোনো প্রকার মিডিয়াতেই প্রকাশ করা যাবেনা। যদি তা করা হয়, তাহলে আমি আইনগত এবং অবস্থাভেদে ব্লগের আইন/প্রসিজিওর অনুযায়ী ব্যাবস্থা নিতে বাধ্য হব ইউকে তে যখন প্রথম আসলাম তখন একদিন গিয়েছি ট্রাফালগার স্কোয়ার ঘুরতে। আমি তখন একেবারে ফ্রেশী মানুষ। একেবারে সেজে গুজে রওয়ানা দিয়েছি লন্ডন দেখতে। ট্রাফালগার স্কোয়ারে গিয়ে দেখি এলাহী কান্ড।
হাজার হাজার মানুষ আর রাস্তায় অসংখ্য কবুতর। এই এই কবুতর আবার কাউকে ভয় পায়না। শাহেনশাহ ভঙ্গিতে রাস্তায় হাঁটছে। মানুষ যেখানে কবুতরের সৌন্দর্যে মুগ্ধ সেখানে আমার মাথায় আসলো, আচ্ছা এইগুলা ভাইজা খাইতে কেমন লাগবে? আমাদের দেশে তো অতিথি পাখি আসলে আমরা গুলি করে এগুলো নামিয়ে এনে খাই। সুতরাং আমার মাথাতে এই চিন্তা থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
এই কথা এখন ভাবলে আমার আসলেই লজ্জা লাগে।
তো যাই হোক যেটা বলতে গিয়ে শিবের গীত গাইলাম সেটা হচ্ছে ফেসবুকের রিপোর্ট খাওয়া খাওয়ির ঘটনা। এইমাত্র লুক্স ভাই জানালেন যে তার একাউন্টটি রিপোর্টেড, তিনি লিখতে পারছেন না। এভাবে গত তিনদিন আমার একাউন্ট এভাবে রিপোর্ট করবার কারনে ব্লকড ছিলো। এই লেখা লেখবার অপরাধে হয়ত আবার গণ রিপোর্টের মাঝে পড়ে যাব।
এমন করে অনেকেরই একাউন্ট একেবারে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, পার্টলি রেস্ট্রিকশান দেয়া হচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি...
আসলে আমরা এখনো টেকনোলজির ব্যাবহার শিখিনি। আমাদের সামনে একটা সুন্দর কিছু আসলে আমরা সেই জিনিসের পু** না মারা পর্যন্ত আমাদের জান ঠান্ডা করতে পারিনা। পৃথিবীর যে কোনো সুন্দর কিছুই বলেন না না কেন, আমাদের বাঙালিদের হাতে পড়লে সেটাকে আমরা কিভাবে নষ্ট করব এইটা থাকে আমাদের টেন্ডেন্সি। ইউকে তে স্টুডেন্ট ভিসার কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে গত কয়েক বছর ধরে। অথচ আগে এমন কড়াকড়ি ছিলোনা কখনই।
আমি পাকিস্তানী কিংবা ভারতীয় কলেজ ব্যাবসায়ীদের কথা জানিনা তবে বাংলাদেশী কলেজ মালিকেরা এই ছাত্র ভিসার যত ইতরামী ব্যাবহার, যত লেবু কচলিয়ে তার নির্যাস বের করা ব্যাবহার, সবই করেছিলো ব্রিটিশদের সিস্টেমের লুপ হোলের সুযোগ নিয়ে। এই যে সুন্দর একটি সিস্টেম, ছাত্র আসবে এই দেশে পড়তে, তারা শিক্ষা লাভ করবে, সেই ব্যাবস্থার তামা তামা করে দিয়েছে কলেজ ব্যাবসায়ীরা। ফলাফল হচ্ছে, এখন ভয়াবহ কড়াকড়ি।
আপনি বাসে উঠবেন, ট্রামে উঠবেন একজন ছাত্রের পাশে দাঁড়িয়ে খুব সময় শুনবেন তার বন্ধুর সাথে সেমিস্টারের গল্প, পড়ার গল্প। আপনি শুনবেন তার কাজের গল্প।
তার ম্যানেজার কেমন সেই গল্প। তার কোন কলিগ তাকে কেমন খাটায় সেই গল্প। মাঝে মধ্যে আমার বিব্রত লাগে আসলে। খুব খারাপ লাগছে আজকে। ফেসবুকে আমরা লিখব, বলব, ছবি শেয়ার করব।
এটা সামাজিক যোগাযোগের একটা মাধ্যম। ভালো না লাগলে হাইড করবেন, আনফ্রেন্ড করবেন কিংবা পড়বেন না আমার কথা। কিন্তু কাপুরুষের মত ঝাঁক বেঁধে রিপোর্ট করা কেন? এটা কোন ধরনের স্টুপিডিটি?
নাকি বাঁদরের হাতে যেমন একে ৪৭ বিপদ জনক, তেমনি কিছু বাঙালির হাতে টেকনোলজি বিপদজনক? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।