আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্ত্রীর কাছে উত্তমই সর্বোত্তম ব্যক্তি

আমি মানুষ স্ত্রীর সঙ্গে হক্কুল ইবাদ তথা বান্দার হকের অনেক সম্পর্ক রয়েছে। এ ব্যাপারে সূরা নিসায় স্পষ্টভাবে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা সেদিকে তেমন লক্ষ করি না। একটি হাদিস আমরা ভালো করেই মুখস্থ ও কণ্ঠস্থ করেছি। তাহলো_ নবীজী বলেছেন, মহিলার জান্নাত স্বামীর পদতলে; আমি যদি কাউকে সেজদার আদেশ করতাম, তবে স্ত্রীকে স্বামীর উদ্দেশে সেজদা করতে বলতাম।

কিন্তু মহিলারও যে হক রয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই, সে হাদিস জানার প্রয়োজন মনে করি না বা জানলেও সেগুলোর আমল করতে রাজি নই। স্ত্রীর সঙ্গে খুব দয়ামায়া ও উদারতাপূর্ণ ব্যবহার করা চাই। কারণ সে নিজের মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন পরিত্যাগ করে শুধু আমার মহব্বত ও ভালোবাসার টানে আমার কাছে এসেছে। আমি যদি তার স্থলে হতাম, তবে আমি তার কাছ থেকে কেমন ব্যবহার আশা করতাম। মাতৃতান্ত্রিক কিছু কিছু জাতি আছে, সেসব জাতির মহিলারা স্বামী পছন্দ করে বিবাহ করে বাড়িতে নিয়ে আসে এবং অপছন্দ হলে মহিলাই তালাক দেয়।

মহিলারা পুরুষদের খেটে খাওয়ায়, পুরুষরা শুধু বাড়িতে বসে বসে খায়; কোনো কাজ তারা করে না। তাদের যুক্তি হলো_ আমরা জান্নাতে ছিলাম। হজরত হাওয়া আলাইহিস সালাম আদম আলাইহিস সালামকে ফুসলিয়ে ফল খাইয়েছেন। ফলে সুখের জান্নাত থেকে আদম আলাইহিস সালামকে বের হতে হয়েছে। অপরাধ করেছেন হাওয়া।

সুতরাং দুনিয়ার যত কষ্টের কাজ সব মহিলাদের করতে হবে। এটি তাদের আকীদা। স্ত্রী নিজের জন্মস্থান পিত্রালয় ছেড়ে শুধু স্বামীর ভালোবাসায় তার সঙ্গে চলে আসে। এ জন্য সে মানসিকভাবে দুর্বল থাকে। সুতরাং স্ত্রীর সঙ্গে মনভোলানো ভালো ব্যবহার করা উচিত।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, অনেক স্বামী তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তার সঙ্গে অমানুষিক আচরণ করে। এখানেই শেষ নয়, স্ত্রীকে নির্দয়ভাবে লাঠিপেটা করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে_ এমন ঘটনা কম নয়। হাদিসে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে ওই ব্যক্তি সর্বোত্তম, যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম। ইসলামে স্ত্রীর কাছে ভালো হওয়াকেই স্বামীর ভালো হওয়ার মাপকাঠি বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা স্ত্রীর হক ঠিকমতো আদায় করছি না।

তার মোহরানা আদায় করছি না। যথাযথ ভরণ-পোষণের প্রতি খেয়াল করি না। স্ত্রীর দুনিয়ার হকগুলো আদায় করি না। আখেরাতের হকও আদায় করি না। দুনিয়ার হক যেমন_ লেখাপড়া না জানলে লেখাপড়া শিক্ষা দেওয়া, আখেরাতের হক হচ্ছে_ নামাজ পড়া না জানলে নামাজ শিক্ষা দেওয়া।

মাঝেমধ্যে স্ত্রীকে কিছু কিছু টাকা-পয়সা দেওয়া উচিত। যাতে সে মন খোলাভাবে নিজ আত্মীয়স্বজন বা গরিব মিসকিনকে দান করতে পারে কিংবা ব্যক্তিগত কাজের ব্যাপারে খরচ করতে পারে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.