গৃহিনী হয়ে থাকার শান্তি মনে হয় এই দুনিয়াতে আর কিছুতে নাই। তাদের জীবন হলো এটা- রান্না করো, নিজে রান্না করতে না পারলে বুয়া আছে কি জন্যে? বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাও। বুয়াকে দিয়ে কাপড় কাচাও। এর মধ্যে যখন ইচ্ছা তখন টিভি দেখো। সিরিয়াল দেখো।
আনন্দ ফুর্তি করো। বান্ধবীর সাথে ফোনে খোস গল্প করো। মোবাইলের বিল স্বামী দিবে সমস্যা নাই। যখন তখন চলে যাও বান্ধবীর বাসায়। কোন সিরিয়ালে কি হয়েছে সেটা আলোচনা করো।
যখন ইচ্ছা তখন ঘুমাও শান্তিমতো।
পুরুষের জীবন হলো এটা- ভোরে উঠো। ফরমাল শার্ট প্যান্ট পড়ে রাস্তায় বের হও। বাসের জন্য লাইন ধরো। অফিসে যাও।
অফিসের বসের ঝাড়ি খাও। বিশ্রামের দরকার নেই। ১০টা-৬ টা পর্যন্ত কাজ করো। মাঝে লাঞ্চ ব্রেক হলে বাইরে যা কিছু পাওয়া যায় একটু খেয়ে আবার কাজ করো। সন্ধ্যায় ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরো।
এবার বাসায় কোন সমস্যা হলে সেটাও ম্যানেজ করো।
স্বামী বেচারার রুটিন এক। এক শুক্রবার ছাড়া বেচারা স্বামীর বিশ্রাম নেয়ার মতো সময় নাই। শুক্রবারেও কি সময় আছে? বাজার করে আনো। স্ত্রী যেতে যায় শপিং এ।
তার একটা ড্রেস পছন্দ হয়েছে। কিনে দিতে হবে। সুতরাং কোনো কথা নাই। সেটা কিনে দাও। স্ত্রী এই চায় সেই চায়।
যা চায় সেটা কিনে দাও। সব কিছু কিনে দাও।
আধুনিক সোসাইটিতে স্বামীরা স্ত্রীর গোলামে পরিনত হয়েছে। জরু কা গোলাম।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে শুধুমাত্র বিছানায় পাওয়ার জন্য স্বামীরা কি স্ত্রীর গোলাম হয়ে থাকবে সারাজীবন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।