আগুন্তক............ নারীর বাল্যরুপ যদি বা মানুষকে আকৃষ্ট করে তাকে মাতাল করেনা। আবার যেদিন তার সন্তান ধারনের বয়স পার হয়ে যায় তখন ও ঠিক তাই। শুধু নারী নয় পুরুষের ও এই দশা। ততক্ষন তার রুপ যৌবন যতক্ষন সে সৃষ্টি করতে পারে। এই সৃষ্টি করার ইচ্ছাই তার প্রেম।
এই বিশ্বের প্রতিটি অনু পরমানু আপনাকে সৃষ্টি করতে চায়, কেমন করে সে নিজেকে বিকাশ করবে, কোথায় গেলে, কার সজ্ঞে মিশলে সে আর সবল আরো সুন্দর আরো উন্নত হবে, এই তার অক্লান্ত উদ্যম। দৃশ্যে অদৃশ্যে অন্তরে বাহিরে প্রকৃতির তাই এই নিত্য পরিবর্তন এবং এই জন্যই নারীর মধ্যে পুরুষ যখন এমন কিছু দেখতে পায়, জ্ঞানে হোক অজ্ঞানে হোক যেখানে সে আপনাকে আরো সুন্দর আরো স্বার্থক করে তুলতে পারবে, সে লোভ সে কোনমতেই থামাতে পারেনা। তুমি হয়তো ভাবছো তাহলে তো চারদিকে মারামারি কাটাকাটি লেগে যেত। মাঝে মাঝে যায় বৈকি। মানুষের লোভ দমন করার শক্তি, স্বার্থ ত্যাগের শক্তি, সমাজের শাসন শক্তি এতগুলো বিরুদ্ধ শক্তি আছে বলেই চর্তুদিকে একসাথে আগুন লেগে যায়না।
রুপের আর্কষনে সেই দুর্দান্ত প্রবৃত্তির তাড়নাই প্রেম।
যে ভালোবাসতে পারে সেই কেবল সু্ন্দর অসুন্দর সব ভালোবাসাতেই নিজেকে ডুবিয়ে দিতে পারে, অপরে পারে না।
শিশু ভুমিষ্ট হবার পর থেকে যতদিন না তার জড় দেহটার মধ্যে সৃষ্টি শক্তি সষ্ণয় করতে না পারে ততদিন প্রেমে সিংহাসন তার সম্মুখে বন্ধই থাকে। সে সিংহদ্বার সে প্রবৃত্তির তাড়নাই এড়িয়ে যায়, তার পূর্বে সে তার বাপ-মা ভাই বোনকে ভালোবাসে বন্দু বান্দবকে ও ভালোবাসে, কিন্তু তার পঞ্চভুতের দেহটা বড় হওয়া পযর্ন্ত স্বর্গীয় প্রমের সংবাদ রাখার অধিকার তার জন্মায় না। ততদিন পযর্ন্ত স্বর্গীয় আকর্ষন তাকে মাতাল করতে পারেনা, একতিলও নড়াতে পারেনা।
পৃথিবীর আকর্ষন তো চিরদিনই আছে, কিন্তু সে আকর্ষনে আত্নসমর্পন করতে গাছের পাঁকা ফলটি পারে, কাচাঁয় পারেনা। তার আশঁ শাঁস পৃথিবীর রসেই পাকে স্বর্গের রসে না। সুন্দর ফুল রুপ দিয়ে গন্ধ দিয়ে মধু দিয়ে মৌমাছিকে টেনে এনে ফলে পরিনত হয়, আবার ঠিক সময়ে মাটিতে পড়ে অঙ্কুরে পরিনত হয়, এই তার প্রকৃতি, এই তার প্রবৃত্তি, এই তার স্বর্গীয় প্রেম।
পৃথিবীতে পবিত্র পেম ও ঘৃনিত প্রেম দুটিই আছে, যাকে ঘৃনিত প্রেম বল সেটা আসলে সুবুদ্ধির অভাব, অসাবধানে গাছ থেকে পড়ে হাত পা ভাঙার অপরাধ মধ্যার্কষনের উপর চাপান আর প্রেমকে কুৎসিত ঘৃনিত বলা সমান কথা।
ছাদের কোনে বসে থাকতে থাকতে যদি তোমার মাথায় গাছও জন্মায় তবু তুমি কালিদাসের মত একটা মেঘদূত লিখতে পারবেনা, মেঘ দেখে তোমার ঝড় জলের আশংকা হবে, সর্দি লাগার ভয়ে তুমি ব্যাকুল হবে, বিরহীর দুঃখে আকুল হবেনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।