কুলক্ষয়ে কলুষিত সনাতন ধর্ম, ধর্মনষ্টে পাদুর্ভাব হইবে অধর্ম অধর্মের পাদুর্ভাবে কুলনারীগণ, পতিতা হইবে সব কর অন্বেষণ।
পাকা দুই ক্রোশ পথ অতিক্রম করিয়া রুয়েটে বিদ্যা অর্জন করিতে যাই। আমি একা নই, প্রায় হাজার-বারশ জন। যাহাদের এখনো হলে সিট হয় নাই, তাহাদেরই শতকরা আশি জনকেই এমনি করিয়া বিদ্যালাভ করিতে হয়। ইহাতে লাভের অঙ্কে শেষ পর্যন্ত একেবারে শূন্য না পড়িলেও, যাহা পড়ে তাহা হইল মাঝে মধ্যে অগ্রণী কলেজের পুলাপাইনের কাছে ঠেক খাওয়া, পুলিশের বদান্যতায় হাজতদর্শন, মারকাসে যাওয়ার জন্য তাবলীগের অহেতুক টানাহেঁচড়া।
শ্বাপদসঙ্কুল পথ পাড়ি দিয়া যাহাদের প্রত্যহ ক্লাসে আসিতে হয়, সেই দুর্ভাগা রুয়েটিয়ানদের খুশি হইয়া শিক্ষকরা বর দিবেন কি, কিভাবে দুর্বোধ্য সব প্রশ্ন করিয়া ব্যাকলগে নিমজ্জিত করিবেন, তা ভাবিয়া কূল পান না।
কিন্তু থাক এ সকল বাজে কথা। রুয়েটে যাই, দুক্রোশ পথের মধ্যে আরএইচ, চিশতিয়া, তালাইমারি পার হইতে হয়। কোন পোলার ধমনীতে কোন রমণী বহিতেসে, কোন স্যার কত পাতা অ্যাসাইনম্যাণ্ট দিয়াছে, রিয়াল-বার্সা খেলার কি হইসে, এইসব খবর লইতে লইতেই সময় যায়। কিন্তু আসল যা বিদ্যা - ফুরিয়ার ইকুয়েশন কি জিনিস, ষ্টীম বয়লার কেমনে কাম করে, এইসব দরকারী তথ্য অবগত হইবার ফুরসতই মেলে না।
কাজেই বোর্ড ভাইভার সময় স্যারেরা জুল চক্রের কথা জানিতে চাহিলে লিখিয়া দিয়া আসি কার্নো চক্রের কথা। এবং আজ ফিফথ সেমিস্টার পার হইয়াও দেখি, ওইসব বিষয়ের ধারণা প্রায় একরকমই আছে। তার পরে রেসাল্টের দিন মুখ ভার করিয়া রুমে ফিরিয়া আসি, কখনো বা দল বাইন্ধা মতলব করি যে প্রফেসররে ঠ্যাঙানো উচিত। কখনো বা ঠিক করি, অমন বিশ্রী ভার্সিটি ছাড়িয়া দেওয়াই কর্তব্য।
মৃত্যুঞ্জয়ের পরিচয়...
মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের এক বড় ভাইয়ের সাথে মাঝে মধ্যেই ক্যাম্পাসে দেখা হইত।
তাহার নাম ছিল মৃত্যুঞ্জয়। আমাদের চেয়ে সে বয়সে অনেক বড়। ফাইনাল ইয়ারে পড়িত। কবে যে সে প্রথম ফাইনাল ইয়ারে উঠিয়াছিল, এ খবর আমরা কেহই জানিতাম না। সম্ভবত তাহা রেজিস্ট্রার মহাশয়ের গবেষণার বিষয়।
মৃত্যুঞ্জয়ের বাপ-মা ভাই-বোন কেহই ছিল না। ছিল দুরন্ত রাজশাহীর একপ্রান্তে ভ্রাম্যমান মাদক ব্যাবসা, আর নিষিদ্ধ পল্লীতে একখানা বাগানবাড়ি। আমাদের ডিপার্টমেন্টাল হেডস্যার সম্পর্কে তাহার খুড়া লাগিত। খুড়ার কাজ ছিল, ভাইপোর নানাবিধ দুর্নাম রটনা করা। যেমন মৃত্যুঞ্জয়ের সিজিপিএ কম, সে পলিটিক্স করে, ফাণ্টু খায়, আর উইকেন্ডে নারী নিয়া ফুর্তি করে, এমনি আরও কত কি!
মৃত্যুঞ্জয় হলে ফ্রি খাইত এবং আমের সিজনে রুয়েটের আমবাগানের টেন্ডার নিয়া আর যৎসামান্য চাঁদাবাজি করিয়া তাহার সারা বৎসরের পিনিক চলিত।
যেইদিন দেখা হইয়াছে, সেই দিনই দেখিয়াছি ক্যাফেটেরিয়ায় বসিয়া মৃত্যুঞ্জয় ললনাদের নিয়া রঙ্গতামাশায় ব্যাতিব্যাস্ত রহিয়াছে। ফেসবুকে তাহারে কখনো কারো লগে যাচিয়া চ্যাট করিতে দেখি নাই। বরঞ্চ উপযাচক হইয়া আমরাই তাহারে চ্যাটে হিট করিতাম। তাহার প্রধান কারণ ছিল এই যে, টঙে সিগারেট কিনিয়া খাওয়াইতে রুয়েটের মধ্যে তাহার জোড়া ছিল না। আর শুধু ছেলেরাই নয়।
কত মেয়ে যে কতবার গোপনে তাহাকে ফোন দিয়া কামিজ হারাইয়া গেছে, ফোনে ব্যাল্যান্স শেষ হইয়া গেছে, ইত্যাদি বলিয়া টাকা আদায় করিয়া লইত, তাহা বলিতে পারি না। কিন্তু ঋণ স্বীকার করা ত দূরের কথা, মৃত্যুঞ্জয় তাহাদের ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে আছে এ কথাও তারা ক্যাম্পাসে কবুল করিতে চাহিত না। রুয়েট ক্যাম্পাসে মৃত্যুঞ্জয়ের ছিল এমনি সুনাম।
মৃত্যুঞ্জয়ের শোকজ, খুড়ার বাইঞ্চোদি...
অনেকদিন মৃত্যুঞ্জয়ের সাথে দেখা নাই। একদিন শোনা গেল, ফাইনালে নকল করতে গিয়া সে শোকজ খাইয়াছে ।
আর একদিন শোনা গেল, ইটিই ডিপার্টমেন্টের তথাকথিত মেধাবী ছাত্রী বিলাসী ডিএসডব্লিউর সাথে সিস্টেম করিয়া মৃত্যুঞ্জয়কে নিশ্চিত ইয়ারলগের হাত হইতে এ যাত্রা ফিরাইয়া আনিয়াছে। অনেকদিন মৃত্যুঞ্জয়ের সাথে ডিনার করিনা, তাই মনটা কেমন করিতে লাগিল। একদিন সন্ধ্যার অন্ধকারে লুকাইয়া তাহাকে দেখিতে গেলাম। তাহার পাপমঞ্জিলে কলিংবেলের বালাই নাই। স্বাচ্ছন্দে ভিতরে ঢুকিয়া দেখি, বাথটাবে শুইয়া মৃত্যুঞ্জয় গাঁজা টানিতেছে, তাহার নিম্নাঙ্গের দিকে চাহিলেই বুঝা যায়, বাস্তবিকে জোঁকের তেল সে কম মালিশ করে নাই।
বিলাসী শিয়রে বসিয়া পেগ বানাইতেছিল, অকস্মাৎ মানুষ দেখিয়া চমকিয়া উঠিয়া দাঁড়াইল। এই সেই বিলাসী। তাহার বয়স আঠারো কি আটাশ ঠাহর করিতে পারিলাম না। কিন্তু মুখের প্রতি চাহিবামাত্রই টের পাইলাম, বয়স যাই হোক, মৃত্যুঞ্জয়ের সাথে লিভ টুগেদার করিয়া ইহার শরীরে আর কিছু উচ্ছিষ্ট নাই।
মৃত্যুঞ্জয় আমাকে চিনিতে পারিয়া বলিল, "অয়াসসাপ ড্যুড?" বলিলাম, হুঁ।
মৃত্যুঞ্জয় কহিল, "পাঁচশ টেকা ধার দে। " আমি আর জবাব দিলাম না।
বিলাসী ঘাড় হেঁট করিয়া দাঁড়াইয়া রহিল। মৃত্যুঞ্জয় দুই-চারিটা কথায় যাহা কহিল, তাহার মর্ম এই যে, হারামজাদা খুড়া তাহারে এক সেমিস্টারের জন্য বহিস্কার করিয়াছে। মনের দুঃখে কিছুদিন সে মালেকের মোড়ে অচৈতন্য অবস্থায় পড়িয়া ছিল, এই কয়েকদিন হইল সে টানা শুকনা টানিতেছে।
মাঝেমধ্যে ডাইলের বোতলে দুআধচুমুক দিয়া গলা ভিজাইয়া লইতাছে। দুই-তিনবার মাথা চুলাকানোর পর বুঝিতে পারিলাম যে, নেশা করিতে করিতে মৃত্যুঞ্জয়ের আজ বংশবৃদ্ধি করিবার মুরোদ নাই, তারপরও এই শহরের মধ্যে একাকী যে মেয়েটি তাকে বাঁচাইয়া তুলিবার ভার লইয়াছিল, সে কতবড় গুরুভার! দিনের পর দিন, রাত্রির পর রাত্রি মৃত্যুঞ্জয়ের কত আয়েশ, কত খায়েশ, কত বর্জ্য, কত কর্জ এই অবলাকে শুধিতে হইয়াছে কে তাহার হিসাব রাখে!
বিলাসীর চরিত্রনামা...
ফিরিবার সময় মেয়েটি মুঠোফোনে টর্চ জ্বালাইয়া আমার সাথে লাইব্রেরীর শেষ পর্যন্ত আসিল। তারপর অকস্মাৎ কালবৈশাখীর প্রকোপে মোরা এক আমগাছের তলায় আশ্রয় লইলাম। দুই ঘণ্টা সতের মিনিট ধরিয়া বজ্রদেবতার হুংকার আর বিলাসীর চিৎকার পালাক্রমে চলিতে থাকিল। ঝড় থামিবার পূর্বেই বিলাসীর সাথে আমার প্র্যাকটিস ম্যাচ থেকে আরম্ভ করিয়া সেমিফাইনাল, ফাইনাল সবই খেলা হইয়া গেল!
এটাক অন বিলাসী...
প্রায় মাস-দুই মৃত্যুঞ্জয়ের খবর লই নাই।
এমনি সময়ে হঠাৎ একদিন কানে গেল, মৃত্যুঞ্জয়ের সেই খুড়া তোলপাড় করিয়া বেড়াইতেছে যে, গেল গেল, রুয়েটটা এবার রসাতলে গেল! অন্য ভার্সিটির সামনে তাঁর মুখ বাহির করিবার আর জো রহিল না, অকালকুষ্মাণ্ডটা একটা শাঁকচুন্নীর সাথে লিভ টুগেদার করিয়া বেরাইতেসে। আর শুধু লিভ টুগেদার নয়, বন্ধুদের নিয়া তাহার সাথে গ্রুপ টুগেদার পর্যন্ত করিয়াছে! যদি ইহার শাসন না থাকে ত ইস্টিশনের কোন হোটেলে গিয়া বাস করিলেই হয়!
তখন আমরা সবাই মিলিয়া যে কাজটা করিলাম, তাহা মনে করিলে আমি আজও লজ্জায় মরিয়া যাই। খুড়া চলিলেন ডিপার্টমেন্টের ত্রাণকর্তা হইয়া, আর আমরা আশি-নব্বুইজন সঙ্গে চলিলাম রুয়েটের ইজ্জত যাতে আবার বেইজ্জত না হয় এই তাগিদে।
মৃত্যুঞ্জয়ের ওইখানে গিয়া যখন উপস্থিত হইলাম তখন সবেমাত্র সন্ধ্যা হইয়াছে। বিলাসী তখন স্টার প্লাসে "ইয়ে রিশতা কেয়া কেহলাতাহে" দেখিতেছিল, অকস্মাৎ লাঠিসোঁটা হাতে এতগুলি লোককে দেখিয়া ভয়ে নীলবর্ণ হইয়া গেল।
খুড়ো ঘরের মধ্যে উঁকি মারিয়া দেখিলেন, মৃত্যুঞ্জয় ঝিমাইয়া আছে। সুযোগ বুঝিয়া খুড়ো তাহাকে তালাবন্ধ করিয়া দিলেন। অন্যদিকে বিলাসী শাবনুরের মত চেঁচাইতে শুরু করিল, "জ্বলে পুড়ে মরার মাঝে যদি কোন সুখ থাকে, তারই নাম ভালবাসা। তারই নাম প্রেম। " খুড়া বলিলেন, তবে রে! ইত্যাদি ইত্যাদি।
এবং সঙ্গে সঙ্গেই দশ বারোজন বীরদর্পে হুঙ্কার দিয়া বিলাসীর উপর চোরাগোপ্তা হামলা চালাইল।
বিলাসী প্রথমে আর্তনাদ করিয়া উঠিয়াছিল, তারপরে আয়েশে চক্ষু মুদিয়া শরীরটা এলিয়ে চুপ করিয়া রইল। কিন্তু আমরা যখন তাহাকে রুমের বাহিরে রাখিয়া আসিবার জন্য হিঁচড়াইয়া লইয়া চলিলাম, তখন সে মিনতি করিয়া বলিতে লাগিল, "বাবুরা, আমাকে একটিবার ছেড়ে দাও, আমি সিরিয়ালের বাকি অংশটুকু একটু দেখে আসি!"
মৃত্যুঞ্জয় রুদ্ধ-ঘরের মধ্যে পাগলের মত মাথা কুটিতে লাগিল, দ্বারে পদাঘাত করিতে লাগিল এবং শ্রাব্য-অশ্রাব্য বহুবিধ ভাষা প্রয়োগ করিতে লাগিল। কিন্তু আমরা তাহাতে তিলার্ধ বিচলিত হইলাম না। ভার্সিটির মঙ্গলের জন্য সমস্ত অকাতরে সহ্য করিয়া বিলাসীকে হিড়হিড় করিয়া টানিয়া লইয়া চলিলাম।
৩ বৎসর পর...
বৎসর খানেক গত হইয়াছে। পড়াশোনায় সুবিধা করিতে না পারিয়া বিধবা সুন্দরীর হাত ধরিয়া সদ্য ইউএস আসিয়াছি। একদিন সকালে দাঁত মাজতে মাজতে এলাকার এক সীবিচের ভিতর দিয়া চলিয়াছি, হঠাৎ দেখি, বালির উপরে মাদুর পাতিয়া রোদ পোহাইতেছে, আমাদের মৃত্যুঞ্জয়। তার চউক্ষে গেরুয়া রঙের দামী সানগ্লাস, ব্যাকব্রাশ করা বড় বড় চুল, গলায় ব্র্যান্ডের রুদ্রাক্ষ ও নিম্নাঙ্গে বারমুডা। কে বলিবে এ আমাদের সেই মৃত্যুঞ্জয়! রাজশাহীর পোলা জাত বিসর্জন দিয়া পুরাদস্তুর টম ক্রুজ বনিয়া গেছে।
বলিতেছিলাম যে, দেখিয়া কে বলিবে এই সেই মৃত্যুঞ্জয়। কিন্তু আমাকে সে খাতির করিয়া বসাইল। বিলাসী বিকিনি পরিয়া স্যুইম করিতে গিয়াছিল, আমাকে দেখিয়া সেও ভারী খুশি হইল এবং মৃত্যুঞ্জয়ের সম্মুখেই বার বার জড়াইয়া ধরিতে লাগিল। জড়াজড়ি শেষে কথায় কথায় শুনিলাম, খুড়ার কাছে মারা খাওয়ার পরেরবছরই তাহারা এখানে আসিয়া এপার্টমেন্ট কিনিয়া বেশ সুখেই আছে। সুখে যে আছে, এ কথা আমাকে বলার প্রয়োজন ছিল না, শুধু বিলাসীর সুসাস্থ্যের পানে চাহিয়াই আমি তাহা বুঝিয়াছিলাম।
সাপমারা অভিযানের সূত্রপাত...
মৃত্যুঞ্জয়েকে বলিতে শুনিলাম, ডিসকভারি চ্যানেল দেখিতে দেখিতে তার পিটাইয়া সাপ মারিতে বড্ড সাধ জাগিয়াছিল। এইজন্য কামাখ্যা চিড়িয়াখানায় গিয়া সাপমারা বিষয়ে একাধিক কোর্সও সে করিয়া লইয়াছে। ব্লগে ব্লগে সাপমারা বিষয়ক মন্ত্র পোস্টাইয়া অনলাইনে সে ইতোমধ্যে শিব উপাধি পাইয়াছে।
নেক্সট উইকেন্ডে কাছের এক দ্বীপে তাহাদের সাপ মারার বায়না আছে এবং তাহারা প্রস্তুত হইয়াছে। ছেলেবেলা হইতেই দুটা জিনিসের উপর আমার প্রবল শখ ছিল।
প্রথমটা কওয়া যাইব না, দুই নাম্বারটা তো কমুইনা। যাই হোক, মৃত্যুঞ্জয় সেলিব্রেটি ব্লগার; খোমাপাতায় তার লাখো ফলোয়ার। সুতরাং মস্ত লোক। তাই আমিও সঙ্গে যাইবার জন্য লাফাইয়া উঠিলাম। খোমাতে স্ট্যাটাস দিয়া থুইলাম, ইউক্লিড ইজ গোয়িং অন স্নেকহান্ট উইথ মহাদেব মৃত্যুঞ্জয় এন্ড এঞ্জেল বিলাসী।
পাঁচ মিনিটে ফলোয়ার চার অঙ্ক পেরুল। আমার ভাগ্য যে অকস্মাৎ এমন সুপ্রসন্ন হইয়া উঠিবে, তাহা কে ভাবিতে পারিত? মৃত্যুঞ্জয়ের আসন্ন সাপমারা নিয়া পত্রপত্রিকায় খুব আলোচনা হইল, রাত দশটার পর খুব করিয়া টকশো বসিল। দুইএকটা টকশোতে আজাইরা কিছু প্যাঁচাল পারিয়া আমিও ছোটখাট ছেলিব্রিটি হইয়া গেলুম।
অবশেষে সাপ মারার দিন আসিল...
সাপিনী আর মৃত্যুঞ্জয় মুখোমুখি। বিলাসী পেছনে দাঁড়াইয়া চিক্কর দিয়া বকিতেছিল, "ওরে.. বেশ্যার বেটা.. দূরে সরে আয়।
এইটা সেই নাগিনী, অমাবস্যার রাতে যার নাগরাজরে তুই পিটাইয়া মারসিলি.. ওরে নেংটা নাগিনী আমার জয়রে ছাড়িয়া দে। সাহস থাকিলে পলাইয়া যা, ইত্যাদি ইত্যাদি। " বিলাসীর তিরস্কারে নাগিনী ফোঁস ফোঁস করিয়া মানুষের রূপ লইল। হারামজাদা মৃত্যুঞ্জয় উহা দেখিয়া কামুক হইয়া উঠিল। লড়াই ছাড়িয়া সে নাগিনীর এদিক ওদিক হাত লাগাইতে লাগিল।
শেসে নাগিনী তার ঝকঝকে দাঁত দিয়া ভ্যাম্পায়ারের মত গলায় ছোবল দিল। মরার শেষ মুহূর্ত অব্দি মৃত্যুঞ্জয় নাগিনীর বিপবিপ আঁকড়ে ধরিয়া ছিল। বিষের তীব্রতায় তার পুরোশরীর একেবারে নেভিব্লু হইয়া গেল। আমি সেফ পজিশনে থেকে গোটা বিষয়টা ভিডিও করিয়া লইলাম। ইউটিউবে ব্যাপক হিট পরিবে।
তিন সপ্তাহ পর...
নাগিনী এখন অনলাইনে বিরাট সেলিব্রিটি। খোমাতে তার লাখো লাখো ফলোয়ার। বাথরুমের আয়নায় তার এক ছবিতেই লাইক পড়িয়াছে কুড়ি হাজার। আমি দ্রুত মৃত্যুঞ্জয় আর বিলাসীকে রিমুভ মারিয়া নাগিনীকে একটা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠাইয়া দিলাম।
সেলিব্রিটিদের সাথে যোগাযোগ না রেখে কি আর উপায় আছে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।