আমি বিলাত থাকি, কামলা খাটি
মারিয়া হোসে ক্রিসটিন নামের এক মেক্সিকান মহিলা কাজ করতেন একজন প্রশিক্ষিত আইনজীবি হিসাবে। তার ছিলো ফুটফুটে চারটি সন্তান। ৩৫ বছর বয়সের এই মহিলার হঠাৎ করেই কি খেয়াল হলো আল্লাহই মালুম, সমস্ত শরীর খোঁদাই করে ফেল্লেন ট্যাটু দিয়ে। অপারেশন করে মাথার খুলি ও কপালের চামড়ার ভিতর বসিয়ে দিলেন টাইটানিয়ামের শিং। তার মতে, এই শিং সাহসিকতা ও সহনশীলতার প্রতীক।
কারন, এই অপারেশন করার সময় তাকে কোনো রকম বেহুঁশ কিংবা অবশ করা হয় নাই। ডেনটিস্ট দিয়ে দাঁতগুলাকে চোখা করে ছুরির মতো বানিয়েছেন। চোখের রংও বদলিয়েছেন। ক্যালিফোনিয়ার মন্টারীতে এক ট্যাটু শোতে তার প্রথম প্রকাশ হয়। তবে, তার নাকি রুপ বর্ধনের কাজ (!) এখনো কিছু বাকী আছে।
পিঠের চামড়ার নিচে আরো কয়েকটা টাইটানিয়ামের শিং বসাইতে পারলে দিলে শান্তি পাবেন। তবে তার দাবী, তিনি কোনরকম ঝুট-ঝমেলা ছাড়া স্বাভাবিক জীবন-যাপন করছেন। তবে তার সাথে ঝামেলা করবেই বা কে? আচমকা অন্ধকার রাতে সামনে এসে দাড়ালেই তো খাচাঁর পাখি ফুরুৎ।
তবে যতটুকু জানা যায়, মেক্সিকোর একটি অতি রক্ষণশীল পরিবারে তার বেড়ে উঠা। মাত্র ১৭ বছরে তার বিয়ে হয়।
কিন্তু বছরের পর বছর পারিবারিক নির্যাতন সইতে না পেরে তার এই পরিবর্তন।
বাংলার অসংখ্য নির্যাতিত মা-বোনেরা এই রকম কিছু চিন্তা ভাবনা করতে পারেন। যাতে নারী নির্যাতনের বিষয়টি নিয়ে সকলের সচেতনতা বাড়ে।
খবরের লিংক। আমি অবশ্য লন্ডনের দ্যা সান পত্রিকায় প্রথম এই খবর পড়েছিলাম।
পরে, অনলাইন থেকে বাকী খবর সংগ্রহ করি।
রুপান্তর:
ইউটিউব ভিডিও লিংক:
Link 1
Link 2
Link 3
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।