An Engineer needs not to be a perfectionist or a fastidious intellect. An Engineer needs to be someone who can keep pursuing the goal with whatever resources available at a particular moment. (লেখাগুলো এলোমেলো কিছু অসংলগ্ন চিন্তার সংকলন... লেখকের একান্তই ব্যক্তিগত চিন্তা। )
"মামনি!!! চা খাব!!!! "
"চা নাই বাসায়। আনতে হবে। "
"নাই মানে???"
"নাই মানে not present. খেতে চাইলে যা গিয়ে কিনে নিয়ে আয়। "
গজর গজর করতে করতে বাসা থেকে বের হলাম।
আজকাল কাজের চাপে বাসায় চা খাওয়া প্রায় কমে শুন্যের কোঠায় চলে গেছে। খাবোই বা কখন? সকালে ৭ টার দিকে বের হই আসি রাত য়টার দিকে। বিরক্তিকর বালের লাইফ একটা। কাজের লোক নাই, বিশাল বাসা খালি, ৩ জন ই কাজ করে ক্লান্ত হয়ে ফিরে এসে কোনোমতে মুখে ২ টা গুজে ঘুমায়ে পড়ে।
যাই হোক।
বাজার করতে এসে দেখি জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী!! ইয়াল্লাহ!!আগে পায়ের উপ্রে পা তুলে বাপ কি হোটেলে ইচ্ছামত সাবড়ে দিতুম, গায়েও লাগত না যে কত খরচ করতেসি বা কিভাবে খরচ করতেসি। আর এখন , হায়রে, মানিব্যাগ থেকে প্রত্যেকটা টাকা বের করতে গেলে বুকে খচখচ করে উঠে... হায়রে...আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম...
বুঝলাম না... দিন দিন মনে হয় হাড়কিপ্টা হয়ে যাচ্ছি।
আমসি মুখে কেনাকাটা করে বাসায় দিয়েআসতেই দেখি কারেন্ট নাই। কাজেই বিছানা আমার শেষ ঠিকানা ...
সারারাত নিদ্রাদেবীর সাথে লুকোচুরি করে শেষরাত্রের দিকে যখন ঘুমটা আসলেও সে ঘুমটা দুঃস্বপ্নের ঘোরে ভেঙ্গে যায়। টলতে টলতে উঠে কোনোমতে গোসল, রেডি হওয়া সেরে নিয়ে রওনা হই, কোনোদিন কিছু খেয়ে, কোনোদিন কিছু না েয়ে।
গাড়িতে উঠে ক্লান্তির চোটে অচেতন হয়ে পড়ি... সেই এক ঘন্টার ঘুমই আমার সারাদিন কাজের সঙ্গি হয়। নেমে অফিসে পাঞ্চের প্রতিযোগিতা, ৯ টারআগে ঢোকার তাড়াহুড়া... এর পর আয়েশ করে নেমে এসে এক কাপ রফিক মামার চা ,আর একটা বেনসন দিয়ে দিনের শুরু , এভাবে গত কয়েকমাস ধরে while loop এ জীবন চলে যাচ্ছে।
এভাবে দিন চলতে চলতে প্রচন্ড বিরক্ত হয়ে গেছিলাম, বাসায় ও সেটা বুঝতে পারছিলো। একারনে তারা প্রায় জোর করে ছুটি েয়ায়ে দেশের বাড়িতে পাঠায়ে দিলো। নানির কবরে বুয়েটের রেজাল্ট দেয়ার দিন সকালে গেসিলাম... তারপরে দীর্ঘ সাড়ে পাচ বছর পরে এবার আবার গেলাম।
সাতক্ষীরা শহরটা অনেক প্রিয়আমার। এত ধূলা নেই, এতআবর্জনা নেই... ছিমছাম, ছোট্ট একটা শহর...আর শান্ত পরিবেশ। দুঃস্বপ্নগুলো কিছুক্ষনের জন্য হলেও তাড়া করা বন্ধ করে।
নানীর কবরের পাশে কিছুক্ষন চুপচাপ দাড়ায়ে ছিলাম। আমি ক্লাস সেভেনে যখন ছিলাম তখন উনি মারা যান।
উনার জীবনের উপর দিয়ে অনেক ঝড় গেছে... একা একা ১০ ছেলেমেয়ে কে মানুষ করে প্রত্যেক কে উচ্চশিক্ষিত বানানো... কম কথা না। ইস্পাতের মত ৃঢ় মনোবল থাকলে এটা সম্ভব হয়... নানীর কাছে থেকে মামনি মনে হয় ইনহেরিটেন্স ল অনুযায়ী তার মনোবল আর জেদ পেয়েছে। প্রতিনিয়ত ছোটবেলা থেকে ঝগড়া করে আসছি তার সঙ্গে, কারনে , অকারনে...আর করতে ইচ্ছে করেনা। আমি ক্লান্ত।
হঠাৎ একটু ঠান্ডা হাওয়া তার শীতল স্পর্শ বুলিয়ে চুল এলোমেলো করে দিলো... ছোটবেলায় দুস্টামি করলে নানি যেরকম করতেন।
কেন জানি মনে হলো এসে হাত বুলিয়ে গেলেন ... তার জেদি নাতির না বলা কথাগুলো শুনতে পেরে।
কবরখানা থেকে বের হয়ে কিছুদুর গিয়ে মাইলের পর মাইল জুড়ে সাজানো চিংড়ি ঘের। HSC এর পরে যখন পুরা জগৎ প্রায় ওলোটপালট হয়ে গিয়েছিলো তখন এখানে একা একা বসে ঘন্টার পর ঘন্টা চুপচাপ বসে বাতাসের আওয়াজ শুনতাম। আর অনেক দূরে আইল দিয়ে হেটে যাওয়া মানুষগুলোকে দেখতাম। নিঃসঙ্গ বাতাসের হু হু হাওয়া বয়ে চলতো , পানির বুকে উঠতো ৃদু ৃদু স্রোত...আর তা দেখে জীবনের অর্থ খুজার ব্যর্থ প্রয়াসে মগ্ন থাকতাম আমি।
এখানে চুপচাপ বসে নিজের ভেঙ্গে যাওয়া প্রত্যেকটা স্বপ্নকে আবারো জোড়া লাগানোর মানসিক শক্তি অর্জন করেছি ...আর তারপরে ফিরে গিয়েছি নিজের হাতে তৈরী করা নরকে... সেই নরক পাড়ি দেবো বলে।
দুঃস্বপ্নগুলো আমাকে আবারো টেনে নিয়ে এসেছে সেই স্থানে, যেখান থেকে আমি সবকিছু শুন্য হতে শুরু করেছি।
আকাশে কালো মেঘ জমছে খ্যেয়াল করিনি। ফোটা ফোটা ৃষ্টি গায়ে পড়ার পরে টের পেলাম ...আকাশ কাদছে। হয়ত বা আমার কস্টটা আকাশ বুঝতে পেরে অনেকদিন পর আমাকে ভিজিয়ে দিতে চাইছে।
হাজার বছর ধরে ৃষ্টিতে ভিজলেও যে আমার ভিতরের নরকের আগুন নিভবে না... নেভা সম্ভব না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।