আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রবিন্দ্রনাথ / শানে নুযুল (ফান পোষ্ট)

আমার এক বন্ধু ছিল। বন্ধু ছিল খুবই মজার মানুষ। তার কথায় আমরা হেসে গড়াগড়ি খেতাম। যে কোন কথা সে এত সুন্দর করে সাজিয়ে বলত যে, আমরা মুগ্ধ হয়ে যেতাম। এক কথায় জোকার হিসাবে আমাদের মাঝে তার একটা পরিচিতি ছিল।

তো একদিন আমরা গল্প করছিলাম , আমাদের গল্পের বিষয় ছিল রবীন্দ্রনাথ-নজরুল ইসলাম। যে যার মত বক্তব্য ঝাড়তে ছিল। তার মাঝে আমার সেই বন্ধু বলে উঠল , তোমাদের কে রবন্দ্রনাথের একটা কবিতার শানে শানে নুযুল শুনাই। আমরা বল্লাম শানে নুযুল আবার কি জিনিস ? শানে নুযুল হল কোন একটা বিষয়ের মূল কারন বা প্রোপট। আরো খুলে বল্লে কোন বর্ণীত , অবতীর্ণ বিষয় যেই পোপট এর উপর ভিত্বি করে লিপিবদ্ধ করা হয়, সেই প্রোপট কেই শানে নুযুল বলে।

যেমন; আসমানী কোন বিধান অবতীর্ণ হয়ে ছিল তখনকার কোন প্রোপটের উপর ভিত্বি করে, সেই প্রোপট কে সংরন করা হয় যাতে করে পরবর্তীতে বিধান টা কিজন্য দেওয়া হয়েছিল সেটা মানুষ জানতে পারে। আমরা বুঝতে পারলাম ওয়াটস্ দ্যা শানে নুযুল। তো আমরা তাকে বল্লাম দোস্ত, রবীন্দ্রনাথের কবিতার শানে নুযুলটা বলে ফেল। দোস্ত শুরু করল। একদা রবীন্দ্রনাথ তার শশুরালয়ে বেড়াতে গেলেন।

সেখানে আদর আপ্যায়নের কমতি ছিলনা। জামাই আদরে বিকাল গড়িয়ে রাত্রি এলো। গাল-গোল্প শেষে রাতের খাবারের আয়োজন হল, জামাই বাবজী কে শশুর বাড়ীর মধুৃর হাড়ী সম্পর্কে ভালই ধারনা দেওয়া হল। পদে পদের তরকারী আর নানা রকম খাবার খেয়ে কবি গুরু তৃপ্তির ঢেকুর তুল্লেন। খেযে দেয়ে এক সময় ঘুমিয়েও পড়লেন।

খুব বেশী খাবার খেলে যা হয় আরকি। ঘুমের মাঝেই হঠাৎ তার তলপেটে যন্ত্রনা অনুভুত হল। প্রস্রাবের বেগে তার ঘুম ভেঙ্গে গেল। কাউকে না জাগিয়ে মশাল হাতে কবি কুঠির বাড়ী থেকে বেরিয়ে পড়লেন। কিছুদুর এগিয়ে বাড়ীর আঙ্গীনা থেকে দুরে এক জায়গায় আসলেন।

উচু মাটি থেকে অপোকৃত নীচু ভূমির দিকে বসে পড়লেন। বসে আর তার দেরি করতে হলনা, মেশিন চলছে দুর্বার গতিতে। একসময় গতি কমে আসল। আরামে আবেশে শরীর নিস্তেজ হয়ে আসল। কবি সুখের আতিসয্যে মেশিনটাকে মাটিতেই ঠেকিয়ে দিলেন।

আসলে যাদের এমনটা হয়েছে তারাই এটা বুঝতে পারবে যে, তখন কেমন সুখ লাগে। একে তো ভরা পেট, তার উপর যখন প্রস্রাবের বেগ আসে এবং সমস্ত শরীরে একটা সুখের আবেশ দিয়ে যখন শেষ হয় , তখন সমস্ত শরীর হাল্কা হয়ে যায়। তাই কবির মনের সুখে স্বর্গীয় আবেশে গা এলিয়ে দিলেন। এমন সময় তার ভিতর কবি ভাবের উদয় হল। ভিতরের কবি সত্বা জেগে উঠল।

পুরা বিষয়টা কে তিনি কবিতার মাঝে ফুটিয়ে তুল্লেন। রাতের নিস্তব্ধ আধার কে ভেদ করে কবি আপন মনে গেয়ে উঠলেন। ও আমার দেশের মাটি , তোমার পরে ঠেকাই মাথা। তোমাতে বিশ্বময়ীর, তোমাতে বিশ্ব মায়ের আঁচল পাতা॥ ও আমার দেশের মাটি , তোমার পরে ঠেকাই মাথা। ।

কোন মাথা ? বুঝতে পারছেন? চাচায় কি কইবার চায় ? বি: দ্র: ফান পোষ্ট। কবি গুরুর সাথে আমার সাাত হয়নি। তাই শানে নুযুলটির সত্যতা যাচাই করা যাযনি। সুতরাং বিশ্বাস অবিশ্বাস পাঠকের নিজ দায়িত্বে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.