ভারতে প্রতি বছর শত শত কন্যা শিশুকে ছেলে শিশুতে রূপান্তর করার লোমহর্ষক খবর জানা গেছে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এ কাজটি বেশ গোপনে সারছেন একশ্রেণীর অসাধু চিকিৎসক।
এসব চিকিৎসক অপেক্ষাকৃত অল্প খরচে সফলভাবে এ অপারেশনে পারদর্শিতা দেখানোয় এমন বিবেক বর্জিত ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ক্রমেই এগোচ্ছে ছেলে-শিশু প্রত্যাশী বাবা-মায়েরা। মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় কন্যা-শিশু ভ্রূণ হত্যা দেশটিতে যুগ যুগ ধরে অনেকটা খোলামেলা ভাবে চলে আসছে।
তবে জন্মের পর মেয়েকে ছেলেতে রূপান্তরের এ পৈশাচিক কাজটি নিশ্চয়ই সে দেশের একশ্রেণীর বাবা-মা ও চিকিৎসকের নৈতিক অবক্ষয়ের চিত্রকেই আরও প্রকট করে।
বছর বছর চলতে থাকা মেয়েকে ছেলেতে পরিণত করার এ জঘন্য কাজে এখন বিশেষ পরিচিত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ইন্দোর জেলা।
প্রতি বছর কেবল এ জেলাতেই কয়েকশ মেয়ে-শিশুকে জোরপূর্বক ছেলেতে পরিণত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অভিভাবক কিংবা চিকিৎসক কেউই নির্যাতিত এ শিশুটির কোনও মতামত নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। সাধারণত শিশুর বয়স যখন ১ থেকে ৫ বছরের মধ্যে থাকে তখন তাকে এ বর্বরতার শিকার করা হয়। চিকিৎসার ধারা অনুযায়ী, প্রথমে শিশুর শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়।
পরে শিশুটিকে ধাপে ধাপে দেওয়া হয় হরমোন থেরাপি। সফলভাবে এ কাজ সম্পন্ন হলে মেয়ে-শিশুটি তার পূর্ব পরিচিতি হারিয়ে বনে যায় পুরাদস্তুর এক ছেলেতে। মেয়ে-শিশু থেকে ছেলে-শিশুতে পরিণত করার কাজটি চিকিৎসাশাস্ত্রে ‘জেনিটোপ্লাস্টি’ বলে পরিচিত।
এ ধরনের একেকটি অস্ত্রোপচারের জন্য খরচ পড়ে প্রায় দেড় লাখ রুপি। অভিভাবকদের এ ধরনের প্রবণতাকে সরকারের পক্ষ থেকে দরিদ্রতাকে দায়ী করা হলেও বিশেষজ্ঞরা তা মানতে অস্বীকৃতি জানান।
হিন্দুস্তান টাইমস। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।