আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোনোকো- ফিলিপস এর সাথে চুক্তি না প্রাকাশে পেছনের কারন

অদ্ভুত পৃথিবী কোনোকো- ফিলিপস এর সাথে চুক্তি না প্রাকাশে পেছনের কারনের জন্য হাসিনা- ইউনুস দ্বন্দ্বই দ্বায়ী। হাসিনা ও ড.ইউনুস দ্বন্দ্বের কথা আমাদের সবারই জানা ,এই বিষয় টি নিয়ে যে দেশ সবচেয়ে বেশি মাথা ঘামায় সেটি আমেরিকা । প্রাথমে হাসিনা-আমেরিকার সর্ম্পকের বিষয়ে আসা যাক ইতিহাস থেকে যতদুর জানাযায় হাসিনা-আমেরিকার সর্ম্পক ভালই ছিল এর করন ঊত্তরাধিকার ও দাদাদের সাথে আমেরিকার কারনে । তিনি এই রাষ্ট্রটির প্রেমে পড়ে তার ছেলেকে পাঠিয়েছিলেন ঐ দেশে পড়াশুন করতে এর পেছনেও আবার বিশাল প্রেম কাহিনি জড়িত ,(তার সূযোগ্য পুত্র জয় ও সালমান এফ রহমানের মেয়ের প্রেম কাহিনি)। তার সুযোগ্য পুত্র জয় ঐ দেশে গিয়ে এক বিদেশিনির প্রেমে পড়েন তারপড় বিয়ে করেন আর এই বিয়ে সানন্দে গ্রহন করেন তিনি ।

এই দেশে ক্ষমতায় বসার জন্য একমাত্র আমেরিকার দালালিই যথেষ্ট এটি ভাল করেই জানেন হাসিনা । শেখ হাসিনা নিজেই বলেছেন গ্যাস চুক্তি ছাড়া এই দেশের ক্ষমতায় বসা সম্ভব না আমরা প্রায়ই তার এই ঊক্তি শুনি। তাই তিনি এবার গ্যাস রাফতানি চুক্তি করে যে ক্ষমতায় এসেছেন তার একটা উৎকৃষ্ট প্রমান হলো কোনকো-ফিলিপ্সের সাথে চুক্তি । এই কারনে এই চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করতে নারাজ তিনি। আর প্রকাশ করলেই গুমোর ফাস ।

হাসিনা আমেরিকার সর্ম্পের প্রথম চিড় ধরে ১৯৯৯ সালে যখন আমেরিকা এই ঊপমহাদেশে কোন উপনিবেশিক দেশ খুজে পাচ্ছিল না চীন কে দমানোর জন্য । আমেরিকার প্রস্তাব ছিল বাংলাদেশের সমুদ্র সীমায় মার্কিন রনতরী রাখার অনুমুতি ,বিনিময়ে বংলাদেশ তার সমুদ্রসীমার নিছিদ্র নিরাপত্তা প্রদান ও মার্কিন বিনিয়োগ বৃদ্ধি । কিন্তু বাংলাদেশের জনগণের চাপ ও ভারতের চাপের ফলে সরকার ওই চুক্তি থেকে সরে আসে এবং ২০০১ এর নির্বাচনে ফেল করে । আর এই একই চুক্তি করে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসে কিন্তু খালেদা সরকারও বিফল । এবার আমেরিকা তৃতীয় শক্তির খোজ করতে থাকে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার কে ক্ষমতায় আনে কিন্তু এবারও আমেরিকার আশায় গুড়োবালি ।

এদিকে ভারতের সাথে সর্ম্পেকের উন্নয়ন ঘটায় আমেরিকা এই নীতি থেকে সরে আসে এবং তাদের মনোযোগ ভারতের দিকে দেয় । এবার আসুন ড.ইউনুস এর সর্ম্পক দেখি । মুহাম্মদ ইউনুস ও আমেরিকার মধ্যে সর্ম্পক হয় হিলারি ক্লিণ্টনের মাধ্যমে । ড.ইউনুস আমেরিকায় গবেষনা করার সময় ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হিলারির সাথে বন্ধুত্ব হয় । পরবর্তী কালে আমেরিকার বিভিন্ন প্রতিষ্টানের হয়ে তিনি কাজ করেন এবং এর মাধ্যমে তিনি আমেরিকার ব্যাবসা ক্ষেত্রে লিজেন্ড হিসেব আর্বিভুত হয় ।

তিনি সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পান ক্লিন্টনের শাসন আমলে এই সময় তিনি আমেরিকার অর্থনিতির বিভিন্ন দিকে পরির্তনে বিশেষ ভুমিকা পালন করেন । আমেরিকা ড.ইউনুসের দেওয়া থিওরী প্রথম প্রয়োগ করে পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে এবং এখানে আমেরিকার সাফল্য আসে । বর্তমানে আমেরিকার অনেক ব্যাবসা প্রতিষ্টান সারাবিশ্বে ড.মুহাম্মদ ইউনুসের দেওয়া থিওরী নিয়ে ব্যাবসায় নেমেছে । সর্বশেষ আমেরিকার ইতিহাসের সচেয়ে বড় অর্থনৈতিক ধস কাটিয়ে ওঠতে ইঊনুসের দেওয়া নীতি সবচেয়ে বেশি কার্যকর হয়েছে ,তাই তারা ইউনুসের কোন ক্ষতি সহ্য করে না । এখানে একটু বলে রাখি গ্রামীন ব্যাঙ্ক হতে ইউনুস কে সরানোর পেছনে দুটি শক্তি কাজ করেছে একটি বাংলাদেশের ব্র্যাক ও ভারতের প্রধান মন্ত্রী মনমোহন সিং ( ব্যাক্তি গত ভাবে যিনি ইউনুসের ঘোর বিরোধী ) মুলত ড.ইউনুস কে গ্রামীন ব্যাঙ্ক হতে সরানের পর হাসিনা -আমেরিকা সর্ম্পকের ফাটল ধরে ও সাফ কথা হয় ইউনুসকে তার আগের পথ ফিরিয়ে দাও নাহলে তোমাদের সাথে সকল বানিজ্য ও সহযোগিতা বন্ধ।

এই ফাটল কমাবার জন্য হাসিনা সরকার গোপনে আমেরিকার সাথে চুক্তি করে । এর পরপরই আমেরিকা এই বিষয় নিয়ে কথা বলা বন্ধ করে কারন আমেরিকা চায় তার দেশের প্রতিটি প্রতিষ্টান তাদের ক্ষতি যাতে পুশিয়ে নিতে পারে সেই ব্যবস্থা করা ও কাজ পাইয়ে দেওয়া । সেই চুক্তি অনুযায়ী কনোকো ফিলিপ্স কে এই সরকার গভীর সমুদ্রে তৈল ও গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ দেয় । দুঃখের কথা এই যে আমাদের দেশের আমলাদের কে আমেরিকান রাষ্ট্রদুতরা দামি দামি মোবাইল সেট উপহার দিয়ে অনেক বড় বড় কাজ বাগিয়ে নিয়েছে। হাসিনা সরকার কোনোকো-ফিলিপ্স কে কাজ দিয়ে আমেরিকার আস্থা অর্জন করতে চাচ্ছে ।

আর এই কারনে সরকার ১০ ও ১১ নাম্বার ব্লকের চুক্তি জনস্মমুখে প্রকাশে অপারগ। অতএব আমরা বুঝতে পারি আমেরিকার কাছে সর্ম্পকের চেয়ে স্বার্থ বেশি প্রাধান্য পায় । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।