আসুন আমরা দেখি, তাদের চুক্তিতে কি লেখা আছেঃ
পি এস সি ২০০৮ এর অধীনে যে চুক্তি করা হয়েছে তা এখনো গোপন। তবে মুল দলিলের-
১৫.৫.৪ ধারা অনুসারে বাংলাদেশ যদি সমুদ্রের ১৭৫ মাই ল দুরের গ্যাস ক্ষেত্র পর্যিন্ত প্রয়জনীয় পরিবহন ব্যাবস্থা স্থাপন করে তাহলেই কেবল বাংলাদেশের পক্ষে পেত্রোবাংলা তার অংশের প্রফিত গ্যাস রাখার অধিকার পাবে। তবে তা কন মতেই মোট গ্যাসের ২০% এর বেশী হবেনা। উল্লেখ্য যে, পাইপ লাইন তৈরীতে বাংলাদেশের যে খরচ পড়বে তা কনক-ফিলিপ্স এর ১ম বিনিয়োগের চেয়ে ৩ গুণ বেশি!
১৫.৫.১,১৫.৫.৪,১৫.৫.৫,১৫.৬ ধারায় বর্নীত শর্ত সাপেক্ষে কনট্রাক্তর চুক্তি কৃত এলাকায় যেকন পরিমান মার্কেটেবল গ্যাস বাংলাদেশের সহ এন এল জি বা তরলায়িত করে রফতানির অধিকার পাবে।
১৬ নং ধারায় বলা আছে, পাইপ লাইন নির্মানের অধিকার তাদের থাকবে।
প্রাকৃতিক গ্যাস কেবল্মাত্র নয়, পেট্রলিয়ামের বিষয় টিও আছে। তার মানে তারা ধরে নিচ্ছে একসময় নির্দিষ্ট ব্লকে তেল পাওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে। বাংলাদেশের প্রাপ্য গ্যাস পৌঁছে দেয়ার দায় দায়ত্ব তাদের থাকবে , এমন কোন নিশ্চয়তা নেই।
কঙ্ক ফিলিপ্স দুর্ঘটনার রাজা হিসাবে ইতি মধ্যে কুখ্যাতি অর্জন করেছে । তার কর্তৃত্বের মধ্যে বঙ্গোপসাগর, তার সম্পদ ও প্রান বৈচিত্র এক ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে পড়ল।
মাগুর ছড়া ও টেংরা টিলা অভিগ্যতা থেকে আমরা নিশ্চিত যে, যেভাবে সরকার চেলেছে তাতে ধ্বংস জগ্য হক তার ক্ষতি পূরনের কোন সম্ভাবনা নেই। এই চুক্তিতেও দুর্ঘটনার দায় থেকে কম্পানিকে ছাড় দেয়া হয়েছে।
এই চুক্তির মাধ্যমে বঙ্গোপসাগর এ সিমানা নিয়ে ভারত ও মায়ানমারের দাবী একভাবে মেনে নেয়া হলো। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।