আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরো ৪৪ ; মোট ১০৪

মুক্তমত প্রকাশের প্লাটফর্ম ব্লগ। তাই ব্লগে বসতে ভা্ল লাগে....। দেশত্যাগ করতে পারবেন না এমন নাগরিকের সংখ্যা বাড়িয়েছে সরকার। বর্তমান সরকারের মেয়াদে করা আগের তালিকায় ৬০ জনের নাম থাকলেও এবার তা ১০৪-এ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে তালিকায় মামলার আসামি এবং বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির ক্ষুণ্ণ হতে পারে এমন ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্তির কথা বলা হলেও একাধিক সূত্র জানায়, দশ ক্যাটাগরির নতুন তালিকায় স্থান পাওয়া প্রায় সবাই বিরোধীদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল এক কর্মকতা জানান, গত সপ্তাহে সরকারের করা নতুন তালিকা দেশের সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। সে অনুযায়ী ওইসব ব্যক্তির নাম ও পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে তাদের ক্লিয়ারেন্স ব্লক করা হয়েছে। তালিকা পাওয়ার দিন থেকেই তা কার্যকর করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম টুকু বলেন, “যাদের বিদেশে যেতে দেয়া হবে না বলে তালিকা করা হয়েছে তাদের কাউকেই হয়রানি করার জন্য করা হয়নি। ” সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মেজর জেনারেল অব. রুহুল আলম চৌধুরীকে বিদেশে যেতে দেয়া হয়নি।

গত সপ্তাহে বিদেশ যেতে পারেননি বিএনপি’র মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম। এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম কেন যেতে পারেননি এটা আমার জানা নেই। ” ব্যারিস্টার অসীমের আদালতের অনুমতি ছিল বলা হলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আদালতের আদেশ থাকার পরও যেতে না পারার অভিযোগ নেই। অভিযোগ করা হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। ” সূত্র জানায়, ব্যারিস্টার অসীমের নাম নতুন তালিকায় আছে।

কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি সাবেক প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে বোমা হামলা মামলার আসামি। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “যাদেরকে ওই তালিকায় রাখা হয়েছে তাদের বেশির ভাগই বিভিন্ন মামলায় আসামি। তবে এমন ব্যক্তিও আছেন যাদের আগামী দিনে বিভিন্ন কারণে কোর্টে প্রয়োজন হবে। এছাড়াও তারা দেশের বাইরে গিয়ে নানা ধরনের কাজ করতে পারেন, যার প্রভাব দেশের ওপর পড়তে পারে। ” বিমানবন্দরে প্রটোকলের দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা জানান, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বেশ ক’জন বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক নেতা, সাবেক মন্ত্রী, এমপি, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, যুদ্ধাপরাধীর অপরাধে অভিযুক্ত, একাধিক মামলার আসামি, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, আলোচিত একাধিক মামলার আসামি, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আসামি, ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা ও দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামির নাম রয়েছে।

তবে, তালিকায় স্বামী-স্ত্রীর বিরোধ সংক্রান্ত মামলার আসামি হিসেবে ক্ষমতাসীন শরিক দলের এক নেতার সাবেক স্ত্রীর নাম রয়েছে। আবার আন্তর্জাতিক অপরাধী হিসেবে আছে কয়েকজনের নাম। আগের তালিকার সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী, হারিছ চৌধুরী, নাসিরউদ্দিন পিন্টু, এহসানুল হক মিলন, লুৎফুজ্জামান বাবর, জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযম, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, মীর কাসেম আলীর নামও রয়েছে নতুন তালিকায়। সূত্র জানায়, তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিদের কেউ বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিমানবন্দর কিংবা স্থলবন্দর থেকে তাদের ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে। এছাড়া যারা মামলায় আসামি ও পলাতক রয়েছে তাদের কেউ বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের আটক করবে।

তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের ব্যাপারে কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে সে নির্দেশনা ক্যাটিগরি অনুযায়ী ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়েছে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।