এই আশঙ্কার ভিত্তিতে এরশাদ নিজের অনুপস্থিতিতে ছোট ভাই প্রেসিডিয়াম সদস্য জি এম কাদের এবং মহাসচিব এ বি এম রুহু্ল আমিন হাওলাদারকে দলের মুখপাত্রের দায়িত্ব দিয়েছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এরশাদের স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, “জাতীয় পার্টির সকল নেতাকর্মী এবং আমার বিশ্বাস দেশবাসীও অবগত আছেন যে আমি বর্তমানে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে অন্তরীণ অবস্থায় আছি। আমি আরো আশঙ্কা করছি যে, আমাকে যে কোনো মুহূর্তে দেশত্যাগ করতে বাধ্য করা হতে পারে। ”
এ বিষয়ে জানতে জি এম কাদেরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার একান্ত সচিব আব্দুল হান্নান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চিঠির কপি ইতোমধ্যে জি এম কাদের ও এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের কাছে পৌঁছেছে। ওই চিঠিটির ওপর ভিত্তি করেই আজ তিনি(জি এম কাদের) সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
”
বনানীতে নিজের বাসায় ওই সংবাদ সম্মেলনে কাদের বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে পার্টির অনেকেই নিজেদের মুখপাত্র দাবি করে কথা বললেও তারা দলীয় প্রধানের প্রতিনিধি নন।
“আমাদের দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। যেহেতু তিনি সরাসরি কথা বলতে পারছেন না, তার নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় পার্টির মুখপাত্র হিসেবে আমি এবং পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ছাড়া আর কারো বক্তব্য গ্রহণযোগ্য হবে না। ”
নির্বাচনের বিষয়ে এরশাদ এখনো তার সিদ্ধান্তে অটল বলেও জানান জিএম কাদের।
জাতীয় পার্টির ছয় জনকে মন্ত্রী করে ‘সর্বদলীয়’ সরকার গঠনের পর গত ১৭ নভেম্বর নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ।
এরপর প্রার্থী বাছাই ও মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়।
গত ৩ ডিসেম্বর সকালে আকস্মিক এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাবে না বলে ঘোষণা দেন তিনি। সে সময় এরশাদ দলীয় মন্ত্রীদের পদত্যাগ ও প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।
গত ১২ ডিসেম্বর গভীর রাতে র্যাবের পাহারায় এরশাদকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।