বুধবার বিকেলে ঠিক হলো আমরা চারজন বৃহস্পতিবার রাত্রে সেন্ট মার্টিনের পথে রওনা হচ্ছি। আমাদের এক বন্ধুর posting এখন সেন্ট মার্টিন। আমাদের কাজ হচ্ছে টেকনাফ পর্যন্ত যাওয়া। তারপর ও সব ব্যবস্থা করে রাখবে। আমাদের শান্তনু সন্ধ্যায় গিয়ে চারজনের টিকেট কেটে ফেললো।
বাস হচ্ছে রাত সাড়ে আটটায়। বৃহস্পতিবার অফিস থেকে বের হয়ে আমি গেলাম গুলশান ২ এ। সালমানকে নিয়ে একবারে আরামবাগের কাউন্টারে যাব। ভাইজান যথারীতি late তিনি আসলেন ৭টার পরে। এরপর আমরা CNG খুঁজা শুরু করলাম।
ড্রাইভার ভাইরা কেউ আরামবাগ যেতে চান না। এইদিকে মনে হচ্ছে বাস miss করবো। শান্তনুকে ফোন করে বললাম টিকেট ফেরত দিয়ে ১০টার বাসের টিকেট কাটতে। ১০টার বাসের টিকেট নাকি নাই।
আর উপায় নাই।
এক CNG ওয়ালারে অনেকক্ষন বুঝানোর পর সে যেতে রাজি হলো।
আরামবাগ গিয়ে শুনি আমরা তিনজন যাচ্ছি। একজন কমে গেলো।
বাস সায়দাবাদ থেকে ছাড়লো ৯টায়। আমাদের জানানো হলো সকাল ৯টায় টেকনাফ পৌঁছে যাবো।
আমরা টেকনাফ নামলাম সাড়ে ১১টায়।
রাস্তায়....
নেমে সালমান মিলনকে ফোন করলো। আমাদের যাওয়ার রাস্তা ঠিক করে ফেললাম। প্রথমে CNG তে শাহপরী দ্বীপে যাব। সেখান থেকে নৌকায় সেন্ট মার্টিন।
চিন্তার কোন কারন নাই। সাগর নাকি এখন অনেক ঠাণ্ডা !!
শাহপরীর পথে....
পরে মিলনের কাছ থেকে শুনছি ও সালমানকে বলছে সাগরের খুবই উত্তাল। নৌকায় আসা যাবে। তবে কিছুটা বিপদজনক। বেশি ঝুঁকি না নিতে।
আমরা টেকনাফ গেছি ১৭ই জুন। তখন বিপদসঙ্কেত ছিল।
আমরা শাহপরী দ্বীপে গেলাম সাড়ে ১২টার দিকে। গিয়ে দেখি কোন ট্রলার নাই। মিলন কে জানানো হলো।
ও আমাদের কইলো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে। একটা ট্রলার নাকি আসবে।
শাহপরীর জেটি
শাহপরীর জেটি
নৌকার জন্যে অপেক্ষা
আবার শুরু হলো বৃষ্টি
আমরা ট্রলারে উঠলাম ৩টার দিকে। তখন আকাশের অবস্থা খারাপ। নাফ নদীতে অনেক ঢেউ।
ট্রলারের মাঝি কইলো এখানে ট্রলার ডুবে না। ভয়ের কিছু নাই। শুনে খুবই পুলকিত হইলাম।
রওনা হওয়ার সময়
রওনা হওয়ার সময়
এই নৌকায় যাবো
আমরা সেন্ট মার্টিনে নামলাম ৫টার দিকে। মিলন জেটিতেই ছিল।
আসার সময় কয়েকবার নৌকাটা.....সত্যি বলতে নৌকাটা যে কেন ডুবলো না সেটাই আমার কাছে খুব অবাক লাগছে।
মোটামুটি সারাদিনই বৃষ্টি ছিলো। তাই রাত্রে আর সেইভাবে বের হওয়া হইনাই।
আমাদের রুম থেকে
পরেরদিন সকালবেলা রওনা দিলাম ছেড়াদ্বীপের দিকে।
সমুদ্র সৈকত
পথে একটা কটেজ দেখলাম।
কটেজটার দুইদিকে বীচ।
পিছনের বীচ
পিছনের বীচ
পিছনের বীচ
ছেড়াদ্বীপের পথে
ছেড়াদ্বীপের পথে
ছেড়াদ্বীপের পথে
ছেড়াদ্বীপের পথে
ছেড়াদ্বীপের পথে
ওই দেখা যায় ছেড়াদ্বীপ
চাচার পিছু নিলাম
ছেড়াদ্বীপে কাছাকাছি গিয়ে দেখি পানি আছে এখনো। এক জেলে চাচার পিছে পিছে চলা শুরু করলাম। পানি ভালই ছিলো। আমার প্রায় কাধ সমান পানি ছিলো।
এরমাঝে আবার বৃষ্টি শুরু হলো। বৃষ্টির জন্য ছবি তুলতে পারলাম না
আসার সময় বীচ ধরে হেঁটে এলাম। সেন্ট মার্টিনে শুধু আমরা তিনজনই ঘুরতে আসছি। পুরা বীচ খালি। বীচ এর সাথের কটেজগুলিও দেখে আসলাম।
সব খালি পরে আছে।
আমরা
সবাই সেন্ট মার্টিনে গিয়ে দেখে নীল আকাশ...নীল সমুদ্র। আমরা পেয়েছি ঝড়ো হাওয়া....প্রচণ্ড বৃষ্টি....কালো আকাশ....উত্তাল সমুদ্র
পূর্নিমা রাত্রে বীচে বসে আড্ডা মারা হয়নাই। তবে আলাদা রকম একটা অভিজ্ঞতা হলো। ভয়ঙ্কর সুন্দর কিছু সময়....
এবার ফেরার পালা।
আবার সেই ট্রলারে সাগর পাড়ি দিতে মন চাচ্ছিল না।
কিছু করার ও ছিলোনা। আমাদের সব ছবি মিলন কে দিয়ে গেলাম। ডুবে মারা গেলে যাতে পরিবারের কাছে দিতে পারে।
এক সময় আমাদের ট্রলারযাত্রা শেষ হলো।
কক্স বাজার
কক্স বাজার
কক্স বাজার
টেকনাফ থেকে কক্সবাজার গিয়ে কিছু সময় কাটালাম। আর রাত্রের বাসে ঢাকা....
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।