আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাহস থাকলে এবার আ্ওয়ামী লীগ বিএনপির বাইরে ভোটটা দিন।

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই! খুঁতখুঁত করা কাজ পাগল মানুষ অন্য মানুষের কাজে ভুল ধরবেই। কারন সে মনে করে সে যদি এতো কষ্ট করে কাজটা শিখেছে, যার পিছনে এতটা ত্যাগ, সে পারলে অন্যরা পারবে না কেন। সে ভুল ধরবেই, তার সে অধিকার আছে। এ এলাকায় এমন একজন লোক আছে যে এখন বিশাল প্রতিপত্তির মালিক।

তিন চারটা রেস্টুরেন্ট তিনচারটা শহরে। তার রেস্টুরেন্টের নাম এই দেশের যদু মদু থেকে শুরু আইডলেরাও মুখে নেয়। সে লোক একবার দুঃখ করতে গিয়ে বলেছিলো," মানুষরে সাহায্য কইরা কি হইবো? যারে সাহায্য করি সেই বাঁশ দেয়। " তখন তার ওখানে কাজ করা একজন বলেছিলো," সাহায্য নিয়ে মানুষ যে আসে এই যোগ্যতাই বা কয়জন অর্জন করে?" আমরা সবাই মনে করি আমাদের অনেক যোগ্যতা। নিজেকে কৃতি ফুটবল খেলোয়াড় সামাদের মতো মনে করে নিজেরি অজান্তে।

সে বলের জন্য ছুটবে না। মিডফিল্ড বা যেখানেই থাকুক, তার পায়ে বল আসতে হবে। বল আসলেই দে টান। তার টান শেষ হয় বলটা গোলপোস্টে ঢুকিয়ে। জীবনে সে একবার গোলটা মিস করেছিলেন ঢাকা স্টেডিয়ামের মাঠে।

তখন সে রেফারীকে ডেকে খেলা থামিয়ে বলেছিলেন গোল বার ছোট, তাই বল বারে লেগে ফিরে এসেছে। আশ্চর্য্যের ব্যাপার হলো গোল পোস্ট মেপে গোলপোস্ট সত্যি ছোট পাওয়া গেলো। একটা ইনফোরমেশন দেই: স্বাধীনতা পরবর্তী ভাঙ্গা চুড়া সময়ে অনেক দেশ বাংলাদেশকে সাহায্য করেছিলো। তো ৭৬ বা ৭৭ এর দিকে কি না জানি না তখন ফিনল্যান্ডের জাতীয় দল আসলো বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল টিমের সাথে ফুটবল খেলতে। আশ্চর্য্যজনক ব্যাপার হলো ৩ -০ গোলে ফিনল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় যার মধ্যে মোহামেডানের কায়সার হামিদের গোলও ছিলো।

(ইনফো তে হয়তো কিছু ভুল থাকতে পারে তবে এটা শিওর ফিনল্যান্ডকে আমরা হারিয়েছিলাম। ) বর্তমান সময়: সময় কখনো খারাপ হয় না। সে চলতে থাকে খুটিনাটি হিসেব মাথায় রেখে, কখনো আস্তে বা দ্রুত চলার প্রশ্নই ওঠে না কাউকে তোয়াজও করে না। সমস্যা হলো পরিস্হিতি খারাপ হয়। বাংলাদেশের কলংক জামাত শিবির তথা রাজাকরদের নিয়ে কঠিন রাজনীতি দেখতে দেখতে যখন মানুষ ক্লান্ত ঠিক তেমনি সময়ে ৩৫০ খুনের অপরাধ প্রমান হওয়া সত্বেও কাদের মোল্লাকে মাত্র যাবজ্জীবন দেয়া হয় তখন মানুষের চোখ খুলে যায়।

এর পরের শাহবাগ তথা পুরো দেশে কি হলো না হলো সবার জানা। লীগ ইতিমধ্যে বলেছে জামাত শিবির নিষিদ্ধ করা তাদের ম্যান্ডেটে পড়ে না। হিজবুত তাহরীর বা লস্কর-ই-তৈয়বকে নিষিদ্ধ করবার জন্য খুব একটা বোমা ফাটাতে হয়নি। অথবা জেএমবিকে নিষিদ্ধ করবার জন্য ৫০০ টা পোটকা আর খুব বেশী হলে ৩০ জন্য মানুষকে হত্যার দায় নিতে হয়েছে। কিন্তু গত এক মাস শাহবাগীদের হাতে ০ টা মানুষ মারা গেলেও জামাত শিবিরের হাতে কতগুলো মানুষ মারা গেলো, কত গুলো বোমা ফাটানো হলো অথবা কতগুলো সরকারী অফিস পোড়ানো হলো সেটা কেউ মিলিয়ে দেখতে চাচ্ছেন না।

লীগ কখনোই তাদেরকে নিষিদ্ধ করবে না। করবেই বা কেন? মাইয়াবাজী, সন্ত্রাসী, দুর্নীতির সাথে হাসিনার পুত্র জয় থেকে শুরু করে ছাত্রলীগের পাতিনেতা সরাসরি জড়িত। দেশের টাকা মেরে খাবার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রের ন গ্ন ব্যাব হার করছেন খোদ মন্ত্রী এমপিরা। ডাইনী হাসিনা এর মদদ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে আছেই। দেশের টাকা ইন্ডিয়ায় পাচার করার জন্য সর্বশেষ অস্ত্রটি হলো পাওয়াপ্লান্ট নির্মান করে লাভের টাকা বিনা ট্যাক্সে নিয়ে যাবে।

ট্যাক্স হলিডে উঠে গেছে বছর ৭ আগে, কিন্তু হাসিনা যে কতটাকার বিনিময়ে এই গলার ফাঁস জন গনকে উপ হার দিচ্ছে সেটা নিয়ে লীগের চামচাদের কোনো রা নেই। কারন তারা সকলে ধর্ষন করে ভিডিও ছাড়তে মত্ত অথবা মত্ত চাঁদাবাজীতে। এই সুযোগে জামাত শিবির সরকার হঠাও আন্দোলন শুরু করেছে মিডল ঈস্টের পতিতা খালেদা জিয়াকে নিয়ে। তাহলে দেখা যাচ্ছে আমাদের নীর্তি নির্ধারক এখন যারা আছেন তারা ধর্ষক, পতিতা, চোর, বাটপারের আশ্রয় প্রশ্রয় দাতা, সন্ত্রাসী খুনীরা। এরকম কি আগেও ছিলো? এমন না যে বাংলাদেশ আগে খুব ভালো ছিলো।

বঙ্গবন্ধু নামের এক নেতা ছিলেন। ব্যাক্তিগত ভাবে আমি এই লোকটাকে খুবই ঘৃনা করি এবং এটা আমার একান্তই ব্যাক্তিগত মতামত। দেশ স্বাধীন করার মতো একটা অসম্ভব কাজ করলেন, আমাদেরকে উপ হার দিলেন স্বাধীনতা। যেই স্বাধীনতা পেতে আমাদেরকে প্রায় ৪০০ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিলো। অনেক স্বপ্ন ছিলো তখন, কিন্তু চুরি বাটপারী আর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড তখন থেকেই শুরু হলো।

এমন না যে আমাদের বিশাল নেতা জানতেন না। তিনি জানতেন কিন্তু তার মতো এতো বড় নেতা দেশের এসব ছুচো গরীব মরা নিয়ে ভাবে না। তাই না ভাবতে ভাবতে একসময় বাকশাল, রক্ষিবাহিনী, দুর্ভিক্ষ উপ হার দিলেন। দেশের জনসংখ্যা তখন অর্ধেক ছিলো তবু লবন খেতে হয়েছিলো ৮০ টাকার উপরে (আমু সাহেব কি এখনো বেচে আছেন, চোরটা মরে না কেন?)। যাই হোক, উনাকে হত্যা করা হলো।

এরপর আসলেন খাল কাটা জিয়া। কাজকর্ম বঙ্গবন্ধুর থেকে ভালো থাকলেও বিচার ব্যাবস্হা এমন করেছিলো যে আসামী রাফাত হোসেনের নামের সাথে কারো নাম রাফাত মিলেছে, তো কি সমস্যা? তাকে ধরে বেধে কোর্ট মার্শাল। এরকম করে কতজন লোক মারা গেলো আল্লাহ মালুম। রাজাকারদের পাকিস্তানী পাসপোর্ট হলেও দেশে নিয়ে আসলেন পুনর্বাসন করলেন এমনকি এ যুগের ডাইনী হাসিনাকেও আনলেন। নিজের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য এই মিচকা শয়তান অনেককে হত্যা করলেন, রাজাকারদের জন্য শক্ত অবস্হান করলেন।

সমস্যা হলো তখনও মানুষের বিবেকবুদ্ধি ছিলো, আর্মিতে কিছু মানুষ ছিলো যারা চায়নি এই হাইওয়ানকে বাড়তে দিতো। অবশেষে তাকেও হত্যা করা হলো। এরপর আসলেন প্লেবয় আলহাজ্ব এরশাদ। ৯ বছর থেকে দেশের যা উন্নতি করলেন তার চেয়ে বেশী মাইয়াবাজী আর টাকা নিজের নামে সাঙ্গপাঙ্গদের খাইয়ে দেবার ব্যাবস্হা করলেন। সংসদ ভবনকে একটা ফার্নিচার বানিয়ে নিজেই হয়ে গেলেন রক্ষা কর্তা।

এলাকার মদখোর, মাইয়াবাজ লোকজন হলো নেতা। সেও বেশীদিন টিকলো না, তারে পল্টি মারলো তারই পা চাটা কুত্তা মওদুদ। পরে আফসোস করে বললেন, মওদুদ কুকুর নয়, শিয়াল। কুকুর কখনোই নিমক হারামী করে না। এরপর গনতন্ত্রের পথ ধরে আসলেন পাকিস্তানী এজেন্ট খালেদা জিয়া, এসেই তার পোষা রাজনৈতিক রক্ষিতা গোলাম আজমকে নাগরিকত্ব দিয়ে দিলেন কত আকাম করলেন, ১৬ দিনের জন্য সরকার গঠন করে আবারও ক্ষমতা ছাড়লেন।

তারপর আবার ডাইনী হাসিনা দেশ লুটটে আসলেন। এরকম পুরা লুটের উপরই আছি। আর জন গনও বেহায়া হইয়া এইসব চোর বাটপার রক্ষিতাদেরকে ভোট দেয়। তাইলে কারে ভোট দিবো? উপরে আমি আগেই বলেছিলাম আমরা সবাই নিজেরে মেধার ডিব্বা মনে করি। সবাই মনে করি আমার যুক্তি ভাংতে পারে এমন আছে নি কোনো আদম? ব্যাস আর যায় কই! বল ঘরে আসবে সেই বল আসলেই আমি গোল পোস্টে দিবো।

ইউনুস, সায়ীদের মতো লোকদের গালাগালি করি কিন্তু নিজে একবার ভেবে দেখি না কি করছি? এই যে জীবনে এতগুলো ভোট গেলো সেখানে কি করেছি? আসুন নিজেকে প্রশ্ন করি কিছু যেখানেই আছে সমাধান: ১) জীবনে অন্তত একবার তো ভোট দিয়েছি। তো ব্যালট পেপারটা দেখে যখন মার্কা বা লোকের নাম দেখেছি তখন কি একটা ভালো মানুষও চোখে পড়েনি? যদি চোখে পড়ে তাহলে তাকে কেন ভোট দেই নি? অথবা সবাই যদি খারাপ হয় তাহলে না ভোট কেন দেই নি? যে কেন্দ্রে না ভোট বেশী পড়তো সে কেন্দ্রে নিশ্চয়ই তফসীল আবারও ঘোষনা করতো। নিশ্চয়ই তখন ভালো লোকগুলো এগিয়ে আসতো স্বতন্ত্রতে, সেটা করবারও তো সুযোগ দেই নি, কিন্তু কেন? ২) যাদের যোগ্যতা আছে সৎভাবে রাজনীতি করার, তাহলে তাদেরকেই প্রত্যেক এলাকা থেকে উদ্বুধ্ব করছি না কেন? তাকে নিয়ে জনমতই বা কেন গড়ে তুলছি না? জনমত গড়ে তুললে কি মানুষ কি পেটাবে? ভোটের জন্য যত সার্কুলেশন তার জন্য কি খুব টাকার দরকার? আমার তো মনে হয় টাকা নিয়ে খুব বেশী চিন্তা করতে হবে। কারন ভালো মানুষ যাকে সবাই সমীহ করে সে যদি ভোটে দাড়া্য তখন তো সবাই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই তার পিছনে টাকা ঢালবার কথা, তাই না? ৩) ৫ টা বছর এলাকায় কে কে কু কর্ম করলো কোন নেতা কিভাবে এলাকাটাকে নষ্ট করলো সেটাতো জানার কথা। তাহলে তাকে ছুড়ে ফেলবার জন্য ৫ টা বছর অপেক্ষাই বা কেন করতে হবে? ৪) আমি নিজেকেই বা কেনো এই কাতারে নিয়ে আসছি না? হ্যা, আপনি যদি সৎ হন, আপনার যদি সেরকম বদনাম বা স্ক্যান্ডাল না থাকে তাহলে আমি কেন অসামাজিক ভাবে জীবন যাপন করছেন? সমাজের জন্য নিজে উদ্যোগী হলে তো মানুষ আপনাকে অবশ্যই চেনবে, তাই না? আসলে এটা আমার আরেকটা অনর্থক কথা ব্লগ।

আমার ওয়াইফকে ফোন দিলাম। খুব আপসেট সবকিছু নিয়ে। তাকে বোঝাতে পারলাম না ধৈর্য্য ধরো, আমি আছি। সে কিছুই শুনছে না, ফোনটাও ধরছে না। খুব আপসোস হয়, যদি আমি সত্যি সেরকম মানুষ হতাম, আমার যদি সত্যি সে যোগ্যতা থাকতো, আমি দাড়িয়ে যেতাম জন্জ্ঞাল শুদ্ধের জন্য।

পড়ালেখা ক্যারিয়ারের গুষ্টি কিলাই, দেশের জন্য জীবন দেয়াটার চেয়ে বড় নেকী আর কি হতে পারে? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।