আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হঠাৎ ব্রেক

আমি আমার দেশকে ভালবাসি। দেশের জন্য কাজ করতে চাই। লিখতে চাই মানুষ ও মানবতার জন্য। সানি ও রাশেদ দুই বন্ধু। রিক্সায় ভার্সিটিতে যাচ্ছে।

আজ ওদের পরীক্ষা আছে। ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা, তাই পড়া যেন শেষই হচ্ছে না। সারা বছর পড়ার টেবিলে খুঁজে পাওয়া না গেলেও পরীক্ষার সময় ওরা দুনিয়ার সব চিন্তা দূরে ঠেলে বই আর নোটকে কাছে নিয়ে আসে। রিক্সায় যাচ্ছে আর গভীর মনোযোগের সাথে নোট দেখছে দু’বন্ধু। রিক্সাওয়ালা আপন ধ্যানে রিক্সা চালাচ্ছেন।

হঠাৎ রিক্সার সামনে দিয়ে একদল তরুণ দ্রুতবেগে চলে গেল। রিক্সাওয়ালা হঠাৎ ব্রেক কশলেন। তখনই পিছন থেকে একটি ট্যাক্সি গ্রচন্ড বেগে ধাক্কা দিল রিক্সাটিকে । সানি ও রাশেদ পরে গেল রিক্সা থেকে। নিজেদেরকে সামলে নিয়ে ক্রুদ্ধভাবে ছুটে গিয়ে ট্যাক্সি ড্রাইভারকে টেনে হিচড়ে বের করে আনল।

আসে পাশের তরুনরাও ছুটে আসল। সবাই মিলে মারছে টেক্সি ড্রাইভারকে। হেলাল সাহেব ওই পথ ধরে যাচ্ছিলেন। ছুটে এলেন তরুনদের থমাতে। সানি ড্রাইভারকে রাস্তায় ফেলে বুকের উপর পারা দিয়ে ক্রুদ্ধকন্ঠে বলল- “হারামজাদা দেইখা গাড়ী চালাইতে পারস না?” “আপনার মত একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র যদি রাস্তায় এভাবে একজন মানুষ মেরে ফেলে তাহলে কেমন দেখায় ভাই?” সানিকে থামাতে গিয়ে হাত ধরে বলল হেলাল সাহেব।

“যা আজকের মত ছাইরা দিলাম ভবিষ্যতে যদি ভাসির্টি এলাকায় দেখি তইলে তোর খবর আছে। ” সানি রাগন্বিত ভাবে বলল। ছাত্ররা সবাই যে যার মত চলে গেল। হেলাল সহেব ড্রাইভারের রক্ত পরিস্কার করে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। ড্রাইভার অশ্্রুভেজা চোখে চলে গেল।

সানি ও রাশেদ একটি চায়ের দোকানে দাড়িয়ে পানি খাচ্ছেন। হেলাল সাহেব গিয়ে পিছনে দাড়ালেন। “ভাই পানি টা বসে খান। ” হেলাল সাহেব হাসি মুখে বললেন। জিন্সের প্যান্ট, সট পাঞ্জাবী, ও মথায় টুপি পরা হেলল সহেবের পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখছে দুই বন্ধু।

“আপনে হুজুর মানুষ এইডা ছারা কি কইবেন। ” রাশেদ অবজ্ঞার সুরে বলল। “হুজুর মানুষ বলে না, বিজ্ঞান বলে দাড়িয়ে পানি খেলে, প্রশাব করলে লিভার কিডনি সহ অনেক সমস্যা হয়। ”হেলাল সাহেব বললেন। “ড্রইভারের সাথে আমার অমন ব্যাবহার করা ঠিক হয়নি।

কি করব বলেন হঠাৎ মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। ” সানি বলল। “আসলে ওটা একটা এক্সিডেন্ট ছিল। আপনি আপনার ভুল বঝতে পেরেছেন এটাই বড় কথা”হেলাল সাহেব হাসি মুখে বললেন। “আচ্ছা ভাইয়া আসি।

আমাদের পরীক্ষার সময় হয়ে গেছে। অন্য একসময় আসবেন, চায়ের দাওয়াত থাকল। তখন গল্প করব। ” বলে হ্যান্ডশেক করে চলেগেল রাশেদ ও সানি। হেলাল সাহেব চা খেতে খেতে অন্য তরুনদের সাথে গল্পে মেতে উঠলেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।