মাতৃগর্ভে শিশুর প্রথম পদাঘাত মাতৃত্বের প্রথম স্বাদ প্রতিদিন ৪০০ অবিবাহিতা মেয়ের গর্ভপাত ! প্রকৃত সংখ্যা হয়ত এর চেয়ে অনেক বেশি হবে। ইন্ডিয়ার হিন্দুস্তান টাইমসে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, কুমারী মেয়েরা গর্ভপাতের বিষয়ে এখন আর কোন লজ্জা বোধ করে না। এটা আজকাল অনেকটা স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। তবে ৫ বছর আগেও ইন্ডিয়াতে কুমারীদের লাইফে এ ধরনের ঘটনাকে দুর্ঘটনা মনে করা হতো এবং মেয়েরা অপরাধ ও লজ্জা বোধ করত। কিন্তু ইদানিং অবিবাহিত অবস্থায় গর্ভে সন্তান ধারনের বিষয়টি তারা অনায়াসে মাতা-পিতার সাথে শেয়ার করতে কোন দ্বিধা বা লজ্জা বোধ করছে না।
খবরটি বাংলাদেশের কিছু পত্রিকাতেও প্রকাশিত হয়েছে।
আবিবাহিতা অবস্থায় নিলর্জভাবে গর্ভে সন্তান ধারনের ঘটনাটি অনেকটা স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে রূপ নিতে যাচ্ছে। এমন সামাজিক অবস্থার মূল কারণ ধরতে গেলে ইন্ডিয়ান সংস্কৃতি। আমার তো মনে হয়, ইন্ডিয়ান কালচার বা সংস্কৃতি গোটা পৃথিবীতে মহা ক্ষমতাধর শয়তান হিসেবে আর্বিভূত হয়েছে। এ শয়তান অভাবনীয় মজেজার অধিকারী।
মতে হচ্ছে গোটা পৃথিবীর অন্তঃত অর্ধেক মানুষকে জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার একটা প্রোজেক্ট হাতে নিয়ে ইন্ডিয়া কাজ শুরু করেছে। কেউ তাদের নাচ-গান বা অন্য কোন রিয়ালিটি শো দেখা মাত্রই শয়তানের প্রোলভনে কূপকাত হয়ে পড়ে। আর যদি রিয়ালিটি শো ও সিরিয়ালগুলো নিয়মিত দেখে, তবে বুঝতেই পারছেন কুমারী অবস্থায় গর্ভধারনও নিজের অধিকার ও আধুনিকতার দাবি বলে প্রতিয়মান হবে। ওদের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো অন করার সাথে সাথে চোখে পড়ে এমন সব কান্ড ও চিত্র যেখানে নারী মানেই নেংটা হয়ে থাকতে হবে। মনে হয় ওদের লোকসভায় এমন কোন আইন পাশ করেছে যেখানে বলা হয়েছে, কোন নারী দুই ইঞ্চির অধিক কাপড় পরিধান করে টিভি চ্যানেলগুলোতে আসতে পারবে না।
তবে পুরুষেরা শাট-প্যান্ট, স্যুট-কোট পড়তে কোন বাধা নেই। ওদের সংস্কৃতি মানেই যেন নেংটি নাচন। চ্যানেলগুলো দেখলেই যেন মনে হয় সেই নেংটি নাচন সংস্কৃতি ছাড়া পৃথিবীতে যেন আর মানুষের কোন কর্মই নেই।
এতো মজার সংস্কৃতি যা এক ডোজ পান করলে মদ বা হিরোইনের মতো নেশার সৃষ্টি করে। আজ অবশ্য বাংলাদেশে সে সব হিরোইন আমদানী করে বাংলার তরুণ-তরুণী ও নারী-পুরুষ সাধারণরকে ওই কালচারে অভ্যস্ত করার চেষ্টা চলছে।
সেজন্য ইন্ডিয়ান ওই অপসংস্কৃতির মহানাকয়-নায়িকাদের ডেকে এনে প্রায়ই বাংলাদেশের তরুণ তরুণীদের ট্রেনিং দেয়ার প্রয়াস নেয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের কিছু কিছু চ্যানেলে ইন্ডিয়ান চ্যানেলের সিরিয়ালগুলোর ছোঁয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পরিবারের মধ্যে শুধু ঝগড়া-চক্রান্ত-অনাকাঙ্খিত গর্ভধারন ইত্যাদি ইত্যাদি কাহিনীর সিরিয়াল শুরু হয়ে গেছে বাংলাদেশে। মনে হচ্ছে ইন্ডিয়ান চ্যানেলগুলো বাংলাদেশে বাচ্চা প্রসব করেছে। ওই বাচ্চা আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে।
সংস্কৃতির নামে এ ধরনের অপসংস্কৃতি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে না পারলে, নিজেদের সন্তানদের রক্ষা করতে না পারলে সামনে আমাদের জন্য এমন একটা পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে-যেখানে পশুর সমাজ আর মানব সমাজের মধ্যে কোন পার্থক্য খুঁজে পাওয়া ভার হয়ে দাঁড়াবে।
আসুন ওই ধরনের নিশাকর সংস্কৃতি থেকে নিজেকে, পরিবারকে ও সমাজকে রক্ষা করতে একটু হলেও চেষ্টা করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।