দুজন বসে কথা বলে_ 'আসলে আমার চেয়ে যার আযু বেশি
সেই অবিনশ্বর; চান মিয়া মরার সময় দেখলাম
পৃথিবীটা রয়ে গেছে। ফলে পৃথিবীর অবিনশ্বরতা
আমাদের সংশয়ে ফেললো। আমরাও তো রয়ে গেলাম
পৃথিবীর মতো। ' চান মিয়ার সাথেই তবু মিলিয়ে নিলো
তারা নিজেদের। হাহাকার হলো খুব নশ্বরতা নিয়ে...
তাদের কথার বাইরে থেকে একটি শিশু হামাগুঁড়ি দিয়ে
হাসতে হাসতে এগিয়ে আসে, থুতনিভরা লালা
চকচক করছে, আমাম আমাম মাম শব্দ জড়িয়ে পাকিয়ে।
একজন হাত বাড়ায়, কোলে উঠে আসে, শিশুর সাথে
দুজনেই হাসে, কথা বলে, নিজেদের কথা তারা
ফেলে রাখে। পুরনো প্রসঙ্গে, আশা করি, শিশুটি
ফিরে গেলেও, তারা আর ফিরে যাবে না। তারও আগে
হয়তো কাজ এসে ডেকে নিয়ে যাবে, ভাবনার হাত থেকে
কিছুটা দূরে-পরিত্রাণময়; নশ্বর সব জিনিসপত্র
বানাতে থাকবে তারা, পুরনো জামাটা, ছিদ্র বালতিটা
গুছিয়ে রাখবে ঘরের কোণে, এসব দিয়ে নতুন কিছু
কেনার কথাও ভাববে। গাছের নিচে তারা কথা বলছিলো
দেখি, সে গাছ নিজের ইচ্ছায় কি অনিচ্ছায় দুতিনটা
পাতা ঝরিয়ে দিলো বোঝা গেলো না। কেবল
একটু মৃদু বাতাসের প্রসঙ্গ ছিলো।
আমিও ভিন্ন প্রসঙ্গের
ভেতর গড়িয়ে যাই, বোঝার আগেই। তাদের নিয়ে ভাবি না।
মনে হলো এ সবুজ গ্রহের কোথাও চারদিক থেকে এসে
মুখচেনা সাধারণ চারজন ফের চারদিকে চলে গেছি
প্রসঙ্গের সৃষ্টি ও বিনাশ করে আরো কোনো প্রসঙ্গের দিকে।
০৯.০৫.২০১১
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।