... ফেব্রুয়ারি’র সেমিস্টার ব্রেকে মক্কা মদীনা গেলাম। মক্কায় নেমে ওমরাহ্ করেই মদীনার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। যাওয়ার পথে বাস মসজিদে কুবায় থামে। ইসলামের প্রথম মসজিদ, ৬২২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে দু’রাকাত নফল নামাজ পড়লে ১ ওমরাহ’র সওয়াব পাওয়া যায়।
আমরা যোহরের নামাজ আর নফল নামাজ পড়ে নেই।
মসজিদে কুবা
মসজিদে নববী। এর পাশেই জান্নাতুল বাকী।
মসজিদে নববীতে হজরত মোহাম্মদ (সাঃ)এর রওজা জিয়ারত ও আসরের নামাজ শেষে আমরা ৫ জন মিলে ৫০ রিয়ালে একটা ট্যাক্সি ভাড়া করি। সে আমাদের কে সবকিছু ঘুরিয়ে দেখাবে।
প্রথমেই আমরা যাই ওহুদ পাহাড়ে। ওহুদের যুদ্ধে হজরত মোহাম্মদ (সাঃ) দু’টি দাঁত হারিয়েছিলেন। কিছু ভুলের কারনে এ যুদ্ধে প্রত্যাশিত সাফল্য আসেনি। সেখানে হজরত হামজা (আঃ) কবর দেখলাম। বাকী সাহাবাদের কবরগুলো সমান করে রাখা হয়েছে।
এখানে অনেক বাংলাদেশিকে দেখলাম ভ্যানে করে খেজুর, তসবি, টুপি, আতর, জায়নামাজ প্রভৃতি বিক্রি করছে।
ওহুদ পাহাড়
হজরত হামজা (আঃ) এর কবর
এরপর গেলাম মসজিদে কেবলাতাঈন। এ মসজিদে নামজ পড়া অবস্থায় হজরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর উপর কেবলা পরিবর্তন করার নির্দেশ আসে। আগে বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে নামাজ পড়া হতো। মসজিদের ভেতরে ঢুকে দেখলাম কেবলা পরিবর্তনের চিহ্ন দেয়া আছে।
মসজিদে কেবলাতাঈন
বর্তমান কেবলা
আগের কেবলা (বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে)
সময় শেষ হয়ে আসছিল। বিকেলেই মক্কা'য় রওনা দিতে হবে। সাবহা মসজিদ দেখতে গেলাম। ৭ টি (আসলে ৬ টি) ছোট ছোট মসজিদ, একেক মসজিদে একসাথে ৪/৫ জন নামাজ পড়তে পারবে। এখন অবশ্য মসজিদগুলো বন্ধ করে দিয়ে বড় একটি মসজিদ করা হয়েছে।
আগের সময়ে পাহাড়ের চুড়াগুলোতে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়, তখন সেই চূড়াগুলোতেই ছোট মসজিদগুলো হয়ে যায়।
বর্তমান সাবহা মসজিদ
আগের সাবহা মসজিদ (এরকম আরো আছে)
সাবহা মসজিদের ইতিহাস
মদীনায় অনেক কিছুই দেখার আছে। অল্প সময়ে সব দেখা সম্ভব নয়। ইসলামের স্মৃতিবিজরিত এ শহরটিকে বলা হয় শান্তির শহর।
বিকেল ৫টায় আমরা মক্কার দিকে রওনা দিলাম।
(শেষ)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।