প্র্যাকটিক্যাল ক্লাশে, শ্রদ্ধেয় স্যার পুরা এক ঘন্টা লেকচার দিলেন, আমরা মনোযোগ-অমনোযোগ সব সহকারে শুনলাম। তারপর প্র্যাকটিকাল করব, যন্ত্রপাতি দরকার, ডেমোনস্ট্রেটের কাছে গেলাম। কিন্তু সেখানে গিয়ে আমরা হতাশ, তিনি নাকি চাবি আনতে ভুলে গেছেন। তিনি আবার চাবি আনতে গেলেন, আর এই সুযোগে স্যার ভাইভা নেওয়া শুরু করলেন। আমাকে ভাইভাতে যা প্রশ্ন করেন, প্রথম উ্ত্তর দেওয়ার পর বলি, আমি ঠিক বলতে পারছিনা স্যার।
কারণ ঠিক মত উত্তর দিতে লাগলে, স্যাররা সহজে ছাড়েন না।
প্রায় আধ ঘন্টা পর ডেমোনস্ট্রেট সাহেব চাবি নিয়া আসলেন। যন্ত্রপাতি কালেক্ট করলাম। এখন প্র্যাকটিকাল করব। ৪টা প্র্যাকটিকাল করতে হবে।
প্র্যাকটিকাল গুলো খুব সহজ ছিল। মোটামুটি খুব বেশি হলে ৪০ মিনিটের মত লাগবে। আমরা ৪ গ্রুপে বিভক্ত। তাই ভাবলাম ১৫ মিনিটের বেশি লাগবেনা। কোন রকমে কপি-পেস্ট মাইরা, স্যারের সিগনেচার নিয়া চলে যাব।
সেই ভাবনা তো মনেই রইল। সময় লাগল দেড় ঘন্টা।
গ্রুপে ছিল এক সুন্দরী। ডেমোনস্ট্রেট সাহেব তার হাতে সব যন্ত্রপাতি দিয়ে গেছেন। যে বেশি ভাল বুঝে তারে দিলাম প্র্যাকটিকাল করতে।
তারা দুজন মিলে যে গবেষণা শুরু করছে, তাতে একটা মান নিতে লাগল ১০ মিনিটের মত। আমরা বললাম, “পরের গুলো কাছাকাছি একই মান বসিয়ে দেই। ”
সুন্দরী তো আর শুনলোনা, সে ৫টা মানই গবেষনা করে নিল। আমরাও ধৈর্য্য সহকারে মানগুলো নিলাম। সুন্দরীর সহকারীর গবেষক (মানে আমাদের সহপাঠিকে) বললাম, “অন্য গ্রুপের মান গুলো নিয়া আসো, আমরা কাছাকাছি মান নিয়ে, সিগনেচার নিয়ে চলে যায়।
”
কিন্তু ভাইরে ভাই, সহকারী গবেষক(আমাদের সহপাঠি) আর সুন্দরী তো কিছুই বুঝে না, সহকারী গবেষক মনে হয় কোনদিন মেয়েদের সাথে কথা বলেনি। আর তারা এমন ভাব নিয়া গবেষণা করছে, মনে হয় তারা খুবই ট্যালেন্ট আর আমরা…………….। যাইহোক তারা গবেষণা করে মান নিতে লাগল। আমরা তাদের উপর চরম বিরক্ত হয়ে গেলাম। মনে হচ্ছে কানের ২ ইঞ্ছি নিচে ২জনরে মাইর দেই।
কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও আমরা কিছু বলতে পারলাম না।
এভাবে ৩টা প্র্যাকটিকাল শেষ হল। চতুর্থটার সময়, আমরা বললাম, “তোমরা তো ৩টা করলা, এবার আমরা একটা করি। স্যার যদি প্রশ্ন করে, তাহলে সমস্যায় পড়ব। ”
ব্যস ৪র্থটা আমরা করলাম।
কোন ঝামেলা না, অন্য গ্রুপের মান নিয়ে এসে, কাছাকাছি কিছু মান খাতায় বসিয়ে বললাম, প্র্যাকটিকাল শেষ।
মেয়ে তো আশ্চর্য্যি, এত তাড়াতাড়ি প্র্যাকটিকাল কেমনে শেষ হয়? পরে যখন তাকে কপি-পেস্ট স্বমন্ধে বলা হল, তখন সে বলল, “আগে এই কাজটা করলে তো ভাল হত। ইস কত সময় লাগল। ”
সুন্দরীকে আর কিছু বললাম না। আর বলে লাভও হত না।
কারণ মেয়েরা বুঝে তো বুঝে, একটু দেরীতেই বুঝে। আর যখন বুঝে একটু বেশিই বুঝে।
গ্রুপে সুন্দরী মেয়ে থাকলে তো ভালই লাগে, ফিলিংসটাই আলাদা হয়ে যায়। কে না চায় গ্রুপে সুন্দরী থাকুক, তাকে লক্ষ্য করুক, তাকে নিয়ে ইতিবাচক ভাবনা ভাবুক, তার প্রশংসা করুক।
তবে এই রকম সুন্দরী, পুরা পেইন, যারা একটু বেশি বুঝে।
পরে মনে মনে ভাবলাম এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম যে, একটা গ্রুপে সহজভাবে কাজ করতে হলে, ১) অতি ট্যালেন্টদের বাহিরে রাখতে হবে। (না হলে নিজে কিছুই জেনে জানবো না। সহজ ব্যাপার গুলো জটিল সমীকরণে পরিণত হবে। )
২) চেষ্টা করতে হবে, সুন্দরীদের পরিহার করতে। (না হলে কাজের মধ্যে একটা না একটা ঝামেলা হবে।
)
আপনাদের কি অভিমত????????/
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।