আস সালামু আলাইকুম
ওলানা মোহাম্মদ লুৎফর রহমান ইবনে ইউসুফ মহান আল্লাহ তায়ালার গুণাবলী সম্পর্কে আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন, যারা মহান আল্লাহতাআলার মহা মহিমান্বিত মহাজ্ঞান, মহাশক্তিধরের মহাশক্তির এবং অসীম ক্ষমতা সম্পর্কে অজ্ঞ, তারা কীভাবে আরশ-কুর্সীর অধিকারী, মহাবিশ্বের ও সৌরজগতের নিয়ন্ত্রণকারী এবং অসীম দয়ার অধিকারীর সকল গুণের মূল্যায়নে ও তাঁর আদেশ-নির্দেশ মানতে বাধ্য হবে?
মহাগ্রন্থ আল কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে অর্থাৎ আমরা আল্লাহর রং (দ্বীন ইসলাম) গ্রহণ করেছি- (তাঁর গুণে গুণাণ্বিত হওয়ার জন্য)। আল্লাহর রং-এর চাইতে (তাঁর গুণাবলীর চাইতে) উত্তম রং (গুণাবলী) আর কার হতে পারে? আমরা (মুসলমানরা) তাঁরই ইবাদত করি (এবং তাঁর গুণে গুণাণ্বিত হতে চাই)।
মহান আল্লাহ্তা’আলার অমীয় বাণীসমূহে হচ্ছে যে, করুণাময় আল্লাহ্, শিক্ষা দিয়েছেন কুরআন, সৃষ্টি করেছেন মানুষ, তাকে শিখিয়েছেন বর্ণনা। সূর্য ও চন্দ্র হিসাবমত চলে, এবং তৃণলতা ও বৃক্ষরাজি সেজদারত আছে অর্থাৎ আল্লাহর বাধ্যগত আছে। তিনি আকাশকে করেছেন সমুন্নত এবং স্থাপন করেছেন তুলাদণ্ড, যাতে তোমরা সীমা লংঘন না কর তুলাদণ্ডে অর্থাৎ এর দ্বারা ন্যায় বিচার কায়েম করবে।
তোমরা ন্যায্য ওজন কায়েম কর এবং ওজনে কম দিয়ো না অর্থাৎ আল্লাহ্তাআলা দাঁড়িপাল্লা স্থাপন করেছেন, যাতে তোমরা ওজনে কম-বেশী করে জুলুম ও অত্যাচারে লিপ্ত না হও। তিনি পৃথিবীকে স্থাপন করেছেন সৃষ্ট জীবের জন্য। এতে আছে ফলমূল এবং বহিরাবরণ বিশিষ্ট খেজুর বৃক্ষ। আর আছে খোসাবিশিষ্ট শস্য ও সুগন্ধি ফুল। অতএব, তোমরা উভয়ে (জ্বীন ও ইনসান) তোমাদের পালন কর্তার কোন্ কোন্ অনুগ্রহকে (অবদানকে) অস্বীকার করবে?
নিশ্চয়ই আমরা তোমার কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করি না।
সামনে রোজা তাই রোজা সম্পর্কে ২ টি হাদিস পড়ে নেই
১। হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্নিত হুজুর পাক সাঃ এরশাদ করেন, নামাজের ভিতর কোরান তেলোয়াত করা নামাজের বাহিরে কোরান তেলোয়াত করা হইতে উত্তম। আর নামাজের বাহিরে তেলোয়াত করা তাসবীহ ও তাকবীর হইতে উত্তম। আর তাসবীহ পড়া ছদকা হইতে উত্তম। আর ছদকা রোজা হইতে উত্তম।
আর রোজা দোযখ হইতে বাচিবার ঢালস্বরুপ।
২। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃ হতে বর্নিত হুজুর পাক সাঃ এরশাদ করেন, রোযা ও কোরান উভয়েই বান্দার জন্য সুপারিশ করে। রো্যা আরজ করে হে আল্লাহ আমি তাকে দিনের বেলা খাওয়া ও পানাহার হতে বিরত রেখেছি। আপনি আমার সুপারিশ কবুল করুন।
কোরান শরীফ বলে হে আল্লাহ আমি তাকে রাত্রে ঘুম থেকে বিরত রেখেছি, আমার সুপারিশ কবুল করুন। সুতরাং উভয়ের সুপারিশ কবুল করা হয়।
আল্লাহ আমাদের ধৈর্য ও সবর করার তৌফিক দিন। রমজানের হক আদায় করার তৌফিক দিন। শোকর গুজারকারী বান্দা হিসাবে কবুল করুন।
আসছে রমজান মাসে আমাদের নিজেদের মধ্যে ভাল হবার যতটুকু স্পৃহা আমরা অনুভব করব, সেটাই যেন রমজান পরবতী সময়ে পালন করতে পারি সেটাই কামনা
সবাই ভাল থাকুন ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।