সকাল-দুপুর কি বিকাল প্রতিদিনই রাস্তায় বের হই আমরা। পেটের ক্ষুধা নিবৃত্ত কিংবা বন্ধুদের নিয়ে একসঙ্গে খাওয়ার মজা উপভোগ করতে সবাই মিলে প্রায়ই ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ভাজাপোড়া খাই। বিভিন্ন মার্কেটের সামনের ফুটপাত বা রাস্তায় বসা এসব দোকানে পেঁয়াজু সিঙ্গারা থেকে শুরু করে বার্গার রোল স্যান্ডউইচ পাওয়া যায়। অনেকেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে পরম তৃপ্তিতে এসব খাবার খায়।
অন্যদিকে যারা শ্রমজীবী নিম্নবিত্ত মানুষ আহার সারতে হয় রাস্তায়।
ফুটপাতের এসব দোকানে কমদামে খাবার খেয়ে দিন কাটায় তারা। নগরীর ফার্মগেট, কাওরানবাজার, শাহবাগ, খিলগাঁও রেললাইন, সায়দাবাদ, হাইকোর্ট রোড, শহীদ মিনার এলাকা আর পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে হারহামেশাই চোখে পড়বে এসব দোকান। এসব দোকানের খাবার কখনো ঢাকা হয় না। রাস্তার পাশে খোলা রাখা অবস্থায় ধুলা-বালিযুক্ত খাবারগুলোই খাচ্ছে মানুষ। শ্রমজীবী মানুষের পাশাপাশি এখানে শিক্ষার্থীদের ভিড়টা বেশি।
যাদের পক্ষে সবসময় খাওয়ার জন্য হোটেলে যাওয়া সম্ভব হয় না।
ফুটপাতগুলোতে খাবার বিক্রি করে কেউ পরিবার চালাচ্ছে। কেউ আবার ফুটপাতে কম দামে খাবার খেয়ে পরিবারের জন্য টাকা সঞ্চয় করছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এসব খাবারের মান নিয়ে। এগুলো স্বাস্থ্যসম্মত হলে কোনো কথা ছিল না।
কিন্তু আসলে আমরা এসব কী খাচ্ছি? যারা এসব দোকানে খায় আর যারা বিক্রি করে, তারা উভয়েই সচেতন নয়। খাবারগুলো ঢেকে রাখা নিশ্চয়ই কঠিন কোনো কাজ নয়। কিন্তু শুধু অবহেলার কারণে কাজটা করছে না দোকানিরা। আমরা যারা খাচ্ছি তাদেরও মাথাব্যথা নেই এ নিয়ে। ফলে অসুখে ভুগছি দিনের পর দিন।
এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন করে তোলার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ নেয়া দরকার। পাশাপাশি আমাদের ভেজালবিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালতকে আরো সক্রিয় করা গেলে এ সমস্যা অনেকটাই রোধ করা সম্ভব। আমাদের একটু সচেতনতার ফলে আমরা খেতে পারি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। ব্যক্তি জীবনের সুস্থতা রাষ্ট্রীয় জীবনের জন্যও ভীষণ দরকার। লেখাটি আজকের ইত্তেফাকের (১৮-৬-১১) সম্পাদকীয় পাতা(১০ম পাতায় )প্রকাশিত ।
http://new.ittefaq.com.bd/news/view/22295/2011-06-18/9 ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।